নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজেট কি ও কেন - জেনে রাখুন

০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাজেট পাঠ সহায়িকা ২০১৩-২০১৪’ হতে...
.



.
বাজেট পরিচিতি
সরকারি অর্থের মালিক মূলত জনগণ। সুতরাং সুচারুভাবে সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের জনসাধারণ কীভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারেন, বাজেটে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা থাকে। বস্তুত বাজেট প্রতিটি নাগরিককে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করলেও অনেকেই তা অনুধাবন করতে পারেন না। বাজেটের গুরুত্ব পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধির জন্য এর মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একজন নাগরিকের স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষত, সাধারণ অর্থে বাজেট কী, জাতীয় বাজেট কী, এর রূপরেখা কী, কোথা থেকে অর্থ আসে, কোথায় তা ব্যয় করা হয়, কেন ঘাটতি হয়, কীভাবে তা মেটানো হয় এসব বিষয়ে সবারই ধারণা থাকা দরকার। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো এ ‘বাজেট পাঠ সহায়িকা ২০১৩-১৪’ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ পুস্তিকাতে বাজেট সংক্রান্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মনে যেসব প্রশ্ন থাকে সে সম্পর্কে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে। এ থেকে সাধারণ পাঠক বাজেট সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন।
.
.
বাজেট কী?
সাধারণভাবে বলতে গেলে বাজেট হলো একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য আয় ও ব্যয়ের প্রাক্কলন। বাজেট যে শুধু সরকার তৈরি করে তা নয়; বাজেট ব্যক্তি, পরিবার, ব্যবসায়ী, দেশীয় বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোনো সংগঠনেরও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিমাসে উপার্জিত আয় এবং সে অনুসারে ব্যয়ের পরিকল্পনা হলো তার ব্যক্তিগত বাজেট। অন্যদিকে সরকার প্রতি অর্থবছরে তার আয় ও ব্যয়ের যে হিসাব বিবরণী তৈরি করে তা হলো জাতীয় বাজেট।
.
.
জাতীয় বাজেট

আগেই বলা হয়েছে, জাতীয় বাজেট হলো একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয় সংবলিত একটি হিসাব বিবরণী। এ বাজেট তৈরির সময়ে নিম্নবর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়:
ক. সরকারে নীতি ও উদ্দেশ্য (যেমন: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, দারিদ্র্য নিরসন, কৃষি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ইত্যাদি) বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় পরিকল্পনা;
খ. উক্ত নীতি ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস হতে রাজস্ব (যেমন, কর ও করবহির্ভূত আয়, অনুদান ইত্যাদি) সংগ্রহের পরিকল্পনা;
গ. আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ব্যয় প্রাক্কলন বেশি অর্থাৎ ঘাটতি হলে তা মেটানোর পরিকল্পনা।
.
.
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারের পক্ষে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে থাকেন। সংসদে তার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার আলোকে যে ক্ষেত্রে সংশোধনের প্রয়োজন তা সংশোধনের পর জাতীয় বাজেট সংসদের অনুমোদন লাভ করে।
.
বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:
ক. বাজেটে যে সম্পদ বরাদ্দ করা হয় তার সাথে সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প/কর্মসূচির যোগসূত্র স্থাপন; এবং
খ. সম্পদ বরাদ্দের সাথে কর্মকৃতি/ফলাফলের সম্পর্ক স্থাপন।
উল্লেখ্য, মধ্যমেয়াদি বাজেট ৩-৫ বছরের জন্য তৈরি হতে পারে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ বছরের জন্য মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রণয়ন করা হলেও ২০১৪-১৫ অর্থবছর হতে ৩ বছরের জন্য তা প্রণীত হবে। মধ্যমেয়াদি বাজেটের ক্ষেত্রে প্রথম বছরের যে আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় তা জাতীয় সংসদে আলোচনা এবং অনুমোদিত হয়। পরবর্তী বছরগুলোর জন্য আয়-ব্যয়ের অনুমিত লক্ষ্যমাত্রাকে বলা হয় প্রক্ষেপণ।
.
.
জাতীয় বাজেটের রূপরেখা:
জাতীয় বাজেটের চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে:
১. প্রাপ্তি
২. ব্যয়
৩. বাজেট ঘাটতি
৪. ঘাটতি অর্থায়ন

.
১. প্রাপ্তি:
কোন কোন উৎস থেকে সরকার অর্থ সংগ্রহ করে?
সরকার যে সব উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে তা দু’ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো, কর বাবদ প্রাপ্তি এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি।

১.ক) কর বাবদ প্রাপ্তি
এ ধরনের প্রাপ্তি পণ্য, সেবা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর আরোপিত কর থেকে আসে। যেমন, ব্যক্তির আয়ের উপর কর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার উপর কর, আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), ভূমি উন্নয়ন কর, যানবাহনের উপর কর, স্ট্যাম্প ডিউটি ইত্যাদি।

