নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা বলার তা সরাসরি বলতে ভালোবসি

আবু সাঈদ আহমেদ

আমি অতি সাধারন মানুষ। লিখার চাইতে পড়তে ভালোবাসি। যা বলি তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। মানুষকে বিশ্বাস করি, পুরোপুরি বিশ্বাস করি। কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করলে তাকে আবার নতুন করে বিশ্বাস করতে আমার সংকোচ হয়না। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সাইপ্রাস কলেজের দিনগুলোকে মনে হয় এক একটি অপার আনন্দের স্বপ্ন। যদি সেই দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া যেত!! এক জীবনে অনেক কিছু করেছি। কবিতা লিখেছি, স্টেজ ডিজাইন করেছি, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে খুব খারাপ না আর চাকুরী করেছি পুরোদস্তুর বিশ্বাসী কেরানীর মত। প্রচুর কঠিন সময় পার করেছি। তার কিছু গরীব বেলার স্মৃতিতে লিখেছি। তখনও বলতাম বেশ ভালো আছি। এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ী আর এখনও বলি বেশ ভালো আছি। ব্যবসা একটু গুছিয়ে নিলে নিয়মিত লিখার আশা আছে। বাচ্চাদের সাথে খুব সহজে ভাব জমাতে পারি। এখন অফিসের বাইরে সন্তান মুমিতকে ঘিরেই আমার বিশাল পৃথিবী। প্রতিদিন ও একটু একটু করে বড় হয় আর আমি আবিষ্কার করি এক নতুন মুমিতকে। প্রতিদিন যে আমার কাছে নতুন, আমার চির সাধনার ধন। ইচ্ছে আছে শুধু ছোটদের জন্য লিখবো।মুমিতের জন্য লিখবো অথবা মুমিতদের জন্য লিখবো। কিন্তু লিখার বিষয়ে সীমা ভেঙে ফেলি বারবার। তাই এলোমেলো অনেক বিষয়ে লিখি। সবসময় ভালো থাকার অদ্ভূত একটা ক্ষমতা আমার আছে। আমি প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করি যেটুকু পেয়েছি তা আমার আর যা পাইনি তা আমার নয়। যা বলার তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। নিজের ব্যর্থতা বা ভুল অকপটে মেনে নিয়ে ক্ষমা চাইতে পারি। সতত শুভ কামনা সকলের জন্য।

আবু সাঈদ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর ৭০ বছর পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তি

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

অবশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীর্ঘ প্রায় ৭১ বছরের কৌতূহলের অবসান হইল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট তারিখে ইহধাম ত্যাগ করিয়া পরকালের দিকে যাত্রা করিলেন। পরকালের খাস কামড়ায় ভগবানের মুখোমুখি হইবার পরেই চিত্রগুপ্ত একখানা হিসাবের খাতা তাহাকে ধরাইয়া দিলেন। রবীন্দ্রনাথ খাতাটা দেখিলেন। ভগবানের হিসাব খুব সূক্ষ্ণ। তিনি হিসাবের বিবরনীতে দেখিলেন যে নিজের অজান্তে এবং অনিচ্ছায় কিছু পাপ করিয়া ফেলিয়াছেন। তিনি ভগবানের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন। ভগবানের খাস কামড়ায় নীরবতা নামিয়া আসিল।

দয়াময় ভগবান প্রথম নীরবতা ভঙ্গ করিলেন। ভগবান রবীন্দ্রনাথকে বলিলেন, "তুমি অনেক বড় কবি। তোমার সৃষ্টির মত তুমিই মহত। কিন্তু পাপ মাত্রই পাপ। আর পাপীকে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে। ইহাই নিয়ম। সুতরাং তোমাকেও শাস্তি ভোগ করিতে হইবে। " রবীন্দ্রনাথ অবাক হইয়া ভগবানের কথা শুনিতে লাগিলেন। ভগবান বলিলেন, "আশি বছর বয়স পর্যন্ত তুমি অক্লান্ত পরিশ্রম করিয়াছ। যাও স্বর্গে অবস্থান কর। বিশ্রাম কর। স্বর্গকে উপভোগ কর। " এইবার রবীন্দ্রনাথ অবাক হইয়া প্রশ্ন করিলেন, "প্রভু, আমার শাস্তি কি তবে মওকুফ করা হইয়াছে!" ভগবান বলিলেন, " মওকুফের বিধান এখানে নাই। তোমার ক্লান্তি দূর করিবার জন্যই তোমাকে স্বর্গে প্রেরন করা হইতেছে। স্মরন রাখিও, আজ হইতে ৭০ বছর অতিক্রম হইলে তুমি কৃত পাপের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হইবে। "

