নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকে তাকে বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়া উচিত নয়

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আজকে বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাক এ নিচের খবরটি পড়লাম। খবরটি একটু দেখুন--

***বাংলাদেশে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণ হতো ইউক্রেন থেকে। আর এ জন্য মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বুথের ভেতরে কার্ড প্রবেশ করিয়ে টাকা তোলা হতো। ফোনে ইউক্রেনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতো এই জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা কোনো এটিএম বুথে প্রবেশ করে সেই বুথের সঙ্গে মূল সার্ভারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর তারা নিজস্ব সংযোগ ব্যবস্থা চালু করে। এসময় মোবাইলে যোগাযোগ স্থাপন করে কার্ড ভেতরে ঢোকালেই বুথ থেকে টাকা বের হয়ে আসে। এ কাজে তারা আন্তর্জাতিক রোমিং সিম ব্যবহার করতেন বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।


গত ৩১ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই বিদেশি নাগরিক রাজধানীর বাড্ডায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই টাকা সরিয়ে নেওয়া হলেও এতে কোনো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হননি। এমনকি ব্যাংকের সিস্টেমেও টাকা তোলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।


পরদিন খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ডাচ-বাংলার আরেকটি বুথ থেকে টাকা তোলার সময় এক বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পান্থপথের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও পাঁচ বিদেশিকে।

তারা হলেন- শেভচুক আলেগ (৪৬), ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯)।

বিদেশি চক্রটির সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছেন কিনা জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কেউ জড়িত নেই এটা বলা যাবে না। জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, গ্রেফতারদের কাছে থেকে যে ৫০টি কার্ড পাওয়া গেছে তার মধ্যে ইসরাইলের কার্ডও রয়েছে। একজন ইউক্রেনীয় নাগরিক হয়ে কেন তারা ইসরায়েলি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করতেন তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই চক্রের সদস্যদের ভারতে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, আটদিনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে ইউক্রেনের এই নাগরিকরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তুর্কি এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে ইউক্রেন থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে বাংলাদেশে আসেন তারা। ****"""

ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, কিছু কিছু দেশের নাগরিক যারা বাংলাদেশে আসে তারা একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। এই জাতীয় দেশ গুলির মধ্যে আফ্রিকার অনেকগুলি দেশ রয়েছে। চীনের কিছু নাগরিক ও অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে বলে খবরে দেখেছি। সোনা চোরাচালান, নকল ডলার তৈরি আরো অনেক ধরনের অপকর্ম এই সব লোকেরা করে থাকে। তারা একজন সাধারন পর্যটক এর মত বাংলাদেশ দেখতে আসে না। তাদের বিরাট ধান্দা থাকে।


আফ্রিকার দেশ গুলির নাগরিক যারা বাংলাদেশে ঘুরতে আসে তাদের অপকর্মে জড়িত ঢাকার খবর প্রায় পত্রপত্রিকাতে আসে। এই খবরে ইউক্রেন এর নাগরিকদের কার্যকলাপ দেখে তো আমি তো হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমার মনে হয় দেশীয় কোন গডফাদারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বিদেশি এই নাগরিকেরা এই ধরনের অপকর্ম করতে সাহস পাবে না। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল হোতাকে খুঁজে বের করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারির পর সাধারণ মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে। কাদের কষ্টে জমানো টাকা পয়সা কখন লুটপাট হয়ে যায় সেটা একটা বিরাট চিন্তার বিষয়।

তাই আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো- বিদেশিদের ভিসা প্রদানের সময় আরো সতর্ক হতে হবে। ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ তারা কোথায় আসবে সে ব্যাপারে আগে তথ্য নিতে হবে। বিশেষ করে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যাকে তাকে ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ কে বিপদে ফেলার কোন মানে হয় না।

তারচেয়ে বাছাই করে ভালো লোক দেখে ভিসা দিলে এদেশের উপকার হবে।






মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাচ বাংলার লোকজন ২/১ জন এতে যুক্ত আছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারি সময় ও আমার মনে ধরনের প্রশ্ন জেগেছিল। আমি মনে করতাম বড় ধরনের কোন লেনদেন গভর্নরের পারমিশন ছাড়া হওয়া উচিত নয়। এতে করে রিজাভ থাকবে বিপদমুক্ত ও শঙ্কামুক্ত।

সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এ জাতীয় কোন বিষয় থাকা প্রয়োজন।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশীরা এসে আমাদের দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা নিয়ে যায়!!!!
খুব চিন্তার বিষয়।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের দুই নম্বরি কাজ করা খুবই সোজা। কেননা বাংলাদেশি মানুষদের মাথা কিনে নেয়া যায় খুব কম দামে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এটা সম্ভব হয় না।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ।

***ঈদ মোবারক ***

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.