নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার হারিয়ে গিয়ে ফেরৎ আসার ছোট গল্পটা.....

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

সালটা ২০০৯, অনেকের মতই আমার জীবনের আকাশেও মেঘের ঘনঘটা; কখন যে কালবৈশাখী নয়তো মিষ্টি বৃষ্টি বয়ে যাবে, কেউ জানে না। শুধু জানি যে চেষ্টায় সব হয় ‌ - করণে ৭মী।

সেই ভরসায়ই ভরসা ম্যাচ দিয়ে আশার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলাম, কোচিংয়ে ভর্তি হলাম। গ, ঘ, আর IBA (BBA) কোচিং করার জন্য নামকরা একটা কোচিংয়ে ভর্তি হলাম। পড়ে বুঝলাম ঘ এর কোচিং করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আর তখন প্রচন্ড ইচ্ছা ছিল IBA এর BBA করব। তাই তার জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় লিপ্ত হলাম। কিছুদিন পরে গ এর কোচিংটাও বন্ধ করে দিলাম।

তখন BBA (IBA), DU এর কোচিংটাই পুরোদমে করলাম। পরীক্ষার তখন মাসখানেক বাকী, এটা ছাড়া অন্য কিছু আর পড়িই নি।

পরীক্ষা হল, লিখিততে উতরে গেলাম, ভাবলাম বাকীটাও ছক্কা পেটাব, কিন্তু শেষটায় ব্যাটে বলে হল না, ফক্কা নিয়ে ফেরৎ আসলাম।

দিনটা ছিল নভেম্বর ১৮, বিকাল ৫টা।

গ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ নভেম্ভর, অন্য কোনটার ফরমও কিনি নাই :((:((

কিছুই পড়ি নাই, ২ মাসের মতন, জীবনের প্রথম ও শেষ প্রেমে অভাবনীয় ছ্যাঁকা খাইলাম, কাঁদতে কাঁদতে আর কোন অবস্থা নাই।

হাতে আছে ১টা দিন, লেকচার শীট উল্টে পাল্টে সব কিছু চাইনিজ চাইনিজ লাগছে। বাংলার অবস্থা সবচে খারাপ, কিছুই পারি না।

একটা পরীক্ষা দিলাম, তাতে ফেল করারও অবস্থা নাই।

বাংলা ২ বা ৪টা বড়জোর পারতে পারি, বাকীগুলা নামে মাত্র পারব কিনা সন্দেহ।

কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষার হলে গেলাম, ২০ নভেম্বর; সিট পড়ছে ৫০১ এর ১১ নং টেবিলে।

সবাইরে দেখলাম, কত্ত ব্রিলিয়ান্ট, একেকজনের চেহারায় বলে এরা সবে যুদ্ধ করতে বিশাল বিশাল অস্ত্র নিয়া আসছে।

আর আমি ! নিজেই কোন মতে আসছি, সাথে শুধু এক বোতল পানি।

প্রশ্ন পাইলাম, প্রশ্ন দেখে পছন্দ হল; সুন্দর ছাপা।

প্রশ্ন পড়লাম, বাংলায় ৪টা প্রশ্ন পারি না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আর পায় কে আমায়, সব উত্তর দিলাম। সবই দেখি চাইনিজ থেকে বাংলা হয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ্ আমায় সহায় হলেন। আমি ঢাবির ছাত্র হয়ে গেলাম॥



এই হল এককথায় আমার কাহিনি।



আমি ৩ বছর ভার্সিটি কোচিংয়ে পড়িয়ে এটা বুঝলাম যে পোলাপাইনয কোচিংয়ে আসে টাংকি মারতে, প্রেম করতে; পড়তে না।

যেখানে জীবন মরণ অবস্থা, সেখানে পোলাপাইন কেমনে পড়াবাদে অন্যকিছুর চিন্তা মাথায় আনে বুঝি না আমি এখনও; MBA শেষের পথে, তারপরও এই প্রশ্নের কোন উত্তর পাইনি।



আর ঢাকার ছেলেমেয়েগুলান হইল আধমরা, এরা মরার আগেই মারা যায়, এরা হয় কম খাটে, নয় প্রেম করে, নয় সহজ পন্থা প্রাইভেটের জন্য মরিয়া হয়ে মা বাপের পকেট কাটে। এমনি ২য় বারও চেষ্টা করে না। এমনের সংখ্যাটা ৬০%ও বেশি।

আর ঢাকার বাইরের এরা বেশির ভাগই মুটামুটি জানপ্রাণ দিয়া দেয়। তার প্রমাণ প্রতিটা পাবলিকের ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা।

তাহলে এত "ভাল ভাল স্কুল কলেজে" কি শেখায়??

শুধু এ+ ই কি সব?

নাকি আরও কিছু আছে?

যাই হোক, তোমরা যারা পরীক্ষা দেবে তাদের বলছি:

If you believe, you can do it; yes, you can do it. If you believe, you cannot do it; yes, you cannot do it.

So believe in yourself, work hard, pray for you and your competitors, in shaa Allah, Allah will help you.

নিজের খেয় বনের মোষ না তাড়িয়ে, স্বীয় কাজে মন দাও; ভাল কিছু না কিছু পাবে, কিছু না করলে কি কিছু পাবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.