নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
প্রতিদিন বিকেলে হাটতে বের হই। সন্ধ্যায় স্কুলে যেতে হয় কয়েক বার। বাচ্চারা সেখানে কোচিং করে । তাদেরকে দিয়ে আসতে হয়। আবার নিয়ে আসতে হয়। তাই বার বার যেতে হয়। আসতে হয়।
এই সময় দেখি ফুটপাথ আটকে রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ বিড়ি ফুঁকছে। ধোঁয়ার বাজে গন্ধে ঢাকার দূষিত বায়ু আরো দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সেই পচা ধোঁয়া নাকে আসতেই পচা গন্ধে পেটের নাড়িভূড়ি শুদ্ধ বের হয়ে আসার উপক্রম।
তারপর ও কেউ থামে না। বিড়ি তাদেরকে খেতেই হবে। আমি বুঝি না বাসায় বিড়ি না খেয়ে রাস্তায় এসে খেতে হবে কেন? উঠতি বয়সের তরুণদের তো দেখি আরেক সমস্যা। সাথে থাকে তরুণী। আর হাতে থাকে জ্বলন্ত বিড়ি।
মেয়ে মানুষ সাথে থাকলে কি বিড়ি ধরাতেই হবে? প্রায়ই দেখি কোন তরুণের সাথে তরুণী থাকলে অবধারিতভাবে তাদের হাতে বিড়ি ধরানো থাকবেই। এটা কি তারা ভয় কাটানোর জন্য করে? নাকি আজকালের মেয়েরা বিড়ি পছন্দ করে ? তরুণরা হয়তো ভাবছে হাতে একটা বিড়ি ধরানো থাকলে তারেকে স্মার্ট লাগে। মেয়েরা হয়তো স্মার্ট পোলা বেশী পছন্দ করে।
সেই যাই হোক। এই সব বিড়িখোর লোকদের উপর আমি মহাক্ষিপ্ত। আমি যদি সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোন লোক হতাম তাহলে এদেরকে আচ্ছা করে ধোলাই দেবার ব্যবস্থা করতাম। কেননা- বাংলাদেশের আইনেই আছে পাবলিক প্লেসে (প্রকাশ্য জায়গায় যেখানে জনসাধারণ চলাচল করে) ধূমপান করা যাবে না। করলে ৫০ টাকা নগদ জরিমানা।
আমি যেহেতু আইনের লোক নই তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিড়িখোর আবালদেরকে কিছু বলতে পারছি না।
কিন্তু আমি যা বলতে পারিনি সেটা করে দেখালেন এক ভদ্র মহিলা। কয়েক টি ছোকরা ফুটপাথ আটেকে রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছিল আর মুখ অদ্ভত ভাবে কুঁচকে চারদিকে ধোঁয়া ছাড়ছিল। বিরাট আমেজে ছিল তারা। ঠিক এই সময় ভদ্রমহিলা ফুটপাথ দিয়ে আসছিলেন। তাকে দেখে তারা (আজকাল কেউ ই ফুটপাথ আগলে রাখলে পথ ছাড়তে চায় না।) পথ ছাড়লো না।
তাঁর মেজাজ খেল খারাপ হয়ে। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- গু খাবি বাসায় যায়া খা! রাস্তা আসিস ক্যান। বাসায় জায়গা নাই!
ভদ্র মহিলার পরামর্শ আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। কারণ তার কথার মধ্যে নীচের তথ্যগুলো রয়েছেঃ
১। রাস্তায় বিড়ি খাওয়া যাবে না।
২। নেহাত যদি খেতেই হয় তাহলে বাসায় গিয়ে খেতে হবে।
৩। বিড়ি খাওয়া আর গু খাওয়া সমান।
তার এই কথার সূত্র ধরে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বিষয়ক আইনের কিছু সংশোধনী আনা যায়।
৫০ টাকা জরিমানার বিধান পরিবর্তনঃ এখন এক কেজি আলু কিনতে লাগে ৬০ টাকার উপরে। সেই বিবেচনায় ৫০ টাকা জরিমানা কোন দন্ডই নয়। তার চেয়ে ৫,০০০ টাকা জরিমানা ধরলে সেটা দেখতে ও শুনতে ভালো লাগে।
তাই বিধান করা হোক-” প্রকাশ্য পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে ৫,০০০ টাকা জরিমানা কিংবা মনুষ্য বিষ্ঠা ভক্ষণ অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।”
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গু কারোরই খাওয়া উচিত নয়। হোক সেটা আপনি কিংবা তিনি।
আর নিতান্ত যদি খেতেই হয় বাসায় বসে খাওয়া উচিত।
মানুষকে কেন নির্যাতন করেন।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
নাদিয়া জান্নাত বলেছেন: সহমত!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এদের যন্ত্রণায় রাস্তায় হাটতে পারি না। পার্কে যেতে পারি না।
এদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারা এটাকে ফ্যাশন মনে করছে! যারা বিড়ি খায়না তাদের কাছে এর চেয়ে বিশ্রীগন্ধ আর নেই। সত্যিই বিশ্রীগন্ধ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দের উচিত অন্যের বিরক্তির কারণ না হওয়া।
অন্যের স্বাস্থের যে ক্ষতি এরা করতে তা ভয়াবহ।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টের শিরোনামটা ভালো হয়নি; সিগারেট শব্দটা দিলে সুনতে ভালো লাগতো
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি ঢাকায় এসে কয়েক দিন থাকলেই বুঝবেন আমার এই শিরোনামটি কত ভালো হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের বইয়েও এই শব্দটি আরো শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন - চামচে করে কাঁচা গু খা......
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
নতুন বলেছেন: সহমত
বিড়ি খাবে সমস্যা নাই কিন্তু তার কারনে যেন আমার সমসা না হয়।
চাবাইয়া পানের মতন খাইলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ধুমপানে অন্যের কস্ট হয় সেটা অবস্যই বন্ধ করা উচিত।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পান খাদকগণ আরেক চিজ।
তারা রাস্তা-ঘাট অফিস আদালত পানের পিক ফেলে নোংরা করে।
তাদের দাঁত দেখলে ঘৃণা লাগে।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এক মুরব্বী বলেছিলো, কেউ আগুন খুজলে:
গু খাবি, চামচ রাখবি না।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ওই মুরুব্বীকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম পৌছে দিবেন- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
উনি দীর্ঘজীবী হোন।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এক মুরব্বী বলেছিলো, কেউ আগুন খুজলে:
গু খাবি, চামচ রাখবি না।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ওই মুরুব্বীকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম পৌছে দিবেন- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
উনি দীর্ঘজীবী হোন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বিলাসিতা বলতে সিগারেট।
এটাও বন্ধ করে দিতে চান??