রবীন্দ্রনাথ স্বর্গবাস করিতে থাকিলেন। স্বর্গের অপ্সরীগন গান গাহিয়া তাহাকে অনন্দ দিতে লাগিল। তিনি স্বর্গের বাগানে বেড়াইতে লাগিলেন। স্বর্গের জোছনা উপভোগ করিতে করিতে ক্লান্ত হইতে লাগিলেন। তথাপি দিন শেষে তাহার মন কৌতূহলে অশান্ত হইত। তিনি ভাবিতেন ৭০ বছর অতিক্রম হইলে ভগবান তাহাকে কি শাস্তি দিবেন। এক একটা করিয়া বৎসর অতিক্রান্ত হইতে লাগিল। রবীন্দ্রনাথের কৌতূহলও গাঢ়তর হইয়া উঠিতে লাগিল।

৮ই মে ২০১১ তারিখে রবীন্দ্রনাথ আবার ভগবানের সাক্ষাৎ পাইলেন। ভগবান "কবি, এইবার শাস্তির জন্য প্রস্তত হও" বলিয়া রবীন্দ্রনাথকে দুইখানা অতি চিকন চৌকোনা বাকসো প্রদান করিলেন। ৭০বছরের কৌতূহল মিটাইতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ দ্রুত হস্তে বাকসো দুইটি খুলিয়া দেখিলেন তাহার ভিতরে একখানা করিয়া গোলাকার ধাতব পাত। রবীন্দ্রনাথ ভাবিতে লাগিলেন ইহা কোন প্রকারের শাস্তি!! রবীন্দ্রনাথের ভাবনা অনুধাবন করিয়া ভগবান হাসিয়া বলিলেন, " সকল কিছু পূর্বের মতনই থাকিবে। তবে এখন হইতে স্বর্গের কোন অপ্সরী আর তোমাকে গান গাহিয়া শুনাইবেনা। এই গোল চাক্তিতে তেমার সৃস্টি করা যে গানসমূহ আছে তাহাই প্রতিদিন তিনবেলা করিয়া শুনিতে হইবে। " ভগবান তাহাকে ধাতব চাক্তিটি বাজাইবার জন্য একখানা যন্ত্রও প্রদান করিলেন। রবীন্দ্রনাথ ভাবিয়া পাইলেননা যে, নিজের গান শ্রবন করা কোন ধরনের শাস্তি!!

তিনি স্বর্গে তাহার নির্ধারিত গৃহে ফিরিয়া আসিলেন। বাকসো দুইটি আবার দেখিলেন। একখানা বাকসোর উপরে লেখা রহিয়াছে "মনে রবে কি না রবে আমারে" আর অন্যটিতে লেখা রহিয়াছে "মনে কী দ্বিধা....।" দুইটিতে একজন স্বাস্থ্যবতী রমনীর মুখের প্রতিকৃতি। রবীন্দ্রনাথ শাস্তি ভোগের নিমিত্তে চাক্তিটি যন্ত্রে প্রবেশ করাইলেন। যন্ত্রটি স্বর্গের আকাশ পাতাল কম্পিত করিয়া তাহার সৃজিত সংগীত উদগীরন করিতে শুরু করিল। তিনি নিজের সংগীত শুনিয়া মূর্ছা যাইতে চাহিলেন। কিন্ত মূর্ছা যাইতে পারিলেন না। তিনি যন্ত্রটি বন্ধ করিতে চাহিলেন। কিন্তু যন্ত্রটি বন্ধ করা সম্ভব হইলনা। তিনি নিজের সংগীত শ্রবণ করিতে করিতে বারবার আত্নদংশনে দংশিত হইলেন। সংগীত সৃষ্টির জন্য নিজের প্রতি প্রবল ক্রোধ বোধ করিলেন। গান শ্রবন করা যে এতটা ভয়ংকর শাস্তি হইতে পারে তাহা রবীন্দ্রনাথ বিন্দুমাত্র অনুধাবন করিতে পারেন নাই। সংগীত চলিতে থাকিল আর রবীন্দ্রনাথ প্রবল যন্ত্রনায় কাতরাইতে লাগিলেন। তিনি যন্ত্রনাকাতর অবস্থায় চৌকনা বাকসো দুইটি আবার হাতে লইলেন। দেখিলেন কাগজে মুদ্রিত স্বাস্থ্যবতী রমনীর প্রতিকৃতির প্বার্শে রঙিন হরফে লেখা রহিয়াছে 'ইভা রহমান'। রবীন্দ্রনাথ যন্ত্রণা ভোগ করিতে করিতে ভাবিতে লাগিলেন ভগবান এতটাই ক্ষমতাবান ও সৃজনশীল যে গানকেও শাস্তির কঠিন অস্ত্র বানাইতে পারেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তিভোগের এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখিয়া ভগবানের হৃদয় কাদিয়া উঠিলেও আড়াল হইতে চিত্রগুপ্ত হাসিতে লাগিলেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায়রে!! ইভারে নিয়া আর কত!!

