নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

শাহজাহান সাঈফ

একাকিত্ব হলো জীবনের সাধনা লাভের উত্কৃষ্ট উপায়। উর্দু বা হিন্দুতে একাকিত্বকে বলা হয় তানহা। একাকিত্ব মানুষের জীবনে পূর্ণতা দেয়। পৃথিবীর তাবত্ বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ একাকিত্বে কাটিয়েছেন। কখনো ইচ্ছা করে আবার কখনো বা বাধ্য হয়ে। তারা কেউবা গেছেন নির্জন পাহাড়ের কোনো গুহায়, অথবা গভীর জঙ্গলে।

শাহজাহান সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলাম রুপালী ইলিশ এর শহর চাঁদপুর

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

ঈদের আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ঈদের ছুটিতে বাড়ী যাবনা। তাই ভাবছিলাম ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কোথায় ঘুরে আসা যায়। প্রথমে পরিকল্পনা করলাম বান্দরবান যাব । কিন্তু সফরসঙ্গী না পাওয়াতে সে পরিকল্পনা বাদ দিলাম। পরবর্তীতে পরিকল্পনা করলাম লঞ্চ ভ্রমনের। সফরসঙ্গী হিসাবে আমার এক বড় ভাই'র কাছে আমার পরিকল্পনার কথা জানালাম। তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। সিদ্ধান্ত হল ঈদের পরের দিন আমরা লঞ্চ এ করে চাঁদপুর যাব। সেই মোতাবেক ২২ আগষ্ট সকালে বেলা আমরা বাসা থেকে বের হলাম সদরঘাটেট উদ্দেশ্যে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখি ঈদে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি ফেরা যেনো এখনো শেষ হয়নি। প্রচন্ড ভীর টেলে এম.ভি বোগদাদীয়া-৫ লঞ্চ এ উঠলাম। অনেক কষ্ট করে প্রথম শ্রেনীর ৩ টি টিকেট ম্যানেজ করলাম ( আমরা সফর সঙ্গী ছিলাম মোট ৪ জন), পরে আরেকটি টিকেট নিলাম ডেক এর। লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে সদরঘাট থেকে যাত্রা করল দুপুর ১২টায়। সদরঘাটে সারি সারি লঞ্চ পিছনে রেখে আমাদের লঞ্চ ছুটে চলেছে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। প্রথমে বুড়িগঙ্গার দু'পাড়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দেখতে কখনো যে বুড়িগঙ্গা ছেড়ে মেঘনা নদীতে চলে এসেছি টেরই পাইনি। মেঘনা নদীতে লঞ্চ পৌছার সাথে সাথেই বর্ষায় ভরা যৌবনের মেঘনার ঢেউ যেনো আমাদের স্বাগত জানাচ্ছিল। উত্তাল ঢেউ এর বুক চিরে এম.ভি বোগদাদীয়া লঞ্চ ছুটে চলেছে তার আপন গন্তব্যে, যেনো একটুও থামার অবকাশ নেই। মেঘনা পদ্মা নদীর মোহনায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট। বেলা সাড়ে তিনটায় লঞ্চ এসে পৌছল চাঁদপুর।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে দুটি রিক্সা করে আমরা রওয়ানা দিলাম চৌধুরী ঘাটলা (ব্রীজ মোড়), সেখানে আগে থেকে আমাদের জন্য হোটেল বুকিং দেওয়া ছিল। হোটেলে পৌঁছার সাথে সাথেই শুরু হল অভিরাম বৃষ্টি। বৃষ্টি যেনো আর থামতে চাচ্ছেনা। পরিকল্পনা ছিল বিকেল বেলা একটু "টোডা" ঘুরে আসব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর যাওয়া হলনা। সারা বিকেলই হোটেলে বসে থাকতে হল।

পরের দিন সকাল বেলা বের হলাম টোডা'র উদ্দেশ্যে। শহরের কালিবাড়ী মোড় থেকে প্রথমে গেলাম মাছ ঘাটে (যেখানে ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং জেলেরা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার পর এখানেই নিয়ে আসে)। মাছঘাট পুরাতন রেল ষ্টেশনের ঠিক বিপরীত পাশেই। মাছ ঘাট থেকে হেটে হেটে গেলাম টোডা, খুব বেশী দুরে নয়। টোডা থেকে পদ্মা-মেঘনা নদীর মিলনস্থল খুবই কাছে থেকেই দেখা যায়। তাই এই জায়গা একটা বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। এখান থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পদ্মার চর ঘুরে আসা যায় জনপ্রতি ২০ টাকা। রিজার্ভ নৌকা ২০০-২৫০ টাকা। আমাদের ঢাকায় ফিরতে হবে বলে ইচ্ছা থাকা সত্বেও পদ্মার চরে যাওয়া হয়নি। টোডা থেকেই হস্তচালিত নৌকা ভাড়া করলাম ব্রীজ মোড় যাওয়ার জন্য। ডাকাতিয়া নদীর উপর ব্রীজ শহরের নতুন বাজার এবং পুরাতন বাজারকে সংযুক্ত করেছে। কথিত আছে শহরের পুরান বাজার এক সময় খুবই জমজমাট ছিল। বিশেষ করে পাট এবং লবন মিল ছিল এখানে। কলকাতা থেকে জাহাজ আসত এই বন্দরে পাট এবং লবন নেওয়ার জন্য। কালের সাঙ্গী হয়ে এখনও কিছু নমুনা রয়ে গেছে।

