নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বেডরুম

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪০


আমরা আজকাল নিজেদেরকে বিভিন্নভাবে যোদ্ধা পরিচয় দিতে পছন্দ কররছি।

আমরা কেউ অমুক যোদ্ধা, তমুক যোদ্ধা । করোনা ভাইরাস এর সময় আমরা আবার কেউ কেউ করোনাভাইরাস যোদ্ধাও হয়ে গেছি।

যে সমস্ত বাংলাদেশী নাগরিক প্রবাসে শ্রম বিক্রি করেন তাদেরকে আবার বলা হয় রেমিটেন্স যোদ্ধা। তারা বিদেশের মাটিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেন। বাংলাদেশে টাকা পাঠান । বাংলাদেশের রেমিটেন্স কে সমৃদ্ধ করেন।

প্রবাসের তাদের জীবন যাপন কেমন, তারা কি খান, কোথায় ঘুমান পরিবার-পরিজনের কেউই হয়তো সেটা জানে না। কেউ কেউ এটা কখনো বলেও না।



উপরের ছবিটি মালয়েশিয়াতে প্রবাসী শ্রমিকদের একটি শয়ন কক্ষ । শয়ন কক্ষটি আমরা একটু ভালো ভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পারি।

কথায় আছে, ছবি কথা বলে ।

এই ছবিটি অনেক না বলা কথাঈ বলে দিবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

প্রবাস থেকে যারা টাকা পাঠান, তা তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জন্যে পাঠানো হয়।

পরিবার-পরিজনরা অন্য দেশে থাকলে, প্রবাসীরা সেই দেশেই টাকা পাঠাতেন।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বেশীর ভাগ প্রবাসী শ্রমিকের জীবন অনেক কষ্টের। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। সামান্য কাজ করে খেতে চেয়েছে। দেশে সামান্য কাজও তারা জোগাড় করতে পারেনি। ফলে পরিবারপরিজন ছেড়ে বিদেশে কষ্টের জীবনে আছে।

টাকা তো অবশ্যই দেশে পাঠাবে। পরিবারের জন্যই তো মানুষ উপার্জন করে।নিজের বেঁচে থাকার জন্য আর কয় টাকা লাগে।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সত্যপথিক শাইয়্যান ,

আপনি কোথায় নাকি কি পড়ান? কোন বিষয়েই আপনার সম্যক ধারণা নেই।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বেশীর ভাগ প্রবাসী শ্রমিকের জীবন অনেক কষ্টের। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। সামান্য কাজ করে খেতে চেয়েছে। দেশে সামান্য কাজও তারা জোগাড় করতে পারেনি। ফলে পরিবারপরিজন ছেড়ে বিদেশে কষ্টের জীবনে আছে। তারা জীবনে পড়াশোনার কোন সুযোগ পায়নি। দালাল আর সুযোগসন্ধানীরা তাদের আয়ের উপর ভাগ বসায়।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৪

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:


আমি সত্যপথিক শাইয়্যান এর সাথে একমত।

যারা প্রবাসী (আমি প্রবাসী প্রফেসর, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, গবেষকদের মেনশন করছি না) তার এমন একটা ভাব লাগায় যেন তারা ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা। আরে ভাই, টাকা পাঠাও কার জন্য, কদের জন্য???
কোন অনুষ্ঠানে পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় এদের প্যানপ্যানানি "প্রবাসীদের ছোট করা হয়েছে" হ্যান করেছে ত্যান করেছে। যারা দেশে থাকে তারাও তো ট্যাক্স দিচ্ছে (কিছু কুলাঙ্গার বাদে)

কয়জন প্রবাসী দেশ সেবার ব্রত নিয়ে দেশ ছেড়েছিল? সবাই তো পেটের দায়ে যায়।
আমি আপনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করছিনা (করার অধিকার/যোগ্যতা আমার নেই)। আপনিও কি ওইসব প্যানপ্যানানি প্রবাসীদের দলে??? আমার মনে হয় না।


২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশ সেবার ব্রত নিয়ে বিদেশে যেতে হয় না। পেটের দায়েই যেতে হয়।

বেশীর ভাগ প্রবাসী শ্রমিকের জীবন অনেক কষ্টের। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। সামান্য কাজ করে খেতে চেয়েছে। দেশে সামান্য কাজও তারা জোগাড় করতে পারেনি। ফলে পরিবারপরিজন ছেড়ে বিদেশে কষ্টের জীবনে আছে। কয় দিনের জীবন। তারা থাকে স্ত্রী সন্তানদেরকে ছেড়ে। অনেকে ১০ বছরেও একবার দেশে আসতে পারে না। এটা কোন জীবন নয়।


মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আর প্রবাসী এখন বিভিন্ন অপবাদের স্বিকার হচ্ছে। বিনীত শ্রদ্ধা ।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমরা খুব স্মার্ট মানুষ। আমাদের অনেকেই খুব বেশী জানি। অন্য মানুষকে মানুষ মনে করি না। অপরকে শ্রদ্ধা করতে পারি না। এই কারণে আমাদের অনেক সমস্যা।

৫| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫

নতুন বলেছেন: বিদেশে মানুষ আরো বেশি কস্ট করে থাকে।

আমিও বিদেশেই কামলা দেই।

কিন্তু কিছু মানুষ প্রবাসে থেকে বেশি আবেগী হয়ে যায়। দেশে কোন কিছু বললেই ফেসবুকে অনেক ভিডিও প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়।

