নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের স্থান আর বউয়ের স্থান সম্পূর্ণ পৃথক! তুলনা করবেন না প্লিজ!

১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:১০



জে আই সাগরের ব্লগ থেকে নেয়া মূল গল্পটি‍ :

"হয়তে অনেকেই জানে, তবুও লিখছি, শুনেছিলাম আর মনে লালন করি সযতনে সব সময়"

এক সুন্দরী স্ত্রীর ভালবাসায় উম্মাদ হল । তাকে বার বার ভালবাসি বলেও বিশ্বাস করাতে পারেনা। একদিন বলল সত্যিই তোমাকে পৃথিবীর সব কিছুর চাইতেও বেশি ভালবাসি। যথা উত্তর করল প্রিয়তমা স্ত্রী... কী প্রমান দেবে। প্রতি উত্তর তুমি যা বল। ঠিক আছে যদি তুমি সত্যিই আমাকে ভালবাস তবে তোমার মায়ের কলিজা এনে দেখাও। উম্মাদ হয়ে চলে গেল মায়ের কাছে। মা'কে হত্যা করল। এবং কলিজা খুলে হাতে নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটল ভালবাসার প্রমান করতে। হঠাৎ পাথরের সাথে হোচট খেয়ে বলল.. উহ! মা! মায়ের কলিজা থেকে আওয়াজ এল বাবা তুই ব্যথা পেয়েছিস। কর্ণপাত না করে মেয়েটির কাছে গিয়ে বলল এই নাও আমার মায়ের কলিজা। মেয়েটি তখনি বলে উঠল যে ছেলে আমার ভালবাসার প্রমান দিতে নিজের মাকে হত্যা করে, কি করে মেনে নেব যে অন্য কারো ভালবাসা প্রমান করতে সে আমাকে হত্যা করবেনা। এই বলে তাকে ফিরিয়ে দিল, ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সত্যিকারের পাগল হয়ে গেল।




“ মা'কে নিয়ে লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায় সেই ছেলেটির কথা, যে প্রিয়তমাকে উপহার দেবে বলে মা'র হৃৎপিন্ডটা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। পথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে মা'র হৃৎপিন্ড বলে ওঠে - "বাবা, ব্যাথা পেলি?"



অন্য সবার মতো এই অংশটুকু পড়ে ধাক্কাটা আমিও খেলাম। সেই পুরাতন বউ-শ্বাশুড়ী কলহের পরিনিতিতে উ‍পন্ন গল্প । যে গল্পে কোন এক যুবকের প্রিয়তমা কে অনেক নিষ্ঠুর আর হিংস্র দেখানো হয়েছে। সেই নারী তার প্রেমিক প্রবর কে বলেছে যে তার মায়ের হৃৎপিন্ড কেটে নিয়ে আসতে পারলে সে বুঝতে পারবে যে যুবকটি সত্যি সত্যি তাকে ভাল বাসে!



এ কেমন গল্প? কেন একটি নারীকে বড় করতে গিয়ে অন্য একটি নারীকে খাটো করা!? অশিক্ষিত আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রামাঞ্চলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই গল্পটিকে আর কেউ ব্যবহার করবেন না, প্লিজ! এটা কোন ভাল উদাহরণ হতে পারেনা।



এক জন মা যেমন তার সন্তানকে অনেক ভালবাসেন তেমনি সন্তানও তার মাকে কম ভালবাসে তা মনে করার কোন কারণ নাই।মমতার অসীম বাধনে বাধা তাদের সম্পর্ক।