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

আদিম রাজা বলেছেন: go ahead vai

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

মেমননীয় বলেছেন: এও সম্ভব!
ইভা রহমান রবীন্দ্র সংগীত গায়!
সে তো গানই গাইতে জানেনা।

হায় মাহফুজ আর কি দেখাইতে বাকী রাখলে?

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: ইভা রহমানকে নিয়ে মজা করেন ভাই, আপনি কি জানেন? কিছু দিন আগে চায়নাতে রাস্তার কুকুর নিধন কার্যক্রম শুরু হয়, সেখানে আমাদের ইভা রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়, তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে গান গাইলেন, রাস্তার কুকুররা নিজেরাই আত্মসমর্পন করলো। তারা বললো, এর থেকে মরণও ভালো!

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা কি আপনার? লেখাটি অন্যের হলে বিষয়টা উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল ।

আপনি এর আগেও কপি পেস্ট করেছেন ।

মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি......।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: আমার কোন লেখাটি কপি পেস্ট জানালে বাধিত হবো, কারণ কপি লেখায় আমি সরাসরি লেখকের নাম এবং প্রয়োজনে সূত্র ব্যবহার করি। আপনার কাছে প্রমাণ চাইছি, ভুলটা ভাঙ্গা খুব জরুরী প্রয়োজন। কারণ, এর আগেও প্রথম আলো ব্লগ, সামু ব্লগ, এবং ওপারের 'লোটা কম্বল' ব্লগে আমার লেখা সৃজনশীল চোরেরা নিজের নামে প্রকাশ করেছে এবং মডারেশন তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এক্ষেত্রে ফেসবুকে কার্টসি ছাড়া কপি-পেস্ট এবং কতিপয় অনলাইন পত্রিকার কথা আর না বলি।
আমার লেখালেখির তিনটি লিংক. লেখাচোরদের কাছ থেকে রক্ষা পাবার জন্য সাধারণত যেখানে প্রথম লেখা প্রকাশ করি:
https://www.facebook.com/mumit.sayeed
https://www.facebook.com/sayeedergolpo
https://www.facebook.com/sayeedopinion/

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেন: আমার কোন লেখাটি কপি পেস্ট জানালে বাধিত হবো, কারণ কপি লেখায় আমি সরাসরি লেখকের নাম এবং প্রয়োজনে সূত্র ব্যবহার করি। আপনার কাছে প্রমাণ চাইছি, ভুলটা ভাঙ্গা খুব জরুরী প্রয়োজন। কারণ, এর আগেও প্রথম আলো ব্লগ, সামু ব্লগ, এবং ওপারের 'লোটা কম্বল' ব্লগে আমার লেখা সৃজনশীল চোরেরা নিজের নামে প্রকাশ করেছে এবং তাদের কারো কারো বিরুদ্ধ মডারেশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এক্ষেত্রে ফেসবুকে কার্টসি ছাড়া কপি-পেস্ট এবং কতিপয় অনলাইন পত্রিকার কথা আর না বলি।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: জোস! পাকা হাতের লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.