১.খ) কর ব্যতীত প্রাপ্তি
কর ব্যতীত প্রাপ্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রশাসনিক ফি, লভ্যাংশ ও মুনাফা, জরিমানা, দন্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ, সুদ, ভাড়া ও ইজারা, টোল ও লেভি ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে রেলপথ, ডাক বিভাগ ইত্যাদি হতে প্রাপ্ত আয়।
.
২. ব্যয়:
সরকারের প্রাপ্ত অর্থ কীভাবে ব্যয়িত হয়?
সরকারি অর্থ সম্পদ মূলত দুটি বৃহত্তর খাতে ব্যয়িত হয়। এগুলো হলো, রাজস্ব ব্যয় (অনুন্নয়ন ব্যয় ও বলা হয়ে থাকে) ও উন্নয়ন ব্যয়।

২.ক) রাজস্ব ব্যয়/অনুন্নয়ন ব্যয়
সরকার জনসাধারণকে যেসব সেবা দিয়ে থাকে তা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ব্যবহৃত অর্থই রাজস্ব ব্যয়। এ ব্যয় নৈমিত্তিক ধরনের হয়ে থাকে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভর্তুকি, সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, সরবরাহ ও সেবা রাজস্ব ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, সামাজিক নিরাপত্তা বাবদ ব্যয়, সুদ পরিশোধ ইত্যাদিও রাজস্ব ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।

২.খ) উন্নয়ন ব্যয়
সরকারি বিনিয়োগধর্মী প্রকল্প, বিশেষ করে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ (যেমন-সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি) মানবসম্পদ উন্নয়ন (যেমন-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) এবং কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ উন্নয়ন ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে বিভিন্ন সেক্টরে প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন ব্যয় পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ থাকে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মূলত তিনটি উৎস থেকে অর্থের সংস্থান করা হয়। এগুলো হচ্ছে-রাজস্ব উদ্বৃত্ত, ঋণ ও অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ।
.
৩. বাজেট ঘাটতি:
সরকারের ব্যয় প্রাপ্তির চেয়ে বেশি হলে ঘাটতির সৃষ্টি হয়। বাজেট ঘাটতি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, উন্নয়ন কাজে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
.
৪. ঘাটতি অর্থায়ন:
বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে তা হচ্ছে ঘাটতি অর্থায়ন। ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন আয় থেকে ব্যয় বেশি হলে অর্থাৎ ঘাটতি হলে ঋণ গ্রহণ করতে হয়, সরকারের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সরকার কতটুকু ঋণ নেবে তার জন্য পরিকল্পনা করতে হয়। তা না হলে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
সরকার মূলত দুটি উৎস হতে ঘাটতি অর্থায়ন করে থাকে। একটি হলো অভ্যন্তরীণ এবং অন্যটি বৈদেশিক।
অভ্যন্তরীণ ঋণ আবার ব্যাংক এবং ব্যাংকবহির্ভূত, এ দু’অংশে বিভক্ত। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ মূলত নেয়া হয় জাতীয় সঞ্চয় স্কিম, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং সমজাতীয় অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে। বৈদেশিক ঋণ থেকে অর্থের সংস্থান প্রকল্প সাহায্য (যেমন, বাজেট সহায়তা, অনুদান ও ঋণ আকারে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি সহায়তা) ইত্যাদি থেকে আসে।
.
.
বাজেট চক্র
সরকারি বাজেট হচ্ছে সরকারের বার্ষিক আর্থিক পরিকল্পনা। বাজেট প্রণয়ন হতে শুরু করে এর নিরীক্ষণ পর্যন্ত কয়েকটি নির্দিষ্ট ধাপে সমগ্র বাজেট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত ধাপগুলোর সমষ্টিই হচ্ছে বাজেট চক্র।
.
নীতি ও পরিকল্পনা
বাজেটকে ঘিরে পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নের মধ্য দিয়েই বাজেট চক্র শুরু হয়। বাজেট বক্তৃতায় জনগণকে দেয়া অঙ্গীকারগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার সময়ভিত্তিক নীতি/পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মুখ্য দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেবা প্রদানের দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই তার নিজস্ব কৌশলগত উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে এবং এসব উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান কাজগুলো চিহ্নিত করে থাকে। মন্ত্রণালয়গুলো তাদের নিজস্ব নীতি পরিকল্পনা দলিলসমূহকেও একই সাথে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। পরিকল্পনা পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হচ্ছে প্রধান কর্মকৃতি নির্দেশক ও ফলাফল চিহ্নিত করে এর বিপরীতে পরিমাপযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।
.
বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন

মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় বাজেট প্রণয়ন মূলত তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। কৌশলগত পর্যায়, প্রাক্কলন পর্যায় এবং বাজেট অনুমোদন পর্যায়।