যাবার সময় হয়ে গেছে, হোটেল ছাড়তে হবে। রওনা দিলাম আবার লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে। বেলা ২টায় ছাড়বে এমভি মেঘনা রানী। কিন্তু মেঘনা রানীর কোনো খোজ নেই। মেঘনা রানী ঘাটে আসল ঠিক ২ মিনিট আগে। এখন যাত্রী নামাবে না উঠাবে শুরু হয়ে গেল তাড়াহুড়া। আবারও ধাক্কা ধাক্কি করে লঞ্চে উঠো, সিট দখল কর। এ যাত্রায় ফেলাম প্রথম শ্রেনীর একটি টিকেট তাও আবার ১৪০ টাকার টিকেট ১৮০ টাকায়। সিট না ফেলে কোনো সমস্যা নেই। সাড়ে ৩ ঘন্টা ৪ ঘন্টার ভ্রমণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে অনায়াসেই পার করা যায়। পদ্মা মেঘনার বুকে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে দেখতেই চলে আসা যায় ঢাকা কিংবা যাওয়া যায় চাঁদপুরে।

যেভাবে চাঁদপুর যাবেনঃ সদরঘাট থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পর লঞ্চ ছেড়ে যায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। ঠিক একই ভাবে চাঁদপুর থেকে লঞ্চ ছেড়ে আসে ঢাকার উদ্দেশ্যে।

ভাড়া ঃ ডেক-এ জনপ্রতি ১০০ টাকা, চেয়ার ১৪০ টাকা, কেবিন ৫০০-১৫০০টাকা।

খাবার দাবার ঃ ইচ্ছে করলে খাবার সাথেও নিতে পারেন। তা নাহলে লঞ্চ এর ভিতরেই পাওয়া চা নাস্তা পাওয়া যায়।

হোটেল ঃ চাঁদপুর শহরে থাকার মত বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। তারমধ্যে হোটেল তাজমহল, হোটেল জোনাকী, হোটেল শ্যামলী, চৌধুরী ঘাটলা, ব্রীজ মোড়।

খাবার হোটেল ঃ শহরের কালিবাড়ী মোড়ে রয়েছে ঢাকা হোটেল, হোটেল হ্যাভেন ইত্যাদি।



সর্তকতা ঃ চাঁদপুর গেলে প্রয়োজন না হলে ভূলেও রিক্সা'র ধারে কাছে যাবেন না। কারণ চাঁদপুরেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশী রিক্সা ভাড়া। (ঢাকায় যে ভাড়া ২০ টা সম দূরত্বে চাঁদপুরে রিক্সা ভাড়া হবে ৮০ টাকা)



ফটো এখানে আছে ঃ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

র হাসান বলেছেন: দারুন। আমরা নিঝুম ট্যুরস থেকে একটা রিভার ক্রুজ প‌্যাকেজ করার কথা ভাবছি। মনে হচ্ছে এটাই সবচেয়ে ভালো জায়গা সারা দিন ভ্রমনের জন্য।

চাঁদপুর শহরে নেমে ঘন্টা ৩-৪ সময় কাটানোর সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা কি? কি কি করা যায়? কোথায় যাওয়া যায়? দূপুরের খাবারের জন্য ভালো জায়গা কোনটা?