এক জন পুরুষের জীবনে দুই জন নারী আসেন। দুই জনই আসেন অনেক নিবিড়ভাবে কিন্তু সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন রূপে, ভিন্ন পরিচয়ে। কারো সাথেই কারো তুলনা করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। এক জন পুরুষের জীবনে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি তার কাছে তার স্ত্রীও অনেক গুরুত্বর্পূণ। কেবল মাত্র নির্বোধ ব্যক্তিরাই এই দুই জনের তুলনা করে। মায়ের স্থান মায়ের কাছে। স্ত্রীর স্থান স্ত্রীর কাছে। তাই অহেতুক তুলনা করে এই দুই জন রমনীর মাঝে বিভেদের দেয়াল তুলে দেয়াটা অসমীচীন বলেই আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। আজ যিনি স্ত্রী ,ক'দিন পরেই তিনি মা হবেন। তিনি তার সন্তানের জন্য অপার মমতা বক্ষে লালন করবেন এটাই স্বাভাবিক। এ কজন নারী একই সাথে কন্যা, জায়া, জননী। খাটো করবেন কাকে?



লোক মুখে প্রচলিত একটি গল্পের রেশ ধরে তাই মাকে বড় দেখাতে গিয়ে প্রিয়তমা তথা স্ত্রীকে খাটো দেখানোর মাঝে কোন কৃতিত্ব আছে বলে আমি মনে করি না। এক জন পুরুষ যেমন তার মাকে ভালবাসে তেমনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীকেও ভালবাসে। এই ভালবাসাকে খাটো করে দেখার কোন কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই দুই রমনীর মাঝে বিভেদের দেয়াল তুলে দেয়ার। আজ যে প্রিয়তমার আসনে কাল সে স্ত্রী হবে। পরশু সে মা হবে। এই ভাবেই তো যুগ যুগ ধরে চলছে পৃথিবী। চলবে আজীবন।



আমি বিশ্বাস করি না কোন মেয়ে তার প্রিয়তমাকে তার ভাল বাসা পরীক্ষা করার জন্য তার মায়ের হৃৎডপিন্ড কেটে বের করে নিয়ে আসতে বলবে। আমি আরো বিশ্বাস করি না যে, এমন কোন কুপুত্র নেই যে একটি মেয়ের কথায় ভালবাসা প্রমাণ করার জন্য তার জন্মদাত্রী মাতার হৃৎপিন্ড কেটে বের করে নিয়ে ঐ মেয়েকে উপহার দিবে। ভালবাসা কি এতোই ঠুনকো যে এই ধরনের নিষ্ঠুরতার মধ্যে দিয়ে তার প্রমাণ দিতে হবে? ভালবাসা প্রমাণ দেয়ার বিষয় নয়। একান্তই অনুভবের একটি বিষয়। এই অনুভূতি সবার মাঝে থাকতে হবে। শুধু শুধু কেবল মেয়েদের দোষ দিয়ে বাহাদুরী দেখিয়ে কি লাভ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:১২

আলী প্রাণ বলেছেন: কিসের মাঝে কি??

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আলী প্রাণ সাহেব, আপনার প্রশ্ন বুঝতে পারলাম না। তবে আপনি যে মহা বিরক্ত হয়েছেন তা বুঝা গেল। ভাই, গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!? সব সংকীর্ণতা কেবল মেয়েদের মাঝে। এমনই হবে। কারণ সমাজটা তো পুরুষ শাসিত।

২| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:১৫

সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: বউ হারালে বউ পাবিরে প্রতি ঘরে ঘরে
মা হারালে মা পাবিনা হাজার সাধন করে
(নকুল কুমার)

এমন...................?????

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আলোচ্য মহান এই গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!? হারালে কোন কিছুই আর ফিরে পাওয়া যায় না রে ভাই। তাই মন পরিস্কার করা ছাড়া গতি নাই।

৩| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:২১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মেয়েদেরই মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, ছেলের বাবা-মা যে শত্রু পক্ষ না এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা তাদের পক্ষে প্রায়শই সম্ভব নয়। এসব পরিস্থিতি নিয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন পুরুষরাই। বলে লাভ নেই, এইসব কোনদিনও বদলাবেনা।

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অতি মহত এই গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!? দিন তো বদলাতে হবে। চিরদিন এক রকম থাকলে তো চলবে না।

