নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজিতে টিভি ও রেডিও অনুষ্ঠান থাকা জরুরী

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২



দেশে কমপক্ষে একটি টিভি ও ১টি রেডিও ইংরেজিতে থাকা দরকার।

প্রবাসে থাকি অনেক দিন ধরেই। যেখানে থাকি সেখানকার প্রতিদিনের ঘটনা প্রবাহ ও সংবাদ জানা খুবই দরকারি বলে মনে করি।

যেহেতু স্থানীয় ভাষাটা খুব একটা পারি না বা বুঝতে কষ্ট হয় সে কারণে ইংরেজির উপরই নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানকার ইংরেজি পত্র-পত্রিকাগুলো, ইংরেজি নিউজ পোর্টালগুলো । সব চেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় প্রচারিত টিভি ও এফএম রেডিও অনুষ্ঠান।

মালয়েশিয়াতে অনেকগুলো টিভি চ্যানেল আছে যেগুলো টেরেস্ট্রিয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। এদের মধ্যে দুই একটা চ্যানেল আছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণে ইংরেজি অনুষ্ঠান প্রচার করে।

একটি চ্যানেল আছে যেটা সার্বক্ষণিক ইংরেজিতে অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে থাকে। অনেকগুলো এফএম রেডিও আছে যেগুলো পুরোটাই ইংরেজি অনুষ্ঠান প্রচার করে।

গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে পুরো পৃথিবীটাই একটা গ্লোবাল ভিলেজ।
তাই নানান প্রয়োজনে এক দেশের মানুষ অনেক দেশে যাতায়াত করে। অনেক সময় এক দেশের মানুষ আরেক দেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে । কেউ বসবাস করে এক মাসের জন্য। কেউ বা ছয় মাসের জন্য । আবার কেউ বা কয়েক বছরের জন্য অবস্থান করে। যে দেশগুলো পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় সেই দেশগুলিতে প্রতিনিয়ত নানান দেশের লোকজন আসা যাওয়া করতে থাকে ।

এই যে ভিনদেশী তারা দেশের সংবাদপ্রবাহ, জীবনযাত্রা ইত্যাদি জানতে চায় । সেটা জানার জন্য আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে এধরনের টিভি ও রেডিও থাকাটা খুবই জরুরী।

সার্বক্ষণিক ইংরেজিতে অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে এমন কোন টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে আছে কি? কিংবা সার্বক্ষণিকভাবে ইংরেজিতে অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে এরকম কোন সাধারণ রেডিও কিংবা এফএম রেডিও আছে কি?

যদি থাকে এবং তারা যদি সেই অনুযায়ী সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে তাহলে তারা খুবই ভালো কাজ করছে ।

আর যদি না থাকে তাহলে এটা খুব দ্রুতই থাকা দরকার । এই ধরনের টিভি ও রেডিও গুলো বিদেশীদের কাছে দেশের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সাধারণ দর্শক শ্রোতাদের ইংরেজি শিখতে সহযোগিতা করবে।

তারা এই ধরণের চ্যানেল থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজি শিখতে হবে নিজের প্রয়োজনেই। ইংরেজী না জানলে আমরা পৃথিবী থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো। যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে সারাক্ষণনের জন্য ইংরেজী চ্যানেল নেই?

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে মনে হচ্ছে এই ধরনের কোনো চ্যানেল নেই যেখানে সার্বক্ষণিক ইংরেজি অনুষ্ঠানমালা সম্প্রসারিত হয়।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে সারাক্ষণ ইংরেজী টিভি চ্যানেল, রেডিও নেই। তবে বাংলা চ্যানেল গুলোতে ইংরেজী খবর প্রচার হয়। রেডিও তে ও ইংরেজি খবর প্রচার হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সর্বক্ষণিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ইংরেজি চ্যানেল থাকা জরুরী । বাংলা চ্যানেলে মাঝে মাঝে খবর প্রচারিত হয় এটা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ রকম সার্বক্ষণিক ইংরেজিভাষার কোনো রেডিও-টিভি নেই, কিন্তু বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম নামে একটা পার্ট আছে, যেখানে মেজর ভাষাগুলোতে প্রোগ্রাম হতো, এখন কি অবস্থা জানি না।

