নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লংকাবি দ্বীপের কিংবদন্তি নারী মাহসুরি

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

মাহসুরি


(বাংলাদেশীদের ভ্রমণের তালিকায় মালয়েশিয়া একটি অন্যতম দেশের নাম। মালয়েশিয়াতে বেড়াতে এলে মানুষ অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে লঙ্কাবি দ্বীপে একটা ঢু মারার । আর এই দ্বীপের এক কিংবদন্তি নারীর নাম মাহসুরি। তাকে নিয়ে আজকের কাহিনী।)

অনেক অনেক দিন আগে বর্তমানের মালয়েশিয়ার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ লঙ্কাবি দ্বীপে অপূর্ব সুন্দরী এক মহিলা বাস করতো। তার নাম ছিল মাহসুরি। অনেক তরুন তার সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট ছিল ।

এর মধ্যে দ্বীপের শাসক যিনি দ্বীপের প্রধান নামে পরিচিত ছিলেন তিনিও মনে মনে মাহসুরিকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার বেশ কয়েক জন ছেলে মেয়েও ছিলো। তবু তিনি মাহসুরিকে তার পরবর্তী স্ত্রী হিসাবে মনে মনে এক প্রকার ঠিক করে ফেলেছিলেন।

একদিন, মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মালাক্কা প্রদেশ থেকে এক জন যুবক লঙ্কাবি দ্বীপে আসল। তার নাম ছিল দারমং।

এই সুদর্শন যুবক মাহসুরিকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় । অন্যদিকে মাহসুরিও সুদর্শন এই যুবককে ভালো বেসে ফেলেন।
প্রায়ই তারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে গোপনে দেখা করতেন।
এক সন্ধ্যায়, তারা গোপনে একটি শান্ত স্থানে দেখা করলেন। তাদের ভাগ্য প্রসন্ন ছিলো না। কোন এক ব্যক্তি তাদেরকে একত্রে দেখে ফেলে। লোকটি দ্রুত দ্বীপের প্রধানকে জানিয়ে দেয়।

সব শুনে তিনি খুবই রেগে যান।
"এখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার কর এবং আমার কাছে নিয়ে এসো!" তিনি তাঁর লোকদেরকে কাছে চিৎকার করে আদেশ করলেন।
লোকেরা দ্রুত তাদের দু’জনকে ধরে প্রধানের সামনে হাজির করলো।

"আমরা কোন অন্যায় কিংবা ভুল করিনি” আত্নবিশ্বাসের সাথে বললেস দেরামং।
"তোমার সাহস তো কম নয়!" প্রধান চিতকার করে পকেট থেকে কিরিচ বের করে দারামংকে ছুরিকাঘাত করেন। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং দেরামং তখনি মারা যায়।

মাহসুরি চিৎকার করে বললেন, "আমি নির্দোষ! আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আগামী সাতটি প্রজন্মের জন্য এই দ্বীপ অভিশপ্ত! " । এই দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই কথা বলার সাথে সাথেই প্রধান মাহসুরিকে ছুরিকাঘাত করেন।

উপস্থিত সব মানুষ হতবাক। মহসুরীর দেহ থেকে সাদা রক্ত বের হয়ে আসছিল।

"তারা নির্দোষ, তারা নির্দোষ!" উপস্থিত লোকজন চিৎকার করে বলল।

এই ঘটনার অল্পকাল পরেই শ্যামদেশীয় সেনাবাহিনী লঙ্কাবি দ্বীপ আক্রমন করে। এই আক্রমনে দ্বীপটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। লোক জন বলাবলি করতো , মাহসুরির অভিশাপের কারণেই এটা ঘটেছে।

* মাহসুরি সম্পর্কে আরো জানুনঃ মাহসুরি সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে মেয়েটার জন্য আমার খুব কষ্ট লেগেছে । লঙ্কাবিতে বেড়াতে গেলে তার সমাধির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনার ও হয়তো কষ্ট লাগবে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ব্যস্ত নাকি??
আজকাল আপনাকে ব্লগে দেখি না।
আমি মালোশিয়া আসবো। এবং আপনার সাথে দেখা করারও ইচ্ছা আছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আর আগের মত সময় পাই না । আগে তো দিনের অনেকটা সময় একই ভাবে ব্লগে পড়ে থাকতাম । এখন সময় ম্যানেজ করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