৪| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:২৯

ফজল বলেছেন: এটা একটা ঐতিহ্যবাহী সমস্যা। আজ যে ননদ, সে মনে করে ভাবীকে খোঁচানো তার অধিকার ও কর্তব্য। কাল যখন সে আবার বধু হয়ে যায়, তখন এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াকে নিজের জন্য হলেও জরুরী মনে করে এবং শ্বাশুড়ীকে সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবতে শুরু করে। এরপর কালক্রমে সে যখন শ্বাশুড়ী হয়ে যায়, তখন ঐতিহ্য রক্ষার্থে তার শ্বাশুড়ীর কাছ থেকে পাওয়া কথা, বকা, শাসন, পীড়ন সব কড়ায়গণ্ডায় উশুল করা ফরয ভাবতে শুরু করে।

এগুলো বলে ক'য়ে বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজন জাতীয়ভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া। কিন্তু ভাবার মত লোক কোথায় আর ফুরসৎই বা কোথায়?

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আলোচ্য গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!?

৫| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:৩৭

জাতি জানতে চায় বলেছেন: এটা মেয়েদের প্রচলিত সংকীর্নতার কারনেই ঘটে!

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই, গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!? এখানে আপনি সংকীর্ণতা দেখলেন কেবল মেয়েদের মাঝে। ভালই চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন।

৬| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ১:৫৯

িক বলেছেন: মা তো মা

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১২:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মা তো মা-ই। আর বউ তো বউ ই । সবারই মর্যাদা রয়েছে। কাউকে খাটো করা উচিত নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১১ ই মে, ২০১০ রাত ২:০২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: মা ছেলেকে দেখলে আগে তার পেটের খোঁজ করেন "বাবা কিছু খেয়েছিস?" আর তথাকথিত প্রিয়তমা হাতের খোঁজ করে "আমার জন্য কি এনেছো?" সাঈফ শেরিফের সাথে সহমত। এসব বদলাবেনা। সাজ্জাদ হোসেন সাহেবের প্রিয়তমা আইডিয়াল কিন্তু ব্যতিক্রম। তিনি ভাগ্যবান। কিন্তু এটাই নির্মম সত্য প্রিয়তমা (বউ) মুখে না বল্লেও মনে মনে ছেলে তার মায়ের হৃৎপিন্ড তার হাতে এনে দিলেই খুশী হয়। ছেলের ভাল চেয়েই মা রা "শ্বাশুড়ী" হন, নিজ শ্বাশুড়ীর শোধ তুলতে নয়। আর হ্যাঁ পৃথিবীটা এভাবেই চলছে। প্রেমিকা (বউ) এর মনের কথা কি করে জানলাম? কোন একদিন আধিকাংশই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই, গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল????? তার কোন দোষ কেউ দেখল না। নাকি ছেলেদের সাত খুন মাফ!?

৮| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

ফিরোজ খান বলেছেন: ভাই জান তর্ক হিসেবে নিবেন না, কিন্তু এতটুকু বলি
আপনার জীবনে দুটি নারী, দুজন - একজন মা অন্য জন আপনার প্রিয়তমা। কিন্তু আপনার মা ও আপনার স্ত্রীর পরস্পর কোন বাঁধনে বাধা। তাদের বন্ধন তারা গড়ে নিতে পারেনি। ........

বাকি টুকুর জন্য একটা পোষ্ট দেবার প্রয়োজন মনে করছি।

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১২:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে কেবল একপাক্ষিক আগে নয়। দ্বিপাক্ষিক আবেগ আর যুক্তি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

ফিরোজ খান বলেছেন: ভাই জান তর্ক হিসেবে নিবেন না, কিন্তু এতটুকু বলি
আপনার জীবনে দুটি নারী, দুজন - একজন মা অন্য জন আপনার প্রিয়তমা। কিন্তু আপনার মা ও আপনার স্ত্রীর পরস্পর কোন বাঁধনে বাধা। তাদের বন্ধন তারা গড়ে নিতে পারেনি। ........

