নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই ছাই, এর সাথে একটু বাতাস পেলে তো উড়তে থাকে। প্রসঙ্গ হিন্দুদের উপর হামলা যেটা কিনা একজন অশিক্ষিত হিন্দু মাছ ব্যাবসায়ীর দারা উষ্কানীমূলক পোষ্টের কারণে ঘটেছে বলে সবাই প্রচার করে বেড়াচ্ছে। সবাই বিশেষ করে প্রগতিশীলরা মৌলবাদীদের বা উগ্র ধর্মান্ধদের দায়ী করে বক্তৃতা ও বৃবিতি দিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক ও ব্লগে উদারমনাদের পোষ্ট ও ব্লগে ছেয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গ একটাই ধর্ম ও ইসলাম কিন্তু আসলে ব্যাপারটা মনে হয় অন্যকিছু। কেউ কেউ আবার একটু রাজনৈতিক চিন্তা করছে যেমন হিন্দুদের তাড়িয়ে জমি দখল, জামাত বিএনপির রাজনিতি ব্লা ব্লা ব্লা। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা একটা সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।
আমরা যদি ইন্ডিয়াকে চিনে থাকি তাহলে বুঝব যে তারা সবসময় বাংলাদেশে একটি নতজানু সরকার চার তাদের সুবিদার্থে। এমনকি তারা যে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন বা ক্ষমতায় বসানোর জন্য সময় ও পয়সা ব্যায় করে তা অজানা নয়। সবার বিশ্বাস যে আওয়ামীলিগও তাদের সহায়তায় ক্ষমতায় বসছে বা টিকে আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলিগ ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু চায়নার সাথে একটা বড়রকম অর্থনৈতিক চুক্তি করেছে যা তাদের কল্পনায়ও আসে নাই কখনও। ভারতীয় প্ত্র পত্রিকায়ও এটা নিয়ে ব্যাপক সংশয় প্রকাশ করে খবর প্রকাশ করেছে। অতএব ভারত যে এটা মেনে নিবে বা হজম করতে পারবে তা আমি বিশ্বাস করি না। যদিও তারা সরকার পরিবর্তন করতে চায় না কারণ করলে যে দল আসবে তারা তাদের জন্য আরও বড় বিপদের কারণ হবে। কারণ হচ্ছে বিএনপির সাথে পাকিস্তান এর সম্পর্ক আরও বেশী ভাল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ চীন কোয়ালিশন আরও ভয়ঙ্কর হবে তাদের জন্য কারণ তখন পাকিস্তানী জঙ্গীরা বাংলাদেশের ভূমী ব্যাবহার করে ভারতে দুই দিক থেকে তৎপরতা চালাতে পারবে। তাই সরকার পরিবর্তন না করেই সরকারকে চাপে রাখার সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হচ্ছে আওয়ামীলিগের ভোটব্যাংক ক্ষ্যাত হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তোলা ও হিন্দু মুসলিম মুখোমিখি দাড় করিয়ে দেওয়া।
এতে ভারতের তিন ধরণের লাভ হবে। প্রথমটা হচ্ছে এই আক্রোশ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে তা সরকারের আওতার বাইরে চলে যাবে এবং রাজনৈতিক ভাবে সরকার দূর্বল হয়ে পড়বে এবং সরকার বাধ্য হবে ভারতের অনুগত হতে। দ্বিতীয়টা হল বাংলাদেশের প্রত্যেকটা হিন্দু নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ভারতে সম্পদ পাচার করতে ও ভারতে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হবে সেটা কিন্তু কম টাকা না কারন বাংলাদেশে এক কোটির বেশী হিন্দু বাস করে। আর তৃতীয় লাভ টা হল এই কোন্দল যদি সারা দেশে দাঙ্গার পর্যায় পৌছায় ভারত একটা সুযোগ খুজবে হিন্দুদের রক্ষা করার নামে বাংলাদেশে সেনা হস্তক্ষেপ করার।
সুতরাং ঘটনাটাকে নেহায়েত উষ্কানি ও উগ্র ধর্মান্ধদের ক্ষোভের ভিপ্রকাশ হিসাবে না দেখে আরও ভয়ংকর কিছু হিসাবে দেখে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া উচিৎ। বাংলাদেশে কত ভারতীয় বৈধ অবৈধভাবে বসবাস করে ও চাকুরী করে তাদের তালিকা করে নিয়ণ্ত্রন আরোপ করতে হবে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
গরল বলেছেন: বাংলাদেশে প্রায় এক লক্ষের উপর ভারতীয় বৈধ ভাবে চাকুরী করে আর অবৈধদের কোন হিসাব নাই
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
কানিজ রিনা বলেছেন: এদেশ বাংলাদেশ সরযন্ত্র করে লাভ নাই,
ভারতের গলাধ করন,পাকিস্তানের শোসন
আর চলবেনা। আর আন্তরজাতীক গার্জেন
যতই চালাকীর জালে আটকাক। কাটা দিয়ে
কাটা তোলার দিন আর নাই। অস্ত্র ব্যবসা
আর হয়না।
মোরা ঝন্ঝার মত উদ্যাম,মোরা বিধাতার মত
নির্ভয়। চীর নজরুলে প্রকৃতির উদ্যাম ঝন্ঝা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
গরল বলেছেন: ধন্যবাদ, ভরসা পেলাম আপনার কথায়
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সব যুক্তিই মন মত।।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
গরল বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে ছোট দেশ, এখানে শিক্ষিত বেকার, ও অর্ধ-বেকার সমস্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে; এদেশে ভারতীয়দের চাকুরী দেয়া জাতীর প্রতি অন্যায় করা।