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩/৪ ঘন্টা সময় কাটানো মানে বিশ্রাম নেয়ার কথা যদি বলেন, তাহলে শহরের চৌধুরী ঘাটলায় (ব্রীজ মোড়) পাশাপাশি ৩টি হোটেল আছে, তারমধ্যে হোটেল তাজমহল অন্যতম।
খাবার দাবারের জন্য কালিবাড়ী মোড়ে আছে ভালো মানের হোটেল, যেমন হোটেল হ্যাভেন, ঢাকা হোটেল ইত্যাদি (তাজমহল থেকে বেশী দুরে নয়, হেটে যাওয়া যায়, ভূলেও রিক্সায় উঠবেন না)।
আর যদি বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন না থাকে তাহলে লঞ্চ থেকে নেমেই সরাসরি চলে যেতে পারেন টোডায় (স্থানীয় পিকনিক স্পট,) পাশেই আছে মাছ ঘাট (যেখানে ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হয়)। এখান থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে চলে যেতে পারেন পদ্মার চরে (জনপ্রতি ২০ টাকা, রিজার্ভ নিলে ২০০/২৫০ টাকা নিবে)।
পদ্মার চর থেকে ফিরে চলে যেতে পারেন শহরের পুরান বাজারে। এখানে আছে অনেক পুরাতন জুট মিল, লবন মিল। এভাবেই একদিনের ভ্রমণ কখন শেষ হয়ে যাবে টেরই পাবেন না।
আপনার ভ্রমণ শুভ হউক।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

র হাসান বলেছেন: ছবির লিংকটা কাজ করছে না। ছবি নাই বলছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: Click This Link

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

ঊজ্জল বলেছেন: ভাই আপনি যে সময় চাঁদপুর গেছেন । সেই সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে । ইলিশ আনছেন কি না বলেন ? আমি অনেক এনেছি !!!!!!!!!!!!

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: আমি ভাই ব্যাচলর মানুষ। রান্না করা ইলিশ খেয়ে এসেছি। নিয়ে আসিনি।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৩

হাছুইন্যা বলেছেন: আমি চাঁদপুরেই থাকি। রিক্সাভাড়া নিয়ে যা বলেছেন ১০০% সত্যি। ৬ টাকার ভাড়া এখন ২০ টাকা দিতে হয়।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

মেনােশদাস বলেছেন: রিকসা বাড়া শুধু চাঁদপুর নয় দেশের সকল স্থানেই বেড়েছে।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আমি গিয়েছিলাম।সত্যিই চাদপুর অনেক সুন্দর।আর ঢাকা থকে একেবারে কাছে তাই ওখানে বড়াতে জেতেও ভালো লাগে।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: ভাই চাদপুর লঞ্চে গেলে দেকে যাওয়াো টাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ চারপাসের প্রকৃতি দেখতে দেখতে ৩/৪ ঘণ্টার জার্নি কোন ব্যপার না। অবশ্য সাথে মহিলা ও শিশু না থাকলে আলাদা কথা।

চাঁদপুর যদি কেউ বেড়াতে যেতে চান তাহলে দুপুরে দুইটা ভাল লঞ্চ আছে ময়ুর-২ ( ১:৩০ তে ছাড়ে) ইগল ( ২:৩০ তে ছাড়ে) সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছে যাবেন। রাত্রে বেড়াবেন নদীর ঘাটে, সকালে নদীতে নৌকা ভ্রমন করে ১২ টা একটা ভাল লঞ্চ আছে ( মনে হয় আবে জম জম অথবা আল বোরাক)। দুইটাই অনেক ভাল লঞ্চ। বিকালে আবার ঢাকায়। ব্যস একদিনে ভ্রমন কমপ্লিট।

ঢাকা থেকে রাত্রে ১২ টায় আল বরাকে গেলে সারাদিন চাঁদপুর শহর বেড়িয়ে রাত্রে ১২ তার ময়ুর-২ লঞ্চে ঢাকা ব্যাক করতে পারেন।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

তুহিন মাজহার বলেছেন: ভাই আমার বাড়ি চাদপুর। যদিও থাকি ঢাকায়।
রিক্সা ভাড়া নিয়ে যা বলছেন তা ২০০০% সত্যি আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমি রিক্সায় চরেছি ১৫০ টাকা দিয়ে। ৩/৪ কিলো দূরত্ব হবে। আসলে ওখানে রিক্সাওয়ালা কম। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন ফ্যামিলি আর নাই। সব বিদেশ থাকে।
আমি খুব কম যাই চাদপুর। তবে ঘুরার জায়গা বলতে "ঠোডা" (আপনি যেটাকে টোডা বলেছেন আসলে সেটা হবে "ঠোডা" বা "রেল অফিসের ঠোডা")। একটা অদ্ভুত জায়গা। দুই নদীর মাঝে তথা তিন নদীর মোহনায় ( পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী) অবস্থিত একটা ভুমি। তিন পাশের সব মাটি নদীর ভাঙ্গনে শেষ কিন্তু শত শত বছর ধরে এই স্থান টি টিকে আছে। অলৌকিক ব্যাপার। তিন নদীর পানি যেখানে মিলিত হয় সেখানটায় ভয়ঙ্কর অবস্থা। স্থানীয় ভাষায় বলে "গোল্লা"। বর্ষায় বেশী হয়। প্রচণ্ড স্রোত আর পানির ঘূর্ণির কারনে বর্ষাকালে সেখানে লঞ্চ যায় না। তার আগেই একটা লঞ্চ ঘাট হয়েছে। ওখানেই ভিড়ে। কিন্তু শীতকালে ওখান দিয়েই লঞ্চ যায়। ভিড়ে পুরাতন ঘাটে।