বাকি টুকুর জন্য একটা পোষ্ট দেবার প্রয়োজন মনে করছি।

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে আসল গল্পটি তুলে দিলাম‍: জনাব জে আই সাগর সাহেবের ব্লগ থেকে নেয়া: "হয়তে অনেকেই জানে, তবুও লিখছি, শুনেছিলাম আর মনে লালন করি সযতনে সব সময়"
এক সুন্দরী স্ত্রীর ভালবাসায় উম্মাদ হল । তাকে বার বার ভালবাসি বলেও বিশ্বাস করাতে পারেনা। একদিন বলল সত্যিই তোমাকে পৃথিবীর সব কিছুর চাইতেও বেশি ভালবাসি। যথা উত্তর করল প্রিয়তমা স্ত্রী... কী প্রমান দেবে। প্রতি উত্তর তুমি যা বল। ঠিক আছে যদি তুমি সত্যিই আমাকে ভালবাস তবে তোমার মায়ের কলিজা এনে দেখাও। উম্মাদ হয়ে চলে গেল মায়ের কাছে। মা'কে হত্যা করল। এবং কলিজা খুলে হাতে নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটল ভালবাসার প্রমান করতে। হঠাৎ পাথরের সাথে হোচট খেয়ে বলল.. উহ! মা! মায়ের কলিজা থেকে আওয়াজ এল বাবা তুই ব্যথা পেয়েছিস। কর্ণপাত না করে মেয়েটির কাছে গিয়ে বলল এই নাও আমার মায়ের কলিজা। মেয়েটি তখনি বলে উঠল যে ছেলে আমার ভালবাসার প্রমান দিতে নিজের মাকে হত্যা করে, কি করে মেনে নেব যে অন্য কারো ভালবাসা প্রমান করতে সে আমাকে হত্যা করবেনা। এই বলে তাকে ফিরিয়ে দিল, ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সত্যিকারের পাগল হয়ে গেল। "

এই গল্পে দুই জন নারী জড়িত। তর্কের খাতিরে প্রেমিকার দোষ অনেকেই দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো গল্পের নায়ক ছেলেটি কি তুলসী পাতা দিয়ে ধোয়া ছিল?????

১০| ১৬ ই মে, ২০১০ রাত ১:২২

বল্টু মিয়া বলেছেন: শুধু লেখটি না আপনাকেও ভালো লেগেছে।

২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সব সময়।

১১| ২০ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগল...ধন্যবাদ আপনাকে....আসলে তুলনা করার কিছু নেই সেটা বুঝতে হবে

২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দু'জনেই যার যার স্থানে স্বমহিমায় অধিষ্ঠিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:১৮

আকাশের তারাগুলি বলেছেন:
মা এক সময় বউ থাকে,
আর বউ একসময় মা হয়।
সবার সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়।

পার্থক্য তৈরী করা ঠিক না।

২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: আমি আপনার পোস্টের বক্তব্যের সাতে সম্পূর্ণ এক মত। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১২:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৪| ২৫ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেলী বলেছেন: আমিও একমত। মা মাই। আর ছেলেদের ব্যাপারে একটাই অনুরোধ ব্যালেন্স করতে শিখা উচিত। মা অন্যায় করলে সেটা যেমন না শুনার সত্ সাহস থাকতে হবে, ব্উ অন্যায় কথা বললেউ তা না শুনার সত সাহস থাকতে হবে। দুইজনই তার প্রিয়।

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১২:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু কেউ কেউ এমন ভাবে বলছেন যেন বউ তার কেউ না। বেটি যেন শ্যাওড়া গাছের শাকচুন্নী পেত্নী! উড়ে এসে যেন জোরে বসেছে!

বিষয়টা আসলে তা নয়। আপনি কি মনে করেন যে, আমি আমার মা-কে ভাল বাসি না! আমি আমার মাকে যেমন ভাল বাসি । আবার আমার দাম্পত্যজীবনে আমার বউকেও ভাল বাসি। দু'জন দু'ভু্বনের মানুষ। দু'জনের জন্য আমার ভালবাসাও ভিন্ন রকম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.