নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫

সম্পদ ও আয়তনের তুলনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের জন্য সমস্যা।

জনসংখ্যার ভারে কাতর বাংলাদেশ। করোনার এই কঠিন সময়ে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে কোন কিছুই ঠিক নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। না লক ডাউন , না করোনা টেস্ট।


আমার বন্ধু আবুলের দাদারা ছিলেন ৯ ভাই, ৪ বোন। আবুলের বাবা ওর দাদার কনিষ্ঠ পুত্র। আবুলরাও ৫ ভাই , ২ বোন।

কেবল আবুলরাই নয়। এক সময় পুরো বাংলাদেশের চিত্রই ছিল এমন। আমি আবুলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- তোর দাদী ছিলেন কয় জন?
আবুল জবাব দিল- না, দাদী তো এক জনই ছিলেন!

আমি দুষ্টুমি করে এক দিন আবুলকে বলেছিলাম- তোর দাদা যদি ছোট বেলায় ডায়রিয়ায় মারা যেত তাহলে বাংলাদেশে কতগুলো মানুষ কম থাকতো একবার ভেবে দেখেছিস? তাহলে তো তুই আজ থাকতি না।

আজকের কোন নারী কি ভাবতে পারেন ৯টি পুত্র ও ৪ টি কন্যা প্রসব করার? অনেকেই পারবেন না। তারপরও আজো কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

৮০ এর দশকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম খুব জোরদার ছিল বলে মনে হয়। আমি খুব রেডিও শুনতাম। তাদের প্রচুর প্রচার-প্রচারণা , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণমুলক অনেক অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। তেমনি একটি অনুষ্ঠান ছিল সুখী সংসার। এছাড়া বাংলাদেশে বেতারের বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোও খুব সুন্দর সুন্দর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণমুলক অনুষ্ঠান প্রচার করতো।

খুলনা রেডিও বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে এই রকম একটি অনুষ্ঠান প্রচার করতো। তাতে সুন্দর আলী ভাই নামে এক জন থাকতেন। তার সুন্রদ সুন্দর কথা শোনার জন্য আমি ৫ টা বাজলেই খুলনা বেতার টিউন করে বসে থাকতাম।

সেই সময় এই সব অনুষ্ঠানে চিঠিপত্রের জবাব দেয়া হতো। নব দম্পতিরা কি কি ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে রেডিওর মারফত পরার্মশ নিতেন।

আমার বয়স খুব বেশী ছিল না। সব বুঝতামও না। তারপরও অনেক কিছুই মনে আছে। যেমন বিভিন্ন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পণ্যের বিজ্ঞাপন।

কিছু বিজ্ঞাপনের কিছু কথা আজো কানে বাজেঃ
১। মুর্খ লোকের মুর্খ কথায় কান দিবেন না। বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন।
২। ব্যবহারের বড়ি জয় , খাবার বড়ি নয়।
৩। রাজার সুখে দিন কাটিবে দুঃখ রবে না।
৪। আমি মফিজ। বাস চালাই। ঢাকা থিকা ভালুকা হইয়া মৈমনসিং যাই। গাড়ীতে আমার রেডিও বাজে। - ও মিয়া, শুনলাম তোমার বউ আবারও পোয়াতী হইছে। ........। মুর্খ লোকের মুর্খ কথায় কান দেও ক্যান?

আমার মনে হয় বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম খুবই ভাটার টানে আছে। এটা খুব একটা ভালো কথা না।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। আয়তন ও সম্পদের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা খুবই বেশী।

বিদেশে এখন আর আগের মতো শ্রমিকের চাহিদা নেই। তাই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য কাজের ব্যবস্থা দেশে তো করা যাবেই না । বিদেশেও করা এখন অনেক কঠিন।

অতএব বুদ্ধিমান হোন। ঠিক কাজটি করুন।






মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব কঠিন প্রশ্ন জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায় উদ্ভাবন। পরিবার গুলো ভেঙে নিউক্লিয়ার হলেও জনবিস্ফোরণ অব‍্যাহত।জানিনা এর শেষ কোথায়...
আর আপনার স্কুল জীবনে যে ভাবে লুকিয়ে খুলনা রেডিও তে এসব কথা শুনছেন, বিষয়টি ভালো নয়। এখন ওসব আর শুনবেন না। মফিজ ভাই কিন্তু ভুয়া নন। হেহেহে....

