নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কি এখানে কোন আদর্শ নিয়ে, আসলে আদর্শ কি তাই তো এরা জানে না। এরা এসেছে হুকুম তালিম করার জন্য এবং এই হুকুম অমান্য করা দূস্বাধ্যই শুধু না এ নিয়ে কোন প্রশ্ন করারও এখতিয়ার নাই। একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বুঝাই, একবার রোযার ঈদ এর আগে ২-৩ জন বালক, আগারগাঁও মাদ্রাসার ছাত্র আমাদের বাসায় এসে সালাম দিয়ে কলেমা তৈয়ব বলে ফিতরা চাইল। আমার আম্মা জিজ্ঞাসা করল তোমরা এর অর্থ জান? তারা বলল হা জানে। আম্মা বলল যদি বলতে পার তোমাদের আমি ইফতার করাব কারণ আম্মা প্রত্যেক দিন কাউকে না কাউকে ইফতার করাত। তারা খুশি হয়ে বলল এর মানে হচ্ছে আল্লা রস্তে কয়টা ভিক্ষা দেন। আম্মা যখন তাদের সঠিক অর্থ শেখাতে চাইল তারা হুজুর যেটা বলছে সেটাই ঠিক বলে ইফতার না করেই চলে গেল। এরা হুজুরের কথায় কি না করে, ভিক্ষা করা, চুরি করা (গ্রামে মাদ্রাসার ছাত্রদের চুরির অভিযোগও আছে), মারামারি করা, হুজুরের বাসার যাবতীয় ফরমায়েস, এমন কি যৌন দাস হিসাবেও কাজ করতে হচ্ছে। তবে এই পর্যন্ত একটা মাদ্রসায়ও প্রতিবাদ এর কোন নজির নাই। শুধুমাত্র থাকা খাওয়া ও কাপড়ের বিনিময়ে এই দাসত্ব। তাদের কোন পরিবার নাই, আছ্রয় নাই, কোন কাজ করে খাওয়ার যোগ্যতা নাই এমন কি বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা নাই অনেকটা প্রতিবন্ধির মত। এদের কোন ভবিষ্যত নাই আর কেউ অতীত বলতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেম মওলানা গোলাম আযম ও বলেছেন যে আমি আমার সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াইনি কারন আমি তাদের যোগ্য বানাতে চেয়েছি। কাওমী মাদ্রাসাগুলো মূলত এধরণের ক্রীতদাস বানানর কারখানা। আধুনিক বিশ্বে এবং সভ্য সমাজে এটা মানবধিকারের চরম লঙ্ঘন।
©somewhere in net ltd.