নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের গু খাইয়া বকের মৃত্যু

১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৯

আমাদের সম্পাদকদের কান্ডজ্ঞান সম্ভবত খুব কম। পত্রিকাতে তারা রং এর ব্যবহার করেন অযথা। অথচ রং যে কোন সংবাদের সাথে তাল মেলাতে পারে না।



শোক সংবাদ এর হেডিং দেন লাল রং দিয়ে । পত্রিকায় মৃতদেহের বিকৃত ( যা দেখলে খারাপ লাগে, শিশুরা ভয় পায়) ছবি ছাপেন। এটা খুব খারাপ লাগে।



একটা জিনিস আমি বুঝি না। তাহল পত্রিকার হেড লাইনগুলো লাল রঙ দিয়ে কেন ছাপতে হবে? সাধারণ কালো রঙ দিয়ে ছাপলে সমস্যা কোথায়? আমার মনে হয়- কালো রঙ দিয়ে ছাপলে খরচও কম পড়বে। অথচ তারা এটা করবেন না।



বিখ্যাত কোন ব্যক্তি মারা গেলে দেখা যাবে বড় বড় অরে লাল রঙ এর হেডলাইন দিয়ে ছাপা হয়ে --- "অমুক আর নেই"।



আমার নিজেরও বুঝার ভুল হতে পারে। হয়তো লাল কালি দিয়ে ছাপারই নিয়ম। ইংরেজিতে "Red Letters day"- নামে একটি কথা আছে যাকে বলা হয় আনন্দের দিন। আমাদের পত্রিকাগুলো হয়তো দুঃখের সংবাদও আনন্দের সাথে ছাপাতে চায়।



সে যা হোক অনেক আবোল তাবোল বকলাম। এবার একটি কৌতুক বলে শেষ করছি।



একদিন ঢাকার বহুল প্রচারিত দৈনিক ভিত্তিফাক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হল। খবরের শিরোনামঃ পুলিশের গু খাইয়া বকের মৃত্যু।



আমি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেরই খবরের শিরোনামগুলো পড়ি। শিরোনাম ভাল লাগলে খবরের বিস্তারিত পড়ি। "পুলিশের গু খাইয়া বকের মৃত্যু"। খবরটির আমি বিস্তারিত পড়তে ভুলে গেলাম।



পর দিন ”পুলিশের গু খাইয়া বকের মৃত্যু”- সংবাদ প্রসঙ্গে সম্পাদকের কৈফিয়ত শিরোনামে প্রকাশিত বিষয়টি আমার নজরে এলো। এবার বিস্তারিত পড়লাম।



”গতকাল দৈনিক ভিত্তিফাক পত্রিকায় -পুলিশের গু খাইয়া বকের মৃত্যু- শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতি সম্পাদকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে প্রকৃত শিরোনাম পাঠকের অজানা রহিয়াছে। প্রকৃত শিরোনামটি হইবেঃ পুলিশের গুলি খাইয়া যুবকের মৃত্যু। । পুলিশ ঘুষ ভক্ষণ করে ঠিকই কিন্তু তাহা পেটে হজম হইয়া গেলে আর বিষাক্ত থাকে না। উহা খাইয়া বকের মৃত্যু হইবার কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ নাই। কতিপয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সহিত আলাপচারিতা করিয়া আমরা ইহা নিশ্চিত হইয়াছি। ”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল বলেছেন:

২০ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল লাগল আপনার পোস্টার।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৯

ইচ্ছামানুষ রনি বলেছেন: ভাল্লাগছে লেখাটা। ব্লগে আজে বাজে লেখার মাঝে দু একটা ভালো লেখা পড়ি। এটা তার একটা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। লিখতে মন চায় খুব। কিন্তু ছাপানোর স্থান নেই। পড়েও না কেউ।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৬

প‌্যাপিলন বলেছেন: একটু বাদ পড়ে গেল মনে হয় "কতিপয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সহিত আলাপচারিতা করিয়া আমরা ইহা নিশ্চিত হইয়াছি। এই অনাকাঙ্খিত পাছার 8-| ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত"

তারপর আবার মুদ্রনজনিত ক্রটির জন্য আবারো :#)

২২ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দন বলেছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.