নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাধারণ একটি সম্পাদকীয় পড়লাম

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

পত্রপত্রিকায় সাধারণ খবর ছাড়াও আমি সম্পাদকীয় কলাম, উপসম্পাদকীয় কলাম, মতামত কলাম ,চিঠিপত্র কলাম এইগুলি বেশ আরাম করে মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এসব পড়ে অনেক কিছু জানা সম্ভব হয় ।

গতকাল ঐতিহ্যবাহী দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় একটি সম্পাদকীয় পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে । আমার মনে হয়, বাংলাদেশের লাখ লাখ পাঠকের ইহা ভাল লাগিবে । কেননা ইহা খুবই যুক্তিসঙ্গত একটি আলোচনা।

এবার আসুন আমরা সবাই মিলে সম্পাদকীয়টি আবারও পাঠ করি।

"আজকের দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় থেকেঃ।
ঘটনাটি ঘটিয়াছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামে। এই গ্রামে কালাম মৃধা নামের এক ব্যক্তিকে পানিতে চুবাইয়া হত্যা করিবার অভিযোগ উঠিয়াছে কথিত ফকির রিয়াজের বিরুদ্ধে। জিন তাড়ানোর নামে পুকুরে চুবানো ও এক ধরনের নির্যাতনের প্রতি গ্রামবাসীর সায় যে ছিল তাহা এই সংক্রান্ত খবরের আদ্যোপান্ত পড়িয়া স্পষ্টত বোঝা যায়। আমাদের দেশে জিনে ধরা ও ইহার পরিপ্রেক্ষিতে কবিরাজি চিকিত্সার শরণাপন্ন হইবার ঘটনা নূতন নহে। অনেক সময় ভণ্ড ফকিরদের প্রতারণার কারণেও একজন মানসিক রোগীকে জিনে ধরিয়াছে বলিয়া চালাইয়া দেওয়া হয়। কিন্তু মানসিক রোগ ও জিনে ধরিবার লক্ষণের মধ্যে পার্থক্য অনেক সময় আমরা করিতে পারি না।

মানুষের উপর জিন ভর করা বা মানুষের জাদুগ্রস্ত হওয়াকে সাধারণত আরবিতে ‘সাহর’ বলে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারাইয়া ফেলে, স্মৃতিবিভ্রম ঘটে এমনকি এই অবস্থায় তাহাদের মুখ দিয়া জিনেরা কথাও বলিতে থাকে। মূলত শারীরিক ও মানসিক কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে আমাদের আগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হইতে হইবে। প্রথমেই কবিরাজ-ফকিরের নিকট যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নহে। ইসলাম ধর্মে গায়েব বা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জিন এই অদৃশ্য বিষয়গুলিরই একটি। কোরআন শরিফে সুরা জিন নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রহিয়াছে। মানুষ ও জিনকে আল্লাহ তায়ালা তাহার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন। মানুষের মতো জিনের মধ্যেও ভালোমন্দ, নারী-পুরুষ রহিয়াছে। আদম মাটি, ফেরেশতারা আলো আর জিনরা আগুনের স্ফুলিঙ্গ দ্বারা তৈরি। শয়তান জিনদেরই অন্তর্ভুক্ত। সূরা নাসে জিন ও মানুষের অনিষ্টতা হইতে পরিত্রাণ লাভের কথা বলা হইয়াছে। সূরা জিনের ৬ নম্বর আয়াতে বলা হইয়াছে, ‘আর মানুষের মধ্যের কিছু লোক জিন জাতির কিছু লোকের আশ্রয় নিত, ফলে তাহারা তাহাদের পাপাচার বাড়াইয়া দিত।’ এই আয়াত হইতে জিনে ধরার বিষয়টিও সত্য। আমরা তিন ধরনের জিনের কথা জানি—পাখার মাধ্যমে বাতাসে উড়ে, সাপ ও মাকড়সার আকারে থাকে এবং সাধারণভাবে চলাফেরা করে। মানুষের পরিত্যক্ত স্থান ও লোকালয় হইতে দূরে নীরবে থাকিতে পছন্দ করিলেও কিছু জিন মানুষের সহিত লোকালয়েই থাকে। মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ট ও ফেলিয়া দেওয়া মাংসের হাড় ও গোবর তাহাদের প্রিয় খাবার। জিন দ্বারা মানুষ যাহাতে আক্রান্ত না হয়, এইজন্য ওয়াশরুম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা, খাবার ঢাকিয়া রাখা, পানির পাত্রের মুখ বন্ধ রাখা, সন্ধ্যার শুরুতে (অন্তত এক ঘণ্টা) সন্তানদের বাহিরে যাইতে বারণ করা ইত্যাদি নিয়মকানুন মানিয়া চলিতে হয়। জিনেরা মানুষসহ যে কোনো প্রাণীর রূপ ধারণ করিতে পারে। এইজন্য আয়াতুল কুরসিসহ বিভিন্ন দোয়া রহিয়াছে, যাহা পড়িলে অনিষ্টকারী জিনেরা মানুষের ধারেকাছেও আসিতে পারিবে না।

