নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক মাত্র প্রাচীন রাজা যিনি একটি পাসপোর্ট এর মালিক

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস

পাসপোর্ট বর্তমান বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ট্রাভেল ডকুমেন্ট। বর্তমান পৃথিবীতে যে কোন স্বাধীন দেশের যে কোনো নাগরিক ইচ্ছে করলেই একটি পাসপোর্ট এর মালিক হতে পারেন।

প্রাচীন আমলে পৃথিবীতে অসংখ্য রাজ্য ছিল । ছিলেন অসংখ্য রাজা। এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যেতে তাদের পাসপোর্ট লাগত বলে শোনা যায়নি।

পৃথিবীতে পাসপোর্ট এর ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। তাই প্রাচীন আমলের রাজা বাদশাদের পাসপোর্ট না থাকার সম্ভাবনাই ব্যাপক।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস সেই আমলের রাজা হয়েও আধুনিক আমলের একটি পাসপোর্ট এর মালিক হয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালে প্রাচীন এই রাজার মমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় মেরামতের জন্য ফ্রান্সে নেয়া হয়েছিল । সেই সময় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী মৃতদেহ পরিবহনের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় । তিন হাজার বছরের পূর্বের রাজাকেএকটি মিশরীয় পাসপোর্ট প্রদান করা হয় যাতে তাঁর মরদেহ পরিবহন সহজতর হয় এবং সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুনরায় মিশরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

তাই প্রাচীন আমলের হাজার হাজার রাজাদের সাথে তুলনা করলে মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস কে অনেকটাই ভাগ্যবান বলা যেতে পারে। কেননা, তিনি সেই আমলের রাজা হয়েও এই আমলের একটি পাসপোর্ট এর মালিক হয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই পাসপোর্টটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর অনেক অনেক বছর পরে। নিচের ছবিতে সেই পাসপোর্টের ছবি দেওয়া হল।

মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস এর ঐতিহাসিক সেই পাসপোর্ট ।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

হাবিব ইমরান বলেছেন: এই ভাগ্যবানকে সম্ভবত আমরা ফেরাউন নামে জানি। :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার ধারনা সঠিক হতেও পারে। তবে ফেরাউন নামে কোন রাজা ছিলেন বলে জানা যায়নি । ফারাও একটি রাজবংশের নাম । সেই রাজবংশে অনেকগুলি রাজা জন্মেছিলেন।

আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন , সুন্দর থাকুন । জীবন হোক আনন্দময়।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওয়াও.....দারুন আনন্দ পেলাম খবরটা পড়ে।

তবে প্রাচীন রাজা আরেকজন আছেন, যিনিও একটি পাসপোর্টের অধিকারী। একই সঙ্গে তিনি আবার ব্লগিংও করেন। উনার নাম আখেনাটেন!!! =p~

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই আমলে আমরা অনেকেই অনেক কিছুর অধিকারী। কিন্তু আজ থেকে 30-40 বছর আগেও অনেক রাজা-বাদশাদের ও মোবাইল ফোন ছিল না , ফেসবুক ছিল না , ইউটিউব ছিল না । আর দুই তিনশ বছর আগে গেলে তো অনেকেরই পাসপোর্ট ছিল না । প্রাচীন রাজাদের এই সমস্ত জিনিস কল্পনারও বাইরে ছিল‌

সে যাই হোক অন্তত এক জন প্রাচীন রাজা একটি পাসপোর্ট পেয়ে ছিলেন এটা একটা দারুন ব্যাপার । আর আরেক জন প্রাচীন মিশরীয় রাজা আখেনাটেন পাসপোর্ট এর মালিক এবং একই সাথে ব্লগিং করে বেড়ান এটাও একটা আনন্দের ব্যাপার বটে।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম মজার কিছু পোষ্ট আরো দিয়েন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ কাল সময় একেবারেই সময় পাই না। কাজের চাপ বেড়েছে। কি যে করি ভেবে পাইনা।
আপনার মত দুই হাতে কলম চালানো আমার জন্য সম্ভব হয়ে উঠে না।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: তথ্যটি বেশ চমকপ্রদ।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বের এই রাজাকে মরণোত্তর এই পাসপোর্টটি কবে এবং কেন দেয়া হয়েছিল, সে ব্যাপারে একটু ব্যাখ্যা থাকলে ভাল হতো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার,
আমি আসলে আপনাদের মত অত যত্ন করে, সময় নিয়ে লিখতে পারি না। হঠাৎ কিছু মনে আসলে কিছু না ভেবে চিন্তে পোস্ট দিয়ে বসি। সেই কারণে আমার পোস্টগুলি হয় আগোছালো এবং ভুলে ভরপুর।

১৯৭৪ সালে প্রাচীন এই রাজার মমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় মেরামতের জন্য ফ্রান্সে নেয়া হয়েছিল । সেই সময় প্রচলিত বিধি অনুযায়ী মৃতদেহ পরিবহনের জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় । তিন হাজার বছরের পূর্বের রাজাকেএকটি মিশরীয় পাসপোর্ট প্রদান করা হয় যাতে তাঁর মরদেহ পরিবহন সহজতর হয় এবং সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুনরায় মিশরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই,
কেমন আছেন। মালয়েশিয়া কিভাবে থাকেন? এখানে তো বাংলাদেশী মানুষ - মানুষ নেই। ভয়ঙ্কর পরিবেশ।।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কি আর করা। এ ভাবেই চলবে।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই,
মালয়েশিয়া নিয়ে আরেকটি পোষ্ট দিবো আপনি আমাকে পোষ্টে সহযোগিতা করবেন। একটি দেশে এতো দালাল আর দালাল চক্র কিভাবে প্রবশে করে সব বাংলাদেশের মানুষ। মালয়েশিয়া তে তো বাংলাদেশীর অপর নাম দালাল হয়ে যাবে !!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার , আমি এক জন নাদান মানুষ। সম্ভবত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছি । আমার জ্ঞানের পরিসর খুবই সীমিত । তেমন কিছুই জানিও না। আমার রাজনৈতিক কোনো প্রভাব নেই। ছোটখাটো একটা কাজ করে কোন রকমে বেঁচে ছিলাম । এবার জীবন সংগ্রামের অন্যদিকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চলেছি।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই,
“নিজেদের সম্মান নিজে রক্ষা করতে হয়” বাংলাদেশের মানুষ এই সামান্য কথাটি কবে শিখবেন - কবে বুঝবেন? মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী তাদের আচড়নে হতাশ করছেন দেশের সকল সাধারণ মানুষ সহ সমগ্র মালয়েশিয়ানকেও।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের কোন মানুষেই ভালো নয়। সুতরাং এটা নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করে আর লাভ নেই। এভাবেই চলবে এবং এক সময় আরো নষ্ট হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.