কৌশলগত পর্যায়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তরসমূহকে বিদ্যমান নীতি-কৌশল, অগ্রাধিকার, পূর্বের অর্জন এবং প্রাপ্য সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাঠামো হালনাগাদ করতে হয়।
বাজেট প্রাক্ষলন পর্যায়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগকে একবছর মেয়াদি বাজেট প্রাক্ষলন এবং পরবর্তী দুই বছরের জন্য বছরভিত্তিক বাজেট প্রক্ষেপণ প্রস্তুত করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মোট রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয়কে উক্ত মন্ত্রণালয়/ বিভাগের জন্য অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত ব্যয় সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়। পরবর্তীতে এসব প্রাক্কলন/ প্রক্ষেপণকে অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/ বিভাগ থেকে বাজেট প্রাক্কলন/ প্রক্ষেপণসমূহ প্রাপ্তির পর অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশন এসব প্রাক্কলন/ প্রক্ষেপণ সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকার, বাজেট পরিপত্রে নির্দেশিত নিয়মাবলি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট ব্যয়সীমার মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে কিনা তা পর‌্যালোচনা করে থাকে। পরিশেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগের সাথে আলোচনাক্রমে ও সর্বসম্মতভাবে রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন চূড়ান্ত করা হয়।
পারস্পরিক আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে চূড়ান্তকৃত এসব প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণকে সমন্বিত করে অর্থ বিভাগ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর মাননীয় অর্থমন্ত্রী মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোসহ বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি (বাজেট) আলোচনা ও অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
.

বাজেট বাস্তবায়ন
.
ক. বাজেট মঞ্জুরি অবহিতকরণ ও বণ্টন
সংসদে বাজেট অনুমোদনের পর অনুমোদিত বাজেট জুলাই মাসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। তারপর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ তার অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোকে তাদের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ সম্পর্কে অবহিত করে।
মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীন অপারেটিং ইউনিটসমূহের জন্য প্রযোজ্য মঞ্জুরি একজন আয়নব্যয়ন কর্মকর্তার অধীনে ন্যস্ত করা হয় ।
.
খ. অর্থছাড়/অবমুক্তি
নগদ ব্যবস্থাপনার (Cash Management) স্বার্থে বাজেট মঞ্জুরির সাথে সঙ্গতি রেখে অর্থছাড়/ অবমুক্ত করা হয়। সাধারণত বিভাজন অনুমোদনসাপেক্ষে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রথম তিন কিস্তির অর্থ অবমুক্তির এখতিয়ার রাখে। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
.
গ. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ
ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মোট ব্যয় অনুমোদিত বরাদ্দের মধ্যে সীমিত রাখা। একই সাথে, বরাদ্দকৃত অর্থ জনস্বার্থে ও যে উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করা হয় সে উদ্দেশ্যে ব্যয় হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের মুখ্য হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ব্যয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
.
ঘ. পুনঃ উপযোজন
সাধারণত পূর্বনির্ধারিত কতিপয় নিয়মাবলি মেনে বাজেটে বরাদ্দকৃত এক খাতের অর্থ যৌক্তিক কারণে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অন্য খাতে স্থানান্তরকে পুনঃউপযোজন বলা হয়। পুনঃউপযোজন করতে হলে নির্ধারিত নিয়মানুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়।
.
ঙ. অব্যয়িত অর্থ সমর্পণ
ব্যয় স্থগিতকরণ, মিতব্যয়িতার ফলে ব্যয় সাশ্রয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত প্রাক্কলন কিংবা প্রশাসনিক কারণে স্বাভাবিক ব্যয়ের সাশ্রয় হলে অব্যয়িত অর্থ নিয়মানুযায়ী সরকারি কোষাগারে সমর্পণ করতে হয়। ভবিষ্যতের কেনো ব্যয় মেটানোর জন্য অব্যয়িত অর্থ ধরে রাখা যায় না। অব্যয়িত অর্থ অর্থবছরের শেষ দিনের (৩০ জুন) মধ্যে নিয়মানুযায়ী সরকারি কোষাগারে সমর্পণ করতে হয়।
......

জেলা বাজেট

জাতীয় বাজেটে সরকারের যে ব্যয় পরিকল্পনার প্র তিফলন ঘটে তা মূ লত মন্ত্রণালয়/বিভাগভিত্তিক। এক্ষেত্রে ভূ-অঞ্চলভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ প্রদর্শিত হয় না। তবে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমতা বিধানের স্বার্থে সরকার জেলা বাজেট প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে। বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত সকল সরকারি দপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদর্শন করে জেলা বাজেট প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।
উপর্যুক্ত প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটের সাথে পাইলট ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত সকল সরকারি দপ্তর, সংস্থা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতীয় বাজেট থেকে প্রদত্ত বরাদ্দ প্রদর্শন করে জেলাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন উভয় প্রকার বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাজেট নিয়ে আপনার লেখাটা অসম্পূর্ণ। অপ্রয়োজনী জিনিসে ভরা। দরকারি আলাপ আলোচনা নেই।

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: কি কি জানতে চাচ্ছেন সেটা বললে ভাল হয়|

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

শরীফুর রায়হান বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল, ধন্যবাদ

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক তথ্য আছে।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০১

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.