আমাদের গণমাধ্যম দুর্বিত্ত ব্যবসায়ীদের লাঠিয়াল, নতজানু এবং পার্টিজান হওয়ার কারণে এখানে মানসম্মত গণমাধ্যমকর্মী হওয়ার চেয়ে অনুগত গণমাধ্যমকর্মী বেশি তৈরী হচ্ছে। এ ধরণের গণমাধ্যমকর্মী দিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষায় টিভি চালানোর মত আন্তর্জাতিকমান অর্জন সম্ভব কি না, সে প্রশ্নের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনার প্রস্তাব বিবেচনায় আসবে না বলেই মনে হয়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও যুগোপযোগী মন্তব্য করেছেন।
পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেশীরভাগ বাংলা টিভি চ্যানেল অর্থনৈতিকভাবে অনেক খারাপ অবস্থায় আছে। বহু সংবাদকর্মী নিয়মিত বেতন পায় না। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক ইংরেজি ভাষায় টিভি বা রেডিও চ্যানেলের প্রয়োজন নেই এবং অর্থনৈতিকভাবেও এটা টিকিয়ে রাখা কঠিন। ভারতে আছে কারণ ভারতে বহু ভাষার মানুষ জন আছে এবং সঙ্গত কারণে ইংরেজির ব্যবহার প্রচুর। এই ইন্টারনেটের যুগে ইংরেজি ভাষা শেখার কারো আগ্রহ থাকলে ইন্টারনেটে বহু ব্যবস্থা আছে তার জন্য আলাদা টিভি/ রেডিও চ্যানেল দরকার নাই। একমাত্র সরকারের পক্ষে এরকম উদ্যোগ নেয়া সম্ভব বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য/ সংস্কৃতি বাইরের বিশ্বের কাছে বা এদেশের বিদেশীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। বাংলাদেশে যারা বিদেশী লোক আছে তারা আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় অতি সামান্য। তাদের জন্য সরকার বা কোনও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান উদ্যোগি হবে না। তবে ইংরেজি আর বাংলা মিশ্রিত ভাষা শিখতে চাইলে এফ এম রেডিও শোনা যেতে পারে। কিন্তু এই ভাষা পরিত্যাগ করাই উত্তম।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অসাধারণ সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা দেশের জন্য খুবই উপকারী।
আপনার মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুদ্ধভাবে ইংরেজী লিখতে পারে, এমন লোক তবু হয়তো পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু শুদ্ধভাবে অনর্গল ইংরেজীতে কথা বলতে পারে, বাংলাদেশে এমন লোক খুব বেশি পাওয়া যাবে না। এমনকি শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে পারে (এ্যাঁ এ্যাঁ করা ছাড়া), এমন আলোচকও খুব বেশি পাওয়া যাবে না। টিভি সাংবাদিকদের অনলাইন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞজনদের টক শো শুনলে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে পদ্ম পুকুর এর মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য।
তবে আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেছেন। ইংরেজী এবং বাংলা, উভয় ভাষাই আমাদেরকে শুদ্ধভাবে শিখতে হবে। আমাদের এফ এম ব্যান্ডের ভাষা না ইংলিশ, না বাংলা- অনেকেই এটাকে কৌতুক করে বাংলিশ বলে থাকেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, আপনার অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

আমি আমার বেকার জীবনের সময়টা মূলত গ্রামে কাটিয়েছি।

সেখানে আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরিত্যক্ত ক্যাসেট প্লেয়ারটি চেয়ে নিয়েছিলাম । সেটাতে ক্যাসেট ভাল বাজত না । কিন্তু রেডিওটা ছিল অসাধারণ । সেই রেডিওতে আমি মূলত বিবিসি বাংলা, ভয়েস অব আমেরিকা এই জাতীয় রেডিওগুলো বেশি শুনতাম ।

সেই সময় বিবিসি বাংলায় এক জন নতুন রিপোর্টার এসেছিলেন যার নাম ছিল শেখ সাদী । তার চমৎকার গলা ছিল। কিন্তু সব চেয়ে বড় দোষ/গুণ ছিল আঁ, আঁ, আঁ করে কথা বলতেন। আমি প্রথম দিনই বুঝেছিলাম এত সুন্দর কন্ঠ থাকা সত্ত্বেও তিনি বিবিসিতে টিকতে পারবেন না। আমার কথা কয়েক দিন পরই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল । পরবর্তীতে বিবিসিতে আর কখনই সেই প্রতিবেদক এর কন্ঠ শোনা যায়নি ।

সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারা সেটা বাংলাতে হোক আর ইংরেজিতেই হোক সেটা অত্যন্ত বড় একটা গুণ। এই গুণটি বাংলাদেশের অনেকেরই নেই । যারা কথা বলেই জীবিকা নির্বাহ করেন যেমন আইনজীবী, শিক্ষক তাদের মধ্যেও কোনটির অভাব রয়েছে।

আমার প্রস্তাবটি যে কারণে দেওয়া সেটা হচ্ছে মূলত ওই গুণগুলি থেকে বের হয়ে আসা । অন্ততপক্ষে যদি একটি বেসরকারি এফএম রেডিও থাকে তাতে নানান ধরনের টক শো এর আয়োজন করা যাবে । তাতে তরুণ শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারবেন। এমনকি বাংলাদেশে বেড়াতে আসা বিদেশীরা অংশ নিতে পারবেন। আর আমার নিজের ধারণা, এফএম রেডিও চালাতে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.