এছাড়া চাঁদপুরে পুকুরে ইলিশ মাছ চাষের একটা প্রকল্প আছে। ওটাকে বলে ফিশারিজ (প্রতিষ্ঠানের নাম)। অসংখ্য পুকুর। দেখে আসতে পারেন।

শহরের মাঝে আছে "অঙ্গীকার"। মুক্তিযুদ্দের সৃতিস্তম্ব। এখানে উত্তর কোনায় সন্ধ্যা বেলায় একটা চটপটি আর ফুস্কা পাওয়া যায়। খুব নাম ধাম আছে। ঢাকায় সংসদ ভবনের পাশে যে অনেক গুলা চটপটি আর ফুচকার দোকান আছে খেয়াল করলেই দেখবেন বেশির ভাগ দোকানের নাম ই চাদপুর চটপটি আর ফুচকা।

খুব ভোরে ইচলি ঘাটে যেয়ে গ্রামের পথে হেটে আস্তে পারেন। তবে সেটা শীত কালে ভালো হবে। নয়নভিরাম দৃশ্য।

বর্ষা কালে চাঁদপুরের আঁখ খেয়ে দেখতে পারেন। অতি সুমিষ্ট।

ইলিশ মাছ কিনতে পারেন "ঠোডার" আশে পাশের আড়ত থেকে অথবা কালিবারির বাজার থেকে। দাম ঢাকার চেয়ে খুব কম পাবেন বলে মনে হয়না। তবে সুস্বাদু হবে। কারন চাঁদপুরের পাশেই পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ সুস্বাদু। সমুদ্রের ইলিশের স্বাদ কম। ঢাকার বেশির ভাগ ইলিশ ই সামুদ্রিক। এছাড়া চিংড়ি, রুপচাদা ও বিভিন্ন রকম দেশি মাছ পাবেন। যা সাধারনত দেশের অন্ন্যান্ন জায়গায় পাবেন না।

সবশেষে পদ্মা বা মেঘনার চরে না ঘুরলে চাদপুর দেখাটা অপূর্ণই থাকবে।

ভ্রমন পিপাশুদের জন্য শুভ কামনা রইল।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: ভাই চাদপুর লঞ্চে গেলে দেকে যাওয়াো টাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ চারপাসের প্রকৃতি দেখতে দেখতে ৩/৪ ঘণ্টার জার্নি কোন ব্যপার না। অবশ্য সাথে মহিলা ও শিশু না থাকলে আলাদা কথা।

চাঁদপুর যদি কেউ বেড়াতে যেতে চান তাহলে দুপুরে দুইটা ভাল লঞ্চ আছে ময়ুর-২ ( ১:৩০ তে ছাড়ে) ইগল ( ২:৩০ তে ছাড়ে) সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছে যাবেন। রাত্রে বেড়াবেন নদীর ঘাটে, সকালে নদীতে নৌকা ভ্রমন করে ১২ টা একটা ভাল লঞ্চ আছে ( মনে হয় আবে জম জম অথবা আল বোরাক)। দুইটাই অনেক ভাল লঞ্চ। বিকালে আবার ঢাকায়। ব্যস একদিনে ভ্রমন কমপ্লিট।

ঢাকা থেকে রাত্রে ১২ টায় আল বরাকে গেলে সারাদিন চাঁদপুর শহর বেড়িয়ে রাত্রে ১২ তার ময়ুর-২ লঞ্চে ঢাকা ব্যাক করতে পারেন।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: ভাই চাদপুর লঞ্চে গেলে ডেকে যাওয়া টাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: দারুন মজার তো!+++

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩৪

টুং টাং বলেছেন: আমার দেশের বাড়ি চাঁদপুর,মতলব।
:) :) :) :) :-B

তবে আমি ইলিশ মাছের চেয়ে ইলিশের ডিম বেশী পছন্দ করি।
তাই বাসায় সবাই মাছ খায় আর আমার জন্য ডিম বরাদ্দ থাকে। B-)) B:-) :-B :-B :#) :D
আমার বড় তিন বোন। উনাদের যার যার বাসায় যখন ইলিশ রান্না হয় আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় যে, ইলিশের ডিম রাখা আছে ।
বাকি কাজ যেন আমি গিয়ে সারি। :D :D :D :D :D :#) !:#P !:#P !:#P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.