![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাঙ্ক্ষা, জীবন কাটে যেন জ্ঞান অন্বেষণে।
খুনিকে নিন্দা এবং ধিক্কার জানাবার
বর্ণমালা আমার জনা নেই।ইউটিউব
থেকে ভিডিওটার আংশিক দেখেছি।
১২/১৩ বছরের একটি শিশু।অতটুকু
শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে রড দিয়ে হাঁড়ে
হাঁড়ে এবং মনের মতো পেটাচ্ছে এক
জানোয়ার।বাধা দেবার কেউ নেই।
শিশুটির চেহারায় সাত সমুদ্রসম ভয়
আর মুখে তীব্র যন্ত্রণার চিৎকার
;যেন আকাশ পাতালকে পর্যন্ত
প্রকম্পিত করে দিচ্ছে অথচ ঐ
পাষাণ্ডুর মনে সামান্যটুকুও স্পর্শ
করছে না ঐ মৃত্যুযন্ত্রণার ভারী
আওয়ায।আঘাতের প্রচণ্ডতায় ঢলে
ঢলে পড়ছে খুঁটির এপাশে ওপাশে।আর
ভয়ের তীব্রতায় বুকের ছাতি ফেটে
যাচ্ছে।কান্নাজড়িত কণ্ঠে পানি পানি
বলে কাতরাচ্ছে।তবুও ঐ নরাধমের
হৃদয়ে একটু দয়া হচ্ছে না।এক ফোঁটা
পানি দিচ্ছে না ছেলেটাকে।বরং আরো
বিদ্রূপ করে বলছে 'ঘাম খা'।ও
আবার উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে
আর ভয়ার্ত কণ্ঠে কাকুতি মিনতি
করে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।কিন্তু ঐ
পাথরে মনের বিন্দু মাত্র দয়া হচ্ছে
না।ঐ পশুটার কি ছেলে-মেয়ে নেই?!
তাহলে কীভাবে এতটা নির্দয় এবং
নির্মম হয়।খানিকটা পর খুঁটি থেকে
খোলা হলো বাচ্চাটাকে।তখন হয়ত
মুক্তি পাওয়ার আশায় হৃদয়টা ওর
কিঞ্চিত হলেও ভিজে উঠেছিল।
কিন্তু না, এবার আঘাতের নতুন
মাত্রা যোগ হলো ।ঘাতকের
সহযোগী শিশুটির হাতে বাধা শেকল/
রশি ধরে টানছে আর ঘাতক পেটাচ্ছে
।একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল
অভাগা মায়ের এই সন্তানটি।তবুও
কুকুরটার হিংস্রতা কমল না।সে যেন
এখন পাগলা কুকুরের ন্যায় ঝাঁপিয়ে
পড়ল অসহায় বালকটির উপর।আর
সামনে এগুতে আমার সাহস হলো না।
.
এ কেমন হিংস্রতা! এ কেমন
নৃসংশতা! এ কেমন পাশবিকতা! এ
কেমন বর্বরতা!
.
এই হলো রাজন।সিলেটের ছোট শিশু।
দোকানি।
.
রাজন হত্যার শাস্তি একমাত্র
মৃত্যুদণ্ড।প্রতিটি প্রাণের দাবি।
অনতিবিলম্বে এ শাস্তি কার্যকর
করে মানবতা রক্ষা করুন।
©somewhere in net ltd.