নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার বস সবসময়ই চায়, আপনি যেন কম কাজ করেন, আর তার লোকসান করেন ! ! !

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪১

আপনার বস সবসময়ই চায়, আপনি যেন কম কাজ করেন, আর তার লোকসান করেন ! ! !






হ্যাঁ, কথাটা ঠিকই।
আপনার বস সবসময়ই চায়, আপনি যেন কম কাজ করেন, আর তার লোকসান করেন আর তাতে আপনার কোন অভিযোগই থাকা উচিৎ নয়।

কিভাবে?
হুম, আসুন এবার সেটায়।

একজন লোকের কর্মক্ষমতা "পূর্ণ"রূপে তখনই তাকে যখন তিনি
১। সুস্থ্য থাকেন
২। মন প্রফুল্ল থাকে


এদুটোর একটায় ঘাটতি মানে কম বা মনযোগহীন নামমাত্র দায়সারা কাজসম্পন্ন করা।

এবার আসুন, ব্যাপারটা খতিয়ে দেখি।
একটা লোকের ধরুন অফিস মতিঝিলে, সকাল ৯ টায়।
৯টা মানে ৯ টায়ই, ১ মিনিট বেশি মানেই সেদিনের বেতন কাটা। ধরুন, উনি মিরপুর/উত্তরা/সাভার/আজিমপুর/মোঃপুর থাকেন। তাহলে উনায় ঘুম থেকে ৬টার মধ্যে উঠতে হবে। ৭টার মধ্যে বের হয়ে গেলে সকল আম, জাম, কলা, কাঁঠালের ডিলারশিপের ডেলিভারি শেষ করে অফিসে পৌঁছাতে পারবেন।
অফিসের বস অসম্ভব ভাল, উনি দুপুরে বা বিকেলে বা সন্ধ্যায় অফিসে এসে সবার কাজের হিসেব নেন। মুদি দোকানের মতন হিসাব পয়সায় পয়সায় মিলিয়ে ১০টা বা ১১টার আগে কেউ বেরই হতে পারে না। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১২ টা। খেতে খেতে ১টা। তারপর খেয়েই ঘুম, আর আবার সকাল ৬টা। ঘোষিত "ছুটির" দিনেই কেবল ৬টা হয়ে যায় ৯টা। কিন্তু ফেরাটা হয়ত সেদিন আর হয়ইই না।
এতে উপকার কি হল? বেসম্ভব রকম "কাজের চাপ", আর অসম্ভব রকম দক্ষতার প্রশিক্ষণ হল। এই টাইম টেবিল থেকে নিজের জন্য কোন সময়ই নাই। বউ, বাচ্চা তো দূরের কথা।
এবার আসুন, খাওয়া-দাওয়ায়। সেই সকালে কিছু খেতে মন চায় না, কারণ রাত ১টায় খাওয়ায় ক্ষুধা লাগে নাই, কোনমতে বালিশচাপা হয়েছে। কাজের এতই ব্যস্ততা যে, গ্যাস, অম্বল, বদহজম নামট উৎকৃষ্ট বান্ধবী, বন্ধুদেরকে সারাজীবনের জন্য বউয়ের চেয়েও আপন করে নিয়েছেন। দুপুরেও যে একটা খাবার সময় আছে, সেটা ৫টার আগে আর মনেই হয় না। ফলে চা, পুরি, ফাস্টফুডই "শেষ" ভরসা!
এতে কি হল?
দেহের প্রাকৃতিক যে সাইকেলটা আছে, সেটা নষ্ট হয়ে গেল।
আর কোন ব্যায়াম করার সময় না থাকায় ডায়াবেটিস, প্রেসার, কিডনি রোগ, লিভার রোগ, হার্টের রোগ নামক মহীয়সী অপরূপা অপ্সরী প্রেয়সীদের সাথে প্রমটা জীবনভর জমজমাটই হয়ে গেল। তাদের সাথে বিয়ে না হলেও, আত্মীকসম্পর্কটা ঠিকই অটুট থাকছে।

এবার আসুন, শুরুর কথায়, আপনার বসেরা জেনেবুঝেই ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ খেয়ে এই রকম একটা কাজের সময় বানিয়েছে, যাতে আপনি তিলে তিলে মরে যান।

আপনার অফিস ১০টায় ও বিকাল ৪.৩০ শেষ হলে আপনি বাসায় ফিরে অন্তত ১টা ঘন্টা নিজের জন্য দিতে পারতেন, ব্যায়াম করতে পারতেন, বাচ্চাকে পড়াতেও পারতেন। তাতে আপনিও সুস্থ্য থাকতেন সাথে মনটাও প্রফুল্ল থাকত। আর আপনার কাজও অনেক অল্পসময়ে বেশি ও ভাল হত।

এজন্যই বললাম যে, আপনার বস সবসময়ই চায়, আপনি যেন কম কাজ করেন, আর তার লোকসান করেন ।

সাজ্জাদ হোসেন
বুধবার
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
রাত ১১:৩০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে নারী কর্মীদেরকেও এই শিডিউল মানতে হয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৫

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: আমার মনে হয় না আমি কোথাও নারী বা পুরুষের ভেদ করেছি। তবে কেন "নারী"দের আপনি "আলাদা" করতে চাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.