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জনসংখ্যা এখন আমাদের জন্য বিরাট আপদ। আমাদের ছোট আয়তনের দেশ। সম্পদ খুবই সীমিত। কাজ নেই।
অথচ ব্লগার রাজিব নুর খান মনে করেন জনসংখ্যা কোন সমস্যা না। তিনি নাকি এই সব অতিরিক্ত লোকদেরকে কাজে লাগাবেন।

আমি বললাম, আপনার নিজেরই তো কোন কাজ নেই।
তিনি আমার কথা শুনলেন না।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ এখন সম্পুর্ণভাবে বিশৃংখল অবস্হায়, মানুষ যা করছেন তা নিজের জন্য।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দেশের লোক সংখ্যা তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি হলে তবু চলতো। এখন তো যাচ্ছে তাই অবস্থা।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শিক্ষিত মানুষরাও ৩/৪ টা করে নিচ্ছে । আমার ইচ্ছা ১ টা নিব ।
জনসংখ্যার বৃদ্ধি অনেকটা এমএলএম কোম্পানির মত । এক পরিবার থেকে দশ পরিবার

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার বিয়ে খুব দ্রুত হোক।
আপনার আশা পূরণ হোক।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: জনসংখ্যা সমস্যা না। জনসংখ্যা আশীর্বাদ।
কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতবিদদের অদক্ষতার কারনে আমরা আমাদের বিশাল এই জনসংখ্যা কাজে লাগাতে পারছি না। দেশে যদি অসৎ লোক না থাকতো তাহলে দেশে দূর্নীতি হতো না। আর দূর্নীতি না হলে দেশের লোকজনের মধ্যপ্রাচ্য যেতে হতো না।

১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা সঠিক। কিন্তু আপনি চিন্তা করেছেন ক্যানাডার প্রেক্ষাপটে, অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাপটে ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার চিন্তা ধারার ট্রেন সঠিক লাইনে নেই। বেলাইনে চলে গেছে। এটা থামানোর মতো কোন গাইড নেই।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়' এই স্লোগান ত্যাগ করে আমাদের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আবার সেই পুরানো স্লোগানে ফিরে গেছে 'ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট'। সম্ভবত চীনের এক সন্তান নীতির খারাপ প্রভাবের কথা চিন্তা করে এরকম করা হয়েছে। আসলে তা না হলে এদেশে মেয়েদের সংখ্যা কমে যাওয়ার শম্ভবনা আছে। ভ্রুন হত্যাও সেক্ষেত্রে বাড়তে পারে। তাছাড়া প্রাক্কলিত তথ্য বলছে যে আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশের লোক সংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকবে। কাজেই বেশী নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উলটা হতে পারে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট, এটা বেস্ট থিওরী।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতীতে মানুষ সচেতন ছিল না। এখন সচেতন অনেক । তবে আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন একটা নিউজ দেখলা করোনার কারণে লকডাউনে আড়াই লাখ শিশু জন্ম নিবে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটি হুজুরের ঘরে এক পাল ছেলে মেয়ে থাকে।
এই লকডাউনে জানুয়ারিতেই নাকি অনেক বেশী শিশু জন্মাবে মালয়েশিয়াতে।
এখানকার প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষনার পরপরই ফার্মেসীতে সব কনডম উধাও হয়ে যায়।
সপ্তাহ খানেক পরে অবশ্য আবার প্রচুর চালান এসেেছে।

মানুষের হাতে অলস সময় থাকলে জিং জিং করতে চায়। এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মীয় বিষয়টা একটা বড় কারন।আহার ও মুখের বিষয়ে একটা কথা বড় বেশি প্রচলিত।তাছাড়া হাদিস কোরানেও নাকি আছে মুসলমানের সংখ্যা বাড়াতে হবে।অশিক্ষা কুশিক্ষা ও একটা কারন।ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব এখন আর কাজ করছে না।

১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মুখ দিয়েছেন যিনি
আহার দিবেন তিনি।
এটা অবশ্যই সত্য কথা।

কিন্তু বাজার সদাই তো আপনাকেই করতে হবে।

করোনা ভাইরাসের এই সময় ম্যালথাসের তথ্য কাজ করতে পারে।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: করোনার কারনে লকডাউনে সব প্রকারের পুরুষই ঘরে বিনোদন খুঁজেছে-খুঁজছে...জন্মনিয়ন্ত্রনের সকল ব্যবস্থা নাকি ভেঙ্গেচুড়ে চুরমার করে দিয়েছে বীর পুরুষরা...ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাঁটকা নাকি আটকা পড়েছে মায়ার জালে...সব্বাই আসছে পৃথিবীর আলো দেখতে...

১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মার্চ এপ্রিল মাস থেকে ১০ মাহ গণনা করলে বোঝা যাবে ঘটনা কতদূর গড়ালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.