![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি সাধারন মানুষ। লিখার চাইতে পড়তে ভালোবাসি। যা বলি তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। মানুষকে বিশ্বাস করি, পুরোপুরি বিশ্বাস করি। কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করলে তাকে আবার নতুন করে বিশ্বাস করতে আমার সংকোচ হয়না। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সাইপ্রাস কলেজের দিনগুলোকে মনে হয় এক একটি অপার আনন্দের স্বপ্ন। যদি সেই দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া যেত!! এক জীবনে অনেক কিছু করেছি। কবিতা লিখেছি, স্টেজ ডিজাইন করেছি, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে খুব খারাপ না আর চাকুরী করেছি পুরোদস্তুর বিশ্বাসী কেরানীর মত। প্রচুর কঠিন সময় পার করেছি। তার কিছু গরীব বেলার স্মৃতিতে লিখেছি। তখনও বলতাম বেশ ভালো আছি। এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ী আর এখনও বলি বেশ ভালো আছি। ব্যবসা একটু গুছিয়ে নিলে নিয়মিত লিখার আশা আছে। বাচ্চাদের সাথে খুব সহজে ভাব জমাতে পারি। এখন অফিসের বাইরে সন্তান মুমিতকে ঘিরেই আমার বিশাল পৃথিবী। প্রতিদিন ও একটু একটু করে বড় হয় আর আমি আবিষ্কার করি এক নতুন মুমিতকে। প্রতিদিন যে আমার কাছে নতুন, আমার চির সাধনার ধন। ইচ্ছে আছে শুধু ছোটদের জন্য লিখবো।মুমিতের জন্য লিখবো অথবা মুমিতদের জন্য লিখবো। কিন্তু লিখার বিষয়ে সীমা ভেঙে ফেলি বারবার। তাই এলোমেলো অনেক বিষয়ে লিখি। সবসময় ভালো থাকার অদ্ভূত একটা ক্ষমতা আমার আছে। আমি প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করি যেটুকু পেয়েছি তা আমার আর যা পাইনি তা আমার নয়। যা বলার তা সরাসরি বলতে ভালোবাসি। নিজের ব্যর্থতা বা ভুল অকপটে মেনে নিয়ে ক্ষমা চাইতে পারি। সতত শুভ কামনা সকলের জন্য।
প্রতি বিষ্যুদবারে ফজল খন্দকার ভাবেন সাড়ে পাঁচটার মধ্যে অফিস থেকে বের হবেন। বাড়ি ফিরে পোশাক বদল করবেন। তারপর আট’টায় মদিরা বার এন্ড রেষ্ট্যুরেন্টে ঢুকবেন। পিয়াজ দিয়ে বাদাম মাখানোর সাথে আয়েশ করে কেরুর ভদকা খাবেন। ফরেন ভদকা সাধ্যে কুলোয় না। তাই তিনি ‘ মায়ের দেয়া বাংলা পানি গলায় ঢেলে নে রে ভাই, দিনদু:খনি মা যে তোদের কেরুর বেশী সাধ্য নাই’- ভাবাদর্শে বিশ্বাসী- এতে নেশা হয়, দেশপ্রেমও অঁটুট থাকে। তবে কোন বিষ্যুদবারেই তিনি সাড়ে আটটার আগে অফিস থেকে বেরুতে পারেন না।
আজ তিনি কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছেন। অফিসের বসকে বলে বিকাল ৪টায় ছুটি মঞ্জুর করিয়েছেন। কিন্তু ছটার আগে মনে হয়না হাতের কাজ শেষ করতে পারবেন। তবে যে করেই হোক ছ’টার মধ্যে বের হতে হবে। গতকাল মদ খেয়ে বাড়ি ফিরার সময়ে মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে নেমে গিয়েছিলেন। সংকল্প করেছিলেন ভোরে সারসপাখিগুলোকে আকাশে উড়িয়ে তারপর ঘরে ফিরবেন। কিন্তু সফল হন নাই। রাত তিনটার দিকে পুলিশের ভ্যান এসে তাকে থানায় নিয়ে পেট ওয়াশ করানোর আর পিছনে ডিম ঢুকানোর ভয় দেখিয়েছে। রীতিমত তিন হাজার টাকা গচ্চা দিয়ে ভোরে ছাড়া পেয়েছেন। মাতাল অবস্থায় না থাকলে দশ হাজার টাকার কমে পুলিশ কি ছাড়তো!
আজ ফজল খন্দকারকে কেউ থামাতে পারবে না। পুলিশ কেন, সেনাবাহিনীও এলেও না। প্রথমে ভরপেট মদ খাবেন। তারপর মতিঝিলের শাপলাফুলকে ঘাড়ে করে বয়ে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ছেড়ে দিয়ে আসবেন। ধূলিবালি ধোঁয়া আর শব্দদূষণে শাপলা ফুলটা যে কিভাবে এখনও না মরে দাঁড়িয়ে আছে ভাবা যায় না! তারপর প্রেসক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারাকে কুরিয়ার সার্ভিসে শ্রীকৃষ্ণের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন। এরপর দোয়ল চত্বরে গিয়ে দোয়েল দুটোকে গ্রামের দিকে উড়িয়ে মতিঝিলে ফিরে আসবেন। সারসগুলোকে ভদকার দেশ রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় পাঠাবেন। তিনি অবাক হন- এই বাসঅযোগ্য শহরে সারস, শাপলা, দোয়েল, কদমকে বন্দী রাখা যে প্রকৃতিবিরোধী অপরাধ এ সরল সত্যটা এতদিনে কেউ বুঝতে পারে নাই! তিনি না হয় লোকাল ভদকা খেয়ে গতকাল রাতে বুঝেছেন, বড় বড় শালা সম্বুন্ধী আর ভাসুরের দল নিত্য ফরেন ভদকা গিলেও ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না!
ফজল খন্দকার দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে অফিস থেকে বের হতে চাইছেন। কিন্তু তার দেরী হয়ে যাচ্ছে, কোম্পানীর হিসাব মিলাতে গিয়ে বারবার ভুল হচ্ছে- খুব ছোট ছোট ভুল।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
কালীদাস বলেছেন: হাহাহা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
জহিরুল হক টিপু বলেছেন: আপনি এই বিষয়ে আসলেই ভাল লেখেন!! চালিয়ে যান!!