দেশের মানুষও কিন্তু প্রবাসীদের অনেক সময় অপমানসুচক কথা বলে।

কয়েকদিন আগেই মনে হয় আমাদের এক মন্ত্রী বা সচিব বলেছে প্রবাসীরা দেশে আসলে চুরি বেড়ে যাবে।

শিক্ষিত হইলে এদের আচরনও ভালো হইতো।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি হাজার হাজার সাধারণ শ্রমিকের কথা। তারা পড়াশোনা জানেন না। খুবই সহজ সরল।

বেশীর ভাগ প্রবাসী শ্রমিকের জীবন অনেক কষ্টের। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। সামান্য কাজ করে খেতে চেয়েছে। দেশে সামান্য কাজও তারা জোগাড় করতে পারেনি। ফলে পরিবারপরিজন ছেড়ে বিদেশে কষ্টের জীবনে আছে।

বিনয় একটি মহৎ গুণ । এই গুণ সবার থাকে না।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমি প্রবাস জীবন বেছে নিইনি।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রবাস জীবন বেছে নেবার মতো কোন আইটেম না। ঠেলার নাম বাবাজী। পেটে ভাত না জুটলে কোন উপায় থাকে না। তখন কাজের জন্য প্রবাস ছাড়া আর কি করা্।

ছোট্ট একটা দেশে ১৯ কোটি আদম সন্তান। অথচ কোন কাজ নেই। মানুষ করবে কি। তাদের তো বেঁচে থাকতে হবে।

৭| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি ৬ মাস প্রবাসী ছিলাম । কোন কাজ পাই নি । পরে দেশে চলে আসলাম

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নিয়মটা হলোঃ আগে কাজ জোগাড় করতে হবে। তারপর যেতে হবে। আপনি কাজ না জোগাড় করে কিভাবে ভিসা পেলেন?
টুরিস্ট ভিসা কি?

টুরিস্ট ভিসা বড় লোকের জিনিস। তারা ঘুরতে যায়। শপিং করে। খানাপিনা করে।

শ্রমিকদের ভিসা খুব কঠিন জিনিস। পথে পথে টাকা খরচ করতে হয়।

দেশে গিয়ে কি কোন কাজ খুঁজে পেলেন?

৮| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৭

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান এর সাথে সম্পূর্ণ একমত।
যারা বিদেশে থেকে দেশে রেমিটেন্স পাঠান তারা তাদের পরিবারের জন্য পাঠান। তাদের পরিবার যেখানে, টাকাও সেখানে যাবে। এবং এইটাই স্বাভাবিক।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি প্রবাসে সাধারণ শ্রমিকদের জীবন কত কষ্টের। দেশের মানুষ এতো কষ্ট করে বেঁচে থাকে না। অথচ মানুষ মনে করে বিদেশে টাকা উড়ছে। এমনকি প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবারের লোকেরাও মনে করে প্রবাসে টাকা উড়ছে।

বেশীর ভাগ প্রবাসী শ্রমিকের জীবন অনেক কষ্টের। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। তারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। সামান্য কাজ করে খেতে চেয়েছে। দেশে সামান্য কাজও তারা জোগাড় করতে পারেনি। ফলে পরিবারপরিজন ছেড়ে বিদেশে কষ্টের জীবনে আছে।

টাকা তো অবশ্যই দেশে পাঠাবে। পরিবারের জন্যই তো মানুষ উপার্জন করে।নিজের বেঁচে থাকার জন্য আর কয় টাকা লাগে।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই আলোচনা কি কারনে,আমি এর কিছুই বুঝলাম না।আমার মনে হলো, নেই কাজ তো খৈ ভাজ।

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আলোচনার দরকার আছে। মানুষের কষ্টের জীবনটাকে জানতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে তবে। খৈ তো অবশ্যই ভাজবেন। এটা খুবই পুষ্টিকর খাবার।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই আপনাকে।
দুটি শব্দ স্কিলড এবং আনস্কিলডের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। স্কিলডদের আমাদের মত দেশগুলো যথাযথ মর্যাদা দিতে পারে না।তারা অপেক্ষাকৃত ভালো থাকা পড়ার আশায় বিদেশি আয়েশি জীবন বেছে নেয়। আমরা যাকে ব্রেনড্রেন বলি, আসলেই তাকে আটকাতে যে দুটি জিনিস লাগে এক-জাতীয়তাবোধ দুই-দেশীয় অবকাঠামো তাদেরকে দেশে আটকে রাখতে পারেনা। দেশ মাতৃকার পক্ষে বিষয়টি এমন, সন্তানকে কষ্ট করে বড় করে বাপমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো।
সেখানে আনস্কিলড লেবারের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। তারা দেশে কিছু করতে না পেরে ঘটিবাটি বিক্রি করে বিদেশে যায় কায়িকশ্রম দিয়ে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর। এদের স্বল্প অর্থেই দেশ সরাসরি উপকৃত। বলা যেতে পারে, শিক্ষিত সন্তান বাবা-মাকে না দেখলেও কম শিক্ষিত সন্তানই যেন বাবা-মায়ের দেখার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। তাই বেদেশের মানবেতর জীবন যাপনকে সে হাসি মুখে মেনে নিতে পারে। এদের জন্য দরকার একটু ভালোবাসা।
চমৎকার বিষয়ভিত্তিক পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা প্রিয় সাজ্জাদ ভাইকে।


০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রিয় দাদা, আমার পোস্টের চেয়েও আপনার মন্তব্যে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।
অসাধারণ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন সব সময় । জীবন হোক আরো সুন্দর ।ভাবনাহীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.