![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ আমি। খুব সাধারন মানুষ।
.
(জেনর: সাইকোলজিকাল)
.
'জানুউউ, কি করো?'
" .... "
'কিছুনা বললা কিভাবে! আমার
সাথে যে কথা বলতেছ, এটি
কোন কাজ না, হুমমমম?'
অভিমানের সুরে বলল রিফাত।
" .... "
'আমি! এইতো, বসে বসে
আমার জানটার সাথে কথা
বলছি।'
" .... "
'উহু, এত্তোগুলা ভালোবাসি
তোমাকে। একটা পাপ্পি দাওনা।'
" .... "
'ওরে বাবা! হয়েছে হয়েছে।
তুমিই যদি সব দাও, তাহলে
আমি কি দিব?'
**
পাশের রুমে শুয়ে শুয়ে বেশ
বিরক্ত হচ্ছিল অনিম। প্রতি
রাতে এতো বকবক শুনতে
কারই বা ভালো লাগে? এক
সপ্তাহ হল এই ম্যাসে উঠেছে
সে। তার মতো এই ম্যাসটাও
নতুন। ছোট ছোট দুটো রুম।
অবশ্য বাথরুম রান্নাঘর সবই
আছে। আগে এটা এবাড়ির
কেয়ারটেকারের থাকার জায়গা
ছিল হয়তো। তবে, এখন ম্যাস
হিসাবে ভাড়া দেয়া হয়েছে।
বেচারা অনিম এখানে এসেই
পড়েছে এক ঝামেলায়।
পাশের রুমের ছেলেটার
প্রেমালাপের জ্বালায় তার ঘুম
হারাম টাইপ অবস্থা।
দরজার নিচ থেকে হাল্কা আলো
আসছে। ছেলেটার বদঅভ্যাস
মনেহয় এটা। প্রতিরাতে ঘরের
লাইট জ্বালিয়ে উচ্চস্বরে ফোনে
প্রেমালাপ করা। সাবলেট হিসে
খারাপ হলেও বন্ধু হিসেবে খুব
একটা খারাপ না রিফাত।
অনেক মিশুক।
চরম বিরক্তি নিয়ে বিছানায়
উঠে বসে অনিম।
নাহহহ, আজ এর একটা বিহিত
করতেই হবে। রিফাতের রুমের দরজার কাছে
যেয়ে বেশ অবাক হয় অনিম।
দরজাটা খোলা। ভেতর দিয়ে
হুডকো তোলা নেই দরজার।
তাই বাইরে থেকে ডাক না দিয়ে
দরজা খুলে সোজা ভিতরে
চলে যায় অনিম। দরজার দিকে
পিঠ দিয়ে খাটে উপুড় হয়ে শুয়ে
আছে রিফাত। দুহাতের কনুই
বালিশের উপর দিয়ে হাতের
পাতায় ভর দিয়ে মুখটা উঁচু
করে রাখা।
বোধহয় ভিডিও কলিং করছে।
'হায়রে ডিজিটাল।' চাপা একটা
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথা বলার
জন্য খাটের দিকে কিছুটা এগিয়ে
যায় সে।আর সেখানেই খায়
সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা। বরফের
মতো জমে যায় সে।
ভিডিও কলিং তো দুরের কথা,
সেখানে রয়েছে একটা মেয়ের
ছবি।
আর, ফোনটা শোভা পাচ্ছে
টেবিলের উপর। তবে কি ছেলেটা
প্রতিরাতে একটা ছবির সাথে
কথা বলে। একটা বদ্ধ উন্মাদের
সাথে এক ছাদের নিচে থাকছে
সে।
ওদিকে অনিমের আসার বিষয়টা
খেয়াল করে রিফাত।
কিছুকাল আগে রোমান্টিকতায়
ডুবে যাওয়াছেলেটা হঠাৎ করে
বদলে যায়।
বিছানার নিচ থেকে ধারালো
পকেট নাইফটা নিয়ে ঝাপিয়ে
পড়ে অনিমের উপর।
মৃদু ঘরঘর শব্দ আসছে অনিমের
গলা থেকে। কন্ঠনালি কাটা
গলা থেকে এরকম শব্দই আসে।
রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে।
যেন রক্তের সমুদ্রের মাঝে
একটা লাশ নিয়ে বসে আছে
রিফাত। হালকা কাপুনি দিচ্ছে
অনিমের দ্বিখন্ডিত শরীরটা। নিস্প্রান চোখ দুটোতে
তীব্র
আতঙ্ক। নিথর অনিমের বুকের
উপর বসে আনমনে বিড়বিড়
করছে রিফাত। খুব ভালো করে
খেয়াল করলে হয়তো শোনা
যাবে "আনিকা আর আমার
মাঝে কাউকে আসতে দিবনা
আমি। শেষ করে দিব সবাইকে।"
কিবোর্ডের উপর মাঝারি আকারের একটা
ঝড় তুলে
গল্পটা লেখা শেষ করলেন
সাজিদ শাহরিয়ার। প্রবীন
লেখক। চল্লিশের উপর বয়স
তাঁর। চুলে হালকা পাক ধরেছে।
তবে, একা মানুষ তিনি। বিয়ে
করেননি। তাঁর বিয়ে না করার
রহস্যটাই তাঁর ফ্যানদের কাছে
সবচেয়ে বড় রহস্য। লেখক
হিসেবে ভালো নাম কামিয়েছেন
তিনি। তাঁর সাইকো থ্রিলার,
মার্ডার মিষ্ট্রিগুলোর এখন খুব
চাহিদা পাঠক সমাজে। নতুন
বইটার জন্য এতোক্ষন গল্প
লিখছিলেন তিনি। বরাবরের
মতো এবারও হয়তো বেস্ট
সেলার হবে তাঁর বই।
তাঁর কাল্পনিক চরিত্র রিফাতের
জন্য খুব খারাপ লাগছে তাঁর।
বেচারা অধিক শোকে পাথর
হয়ে গেছে।
"মুখ দিয়ে চুকচুক জাতীয়
একটা শব্দ করেন তিনি।" হঠাৎ
তাঁর খেয়াল পড়ে দেয়াল
ঘড়ির দিকে।
"যাহ্, রাত দেড়টা বাজে এখন!
দিশা তো মনেহয় অভিমানে
গাল ফুলিয়ে বসে আছে।"
দ্রুত পিসির সামনে থেকে
উঠে টেবিলের কাছে চলে
আসেন তিনি। ড্রয়ার থেকে
বের করে আনেন দিশার
একটা ছবি।
শুরু হয় কথোপকথন।
সরি কথন হবে।
কারন এখানে তো কোন দ্বিতীয়
বক্তা নেই। রাত বাড়ছে। সাজিদ সক্ষম
হয়েছেন তার প্রেয়সীর রাগ
ভাঙ্গাতে। জমে উঠেছে তাঁর
একপাক্ষিক প্রেমকথন।।।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০
উপন্যাসের ছেঁড়া পাতা বলেছেন: আসলে, মোবাইলে লেখি তো, তাই বিষয়টা বুঝতে পারি নাই।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এতো ছোট ছোট লাইনে লেখছেন ক্যান ভাই?