নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক প্যাথলজি সেন্টার

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭



প্রায় এক বছর পর আজ অনেকগুলি রক্তের টেস্ট করাতে হলো। টেস্ট করানোটা আজ কাল অনেক সহজ হয়ে গেছে। ডাক্তারের সহকারি ছাপানো একটি ফরমে কটকট করে টিক চিহ্ন দিয়ে দেয়।

তারপর সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট প্যাথলজি সেন্টারে গেলে একটা কমেন্ট করে অনেকগুলো টিক চিহ্ন দিয়ে দেয় তারপর ওই ধরনের আধুনিক প্যাথলজি সেন্টারে গেলেই বাহুতে মোটা একটি সূচ ঢুকিয়ে দিয়ে পর পর কয়েক বোতল রক্ত নিয়ে নেয়।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই রক্ত গুলির প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা তারা করে না। এত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো যথেষ্ট যোগ্য এবং অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ও তাদের নেই। তারা তাদের কম্পিউটার থেকে ছাপানো প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট প্রিন্ট করে বের করে যথাসময়ে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেয়। রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা বোতল বোতল রক্ত তারা বাথরুমে ফেলে দেয়।

এভাবেই চলছে আমাদের দেশের আধুনিক প্যাথলজিক্যাল সেন্টারগুলো। সেন্টারগুলো থেকে প্রচুর কমিশন পায় ডাক্তার সাহেব রা।

এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তিনি যত বড় চিকিৎসক হোন না কেন সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য তাকে নির্ভর করতে হবে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এর রিপোর্ট ও অন্যান্য ডায়াগনোষ্টিক রিপোর্টের উপর। সেই রিপোর্ট যারা বানাবেন অর্থাৎ যারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো করবেন তাদেরকে অবশ্যই যোগ্য দক্ষ-মেধাবী তো হতে হবে।

যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তারা মেধাবী বলে পরিচিত। কিন্তু যারা মেধাবী তারা কি মেডিকেল প্যাথলজি বা অন্যান্য ডায়াগনোস্টিক শেখার জন্য কোর্স করতে যায় তারা কি আসলেই মেধাবী ?

তারা যদি মেধাবী ও হয় তারপরেও বিবেকবান দায়িত্ববান ন্যায়নিষ্ঠ সত্যবাদী এই সমস্ত গুণাবলী তাদের আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আপনার রিপোর্ট বের করে দিবে আর অজস্র টাকা কামাবে। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল রোগ নির্ণয় করবেন । পুরো ক্ষতিটা হবে রোগীদের ই।

গত কাল রাতে আমার এক বাংলাদেশি বন্ধুর সাথে আলাপ করে এই জাতীয় জিনিস গুলো জানতে পারলাম । যদিও আমি আগেই এই জাতীয় রিপোর্টের বহু গল্প শুনেছি।

আসুন, আমরা সবাই সত্যবাদী হই । নীতিবান হই। বিবেকবান হই । অন্যের প্রতি সহমর্মী হই । যার যার কাজ করি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ।আন্তরিকতা দিয়ে মানবতাবোধের দরদ দিয়ে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: এইডা কি শুনাইলেন :(

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়নি । আমার বন্ধুটি আরো অনেক কথাই বলেছিল। কিন্তু আমার আসলে লেখার ক্ষমতা কম। তাই পুরোপুরি লিখতে পারলাম না।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি দুই বা তিন যায়গায় টেস্ট করালে ই তো ধরা পড়বে...প্রমান ছাড়া এমন পোস্ট পছন্দ হল না

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের আস্থার জায়গা থাকতে হবে।
বিশ্বাসের জায়গা থাকতে হবে।

পথলজিক্যাল টেস্ট বা ডায়াগনস্টিক টেস্ট এমন একটি জিনিস যেগুলো আমরা সাধারন মানুষ কখনোই বুঝতে পারব না। বুঝার মতো কোনো উপায়ও নেই । অর্থাৎ প্যাথলজি সেন্টার গুলো যে রেজাল্ট দিবে সেটা আমাদেরকে বিশ্বাস করে নিতেই হবে। আর এক জন রোগীর পক্ষে কি আসলেই সম্ভব তিন চার জায়গায় রিপোর্ট করিয়ে নেওয়া? তিন চার জায়গায় যদি আপনি রিপোর্ট করে নেন তাহলে কারটা বিশ্বাস করবেন ? তিন জনের যদি তিনটা রেজাল্ট আসে। আর এই সমস্ত টেস্ট কিন্তু খরচের ব্যাপার আছে । একটা টেস্ট করতে থেকে 20000-25000 , 50000 এ রকম খরচ হয় সাধারণ মানুষের এত টাকা কোথায় পাবেন? তাদেরকে সে সামর্থ্য আছে যে বারবার টেস্ট করে টেস্টের ফলাফল আবার টেস্ট করে দেখবেন।