বেড়াতে আসতে চান ! অবশ্যই আসবেন । বাংলাদেশীদের বেড়ানোর অন্যতম প্রধান জায়গা হচ্ছে ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া।

গত বছর ১৫৪,০০০ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়া বেড়াতে এসেছিল। আপনি আসলে অন্তত তিন জন বাড়বে । অবশ্যই দেখা করব ইনশাআল্লাহ। আপনার সাথে দেখা করতে পারলে আমার খুবই ভালো লাগবে।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: কত দিন মালোশিয়ার কোনো খবর পাই না।
পোষ্ট টোষ্ট দিলে তো কিছু জানতে পাড়তাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার বিমানের ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে গেছে। সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিক ভাইয়েরা। তাদের দেশে যাওয়াটা খুবই ব্যয়বহুল হয়ে গেছে । তবে কোটিপতিদের কোন সমস্যা নেই । তারা অবাধে যাতায়াত করছেন।
আমার প্রচুর পরিমাণে টাকা থাকলে প্রতি বছরই দুই এক বার করে দেশে যেতাম‌ । কিন্তু আমার তেমন কোন টাকা-পয়সা নেই ।আফসোস!

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে একটু ভিন্ন ভাবে লেখা আছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানকার প্রচলিত লোক কাহিনীতে যে রকমটা আছে আমি সে রকম তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । আপনি হয়তো জানেন যে রক্তের রং লাল । কিন্তু প্রচলিত উপকথায় রক্তের রং সাদা বলা হয়েছে । আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন । উইকিপিডিয়াও অনেক সময় প্রামাণ্য কোন দলিল/ বিষয় হয় না । কেননা উহা টেক্সট বুক নহে।

আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সব সময়।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০২

বলেছেন: অভিশাপের বিষ বড়ই মারাত্মক...
সব দেশে সব সমাজে অভিশাপের কালরূপ ভিন্ন আঙ্গিকে ধরা দেয়।।।


চমৎকার।।।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । সহজ-সরল সাদামাটা জীবন , পরোপকারী মনোভাব আর সততার মাঝে জীবন যাপন করার মধ্যেই সবচেয়ে বড় সার্থকতা।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

নুরহোসেন নুর বলেছেন: অসাধারন ভাল লাগলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কষ্টের একটি কাহিনী । পৃথিবীর অনেক দেশেই এ রকম কাহিনির সন্ধান পাওয়া যায়। এমন কি বাংলাদেশের টেকনাফে মাথিন কূপের যে কাহিনী সেটাও কিন্তু খুবই মর্মস্পর্শী।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখলাম ভাই,প্রতিদিন আপনার নতুন নতুন দেখার পোস্টের অপেক্ষায় থাকি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাইরে, পোস্ট দিতে তো মনে চায় । কিন্তু আজকাল শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। অনেক যে সমস্যায় থাকি। ইচ্ছা থাকলেও কিবোর্ড ধরা হয় না ।

ভালো থাকবেন । আশা করি আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলছে।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর হয়েছে। ভাল লাগলো ইতিহাস। খুবই হৃদয়বিদায়ক ঘটনা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম । ভালো থাকবেন সব সময়।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: রূপকথার মত মনে হলেও, আপনার দেয়া সূত্র ধরে উইকিপিডিয়ার তথ্য পড়ে মনে হলো, গল্পটি সত্য (সাদা রক্ত ছাড়া)। আর তা ছাড়া, গল্পটি খুব বেশী পুরনো যুগেরও নয়।
আমি ২০১৫ সালে লাঙ্কাবী দ্বীপ সফর করে এসেছি। তখন যদি এ গল্পটি জানতাম, তবে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে আরেকটু খোঁজ খবর নিতাম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, লঙ্কাবী দ্বীপে মাহসুরীর সমাধি আছে। তবে খুব বেশি মানুষ সেটা দেখতে যায় না। গাড়ি টান একটা মেরে একটু ঘুরে এলি দেখতে পেতেন। রাস্তার মোড়ে নির্দেশিকায় তার সমাধির কথা লেখাও আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.