সুতরাং কাহাকেও জিনে ধরিলে তিনি কোনো ভালো আলেমের দ্বারস্থ হইতে পারেন। কিছু আমলের মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করিতে পারেন। আর জিন নিয়া ভণ্ডামি অবশ্যই বন্ধ করিতে হইবে এবং এই ব্যাপারে মানুষকে হইতে হইবে সচেতন। "।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



জ্বীন হলো রূপকথার চরিত্র; ইহার কারনে, লাখ লাখ মুসলমান মানসিক রোগী প্রাণ হারায়েছে, কোটী কোটী মুসলমান নিগৃহিত হয়েছে।
মানুষের শরীর জীবন্ত সেল থেকে তৈরি, ইহা মাটি থেকে নয়; আগুন থেকে জীবন্ত কিছু সৃষ্টি হতে পারে না; জ্বীন হলো মিথ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নব্বইয়ের দশকের সম্পাদকীযর সাথে তুলনা করছিলাম । সেই সময়ের যেকোনো পত্রিকার সম্পাদকীয় ছিল অনেক বেশি বিজ্ঞানমনস্ক আর মানসম্মত । বর্তমানে তা দিনে দিনে পুরনো দিনের দিকেই যাচ্ছে। হয়তো বা হাজার বছর আগের দিনে।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন বড়ই মজাদার চরিত্র।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আল্লাহ পৃথিবীতে জিন ও মানব জাতিকে পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্য। কিন্তু মানবজাতি আমার মনে হয় জিনের সাথে কখনো সাক্ষাৎ করার সুযোগ পায় না। এটাই আফসোসের কথা।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকুন সব সময় ।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার বিভিন্ন মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে আপনি ধর্মবিমূখ। এখন তো দেখি জ্বিনকেও বিশ্বাস করেন...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জ্বি না । আমি ধর্মবিমুখ না । আমি ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। ধর্মের নামে যেসব অনাচার আর কুসংস্কার আছে তার আমি বিরোধিতা করি। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময়।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পোষ্টে চারজন মন্তব্য করেছেন তার মধ্য একজনও পোষ্টে লাইক দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি এটিও জ্বীনের কাজ হতে পারে। বাংলাদেশে জ্বীন একটি ব্যবসা। এই ব্যবসাতে ইনভেষ্ট করতে হয় না। আর জ্বীন ব্যবসার সাথে কোনো কবিরাজ জড়িত না। জ্বীন ব্যবসার সাথে জড়িত যারা তারা হচ্ছে ভন্ড পীর, ফকির, ও ভন্ড আলেম নামক কলঙ্ক। এই জ্বীন ব্যবসার সাথে জড়িতরা দেখতে মানুষের মতো হলেও এরা নর্দমার কীট।



০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, আপনি বরাবরই সচেতন পাঠক , মনোযোগী পাঠক। আপনার অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ । ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ইসলাম ধর্মে জ্বীনের কথা বলা আছে।
জ্বীন জাতি হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ কুরআনে বর্ণিত একটি জীব বা সৃষ্টি। প্রাক ইসলামী যুগেও জ্বীন জাতি সংক্রান্ত বিশ্বাস অন্যান্য আরব এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিদ্যমান ছিল। আরবি জ্বীন শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কোন কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী বা অনেক দূরবর্তী। বৈজ্ঞানিকেরা এখনও জ্বীনের অস্তিত্বের প্রমাণ আবিষ্কারে সক্ষম হন নি। তবে বিভিন্ন মুসলমান সমাজে কিছু কিছু মানুষ কর্তৃক জ্বীন বশীভূত করা বা জ্বীনের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি প্রচলিত আছে।
সুতারাং জ্বীন কোন রুপকথার চরিত্র নয়।
জ্বীন আছে তা বিশ্বাস করতে হবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যতদূর জানতে পেরেছি সেটা হচ্ছে, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা জিন ও মানব জাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শুধু মাত্র তাঁরই এবাদত করার জন্য।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন জাতি কি খায় জানেন?
এটা নিয়ে সুন্দর একটা হাদীসও আছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জিনেরা যে কি খায় তা এই সম্পাদকীয়তে ভালোভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই এই সম্পাদকীয়টি আমার কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ জ্বীন থেকে আমাকে দূরে রাখুক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জিনেরা আগুনের তৈরী । তাদের হাত থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বীন আছে, এ কথা সত্য। যদি মুসলমান হয়ে থাকি এবং ক্বুর'আন কে মানবজাতির কল্যাণের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী বাণী হিসেবে স্বীকার করি, তবে জ্বীন আছে, এ কথা মানতেই হবে। অন্যথায়, যার যা বিশ্বাস।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাটি জন্ম হতে আজ অবধি তাদের সম্পাদকীয়তে বাংলা সাধু ভাষার রীতি অব্যাহত রাখতে পেরেছে, এটা বেশ বিস্ময়কর বৈকি! এজন্য পত্রিকাটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.