আমরা সাধারন মানুষ । আমরা সীমিত খরচের মধ্যে সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই । আমাদের সেই বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে ।আমরা ইচ্ছা করলেই অঢেল টাকা খরচ করতে পারি না। কেননা আমাদের অঢেল টাকা নেই।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়‌ । আপনার জীবন হোক সুন্দর।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রিপোর্টে যে ডাক্তারের নাম সিল সই থাকে তিনি সেই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাজ ছেড়েছেন ছয় মাস তারপরও তার নামের সিল সই ব্যবহার হতে থাকে সই করেন ল্যাব টেকনিশিয়ান অথবা রক্ত সংগ্রহকারী !!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তিনি যত বড় ডাক্তারই হোন না কেন তিনি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য পুরোপুরিভাবে প্যাথলজিক্যাল ডায়াগনস্টিক টেস্টের উপরই নির্ভর করবেন। সুতরাং যদি প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ও ডায়াগনোস্টিক টেস্টের রিপোর্ট নির্ভুল না হয় তাহলে কোন ডাক্তারের পক্ষে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।

এ কারণেই পথলজিক্যাল অন্যান্য টেস্ট এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সবচেয়ে দক্ষ হতে হবে । যন্ত্রপাতি হতে হবে নিখুঁত । রেজাল্ট হতে হবে নির্ভুল।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়‌ । আপনার জীবন হোক সুন্দর।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সব মানুষ দূর্নীতিবাজ হয়ে গেছে।
ভন্ড হয়ে গেছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই দেশ ভালো । দেশের মাটি ভালো। দেশের পানি ভালো । দেশের জলবায়ু ভালো । দেশের সবই ভালো। কেবল কিছু মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়‌ । আপনার জীবন হোক সুন্দর।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কলাবাগান১ ভাই, অজস্র প্রমাণ আছে। ঢাকা যে কোন এলাকায় আপনি সাধারণ একটি ল্যাবে ১ম টেষ্ট টি করে ২য় টেষ্ট মেডিনোভা / স্কয়ারে করে মিলিয়ে নেবন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি নিজে এক জন অতি ক্ষুদ্র মানুষ হওয়াতে সাধারণ মানুষের এই ব্যাপারগুলি খুব কাছ থেকে দেখতে পাই। খুব হৃদয় দিয়ে ব্যাপারটা অনুভব করি । কিন্তু অনেক উপরের মানুষ যারা তারা এটা হয়তো বুঝতে পারেন না । এটা বুঝতে পারলে সাধারণ মানুষের খুব উপকার হতো। তারা অন্ততঃ একটু সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ পেত।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়‌ । আপনার জীবন হোক সুন্দর।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ নং মন্তব্যে বলা হয়েছে যে, ২/৩ যায়গায় টেষ্ট করালে ফলাফল বুঝা যাবে; উনি মনে করেছেন যে, বাংগালীরা টাকার গাছ লাগিয়েছে আংগিনায়।

বাংগালীরা ভারতীয় ডাক্তারদের কিছুটা বিশ্বাস করে; টাকা চলে যাচ্ছে ভারতে

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৯

ওমেরা বলেছেন: রক্তগুলো বাথরুমে ফেলে দেয় , তাদের ছাপানো রিপের্ট ধরিয়ে দেয়। তাই কি কখনো হয় !!

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

জাতির বোঝা বলেছেন:

বাংলাদেশের সর্বত্রই ভেজাল । এত টুকু নির্ভেজাল জায়গা কোথাও আছে বলে মনে হচ্ছে না ।
মানুষগুলি সত্যিই বড় অসহায়।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশী। ওষুধের দাম আরো বেশি।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ও আমার পরিবারের কারো কোনো প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করাতে হলে আমি একাধিক ল্যাবে করিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রেজাল্ট পাই।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

হাবিব বলেছেন: কি সাংঘাতিক কারবার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.