নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীজীর একটি অসাধারণ ফায়সালা *******************************,

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

এক মহিলা সাহাবি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, আমি জিনা (ব্যভিচার) করেছি। জিনার কারণে গর্ভবর্তী হয়েছি। এখন আমি কি করবো ? আমার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করুন, আপনার যা ফায়সালা হয়।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি বাড়িতে চলে যাও। সন্তান প্রসব হলে এবং তার দুধ পান করানোর সময় অতিবাহিত হলে আবার আমার নিকট এসো।


মহিলাটি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে নবীজির দরবার ত্যাগ করে গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন। তারপর ১০ মাস ১০ দিন ধরে অপেক্ষা করতে থাকলেন।

যথা সময়ে মহিলাটির কুল জোরে একটি ফুটফুটে শিশু জন্মগ্রহণ করল।
যখন তার সন্তানের দুধ পানের মেয়াদ শেষ হলো, তখন সে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে উপস্থিত হলো।

নবীজী বললেন, তোমার এ সন্তানকে লালন পালনের দায়িত্ব অন্য কারো উপর দিয়ে দাও।

মহিলাটি বাড়িতে ফিরে গেলেন এবং একজন উপযুক্ত অভিভাবকের জিম্মায় সন্তান টিকে রেখে এলেন । যিনি সন্তানটিকে লালন-পালন করে বড় করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেন। যখন তিনি সন্তানকে অন্য এক জনের দায়িত্বে রেখে পুনরায় নবীজির পাক দরবারে তাশরিফ আনলেন তখন দয়াল নবীজি তাকে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে উপস্থিত সবাইকে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে জিনাকারী মহিলাটিকে হত্যার নির্দেশ দিলেন।

তাঁর জন্য বুক সমান গভীর এক গর্ত খুঁড়া হলো এবং তাঁকে সেখানে দাঁড় করিয়ে দেয়া হলো। এরপর উপস্থিত সবাই বিসমিল্লাহ বলে সজোরে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করল মহিলাটিকে লক্ষ্য করে। শরীরে পাথর আঘাত করার সাথে সাথেই মহিলাটি আর্ত চিৎকার করে উঠলো।

নবীজি নিজেও একটি পাথর হাতে নিয়ে মহিলাটির মুখ বরাবর লক্ষ্য করে একটি পাথর ছুড়লেন। পাথরটি গিয়ে প্রচন্ড জোরে আঘাত করলো মহিলাটির চোয়ালে । সাথে সাথে চোয়াল ফেটে গিয়ে গল গল করে রক্ত বের হতে লাগলো।
এক সময় মহিলাটির চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল । ধীরে ধীরে ঢলে পড়লো নিথর দেহটি।


তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জানাজার নামাজ পড়ালেন।

হজরত ওমর ( রা) আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তাঁর জানাজা নামাজ পড়ালেন? এতো ব্যভিচারিনী নারী পাপিষ্ঠা।

তিনি বললেন, তোমরা জেনে রাখ, এই মহিলা এমন তওবা করেছে তা যদি সমগ্র পৃথিবীবাসীর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয় তাহলেও তা সবার ক্ষমা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।

এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে যে, সে (আল্লাহর ভয়ে) নিজের জীবন দিয়ে দিল।

(মুয়াত্তা) নাসাঈ’র হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঊকে পাথর নিক্ষেপ করতে আসলেন এবং তাঁকে লক্ষ্য করে সজোরে একটি পাথর নিক্ষেপ করলেন। তখন তিনি একটি গাধার পিঠে আসীন ছিলেন।

সুবহানাল্লাহ! কতই না মহান আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই ফয়সালা।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আফসোস।

বড়ই আচানক ঘটনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অবশ্যই আচানক ঘটনা এবং বিরাট আফসোস ।
এই আফসোসের কোন শেষ নেই ।
সীমা নেই পরিসীমা নেই।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাই আমার মনে হয় এগুলো বানানো। এসব ঘটনার কোন সহীহ রেফারেন্স। শুধু ফিজিকাল রিলেশন করছে একজন মহিলাকে পাথর নিক্ষেপ করতে করতে মেরে ফেলার নির্দেশ কি রাসুল স: দিবেন? যেখানে আপনার পোস্টে বলছেন - সে এমন তওবা করছে আল্লাহ ক্ষমা করে দিছেন। যদি ক্ষমাই করেন তাহলে বুক পর্যন্ত গেরে পাথর নিক্ষেপ করবে কেন? ঐ সময় কি মেয়েটির মুখমণ্ডল খোলা ছিলনা? পর্দার খেলাপ কি হয়নি। মেয়েটির জন্য যারা গর্ত খুড়ছেন - পাথর মারছেন তারা কি ধুয়া তুলসীপাতা ছিলেন? অনুগ্রহ করে রেফারেন্স বিহীন মৌলবাদী কিচ্ছাকাহিনী পোস্ট করবেন না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সমস্যা হচ্ছে আমাদের মমিন মুসলমানগণ ধর্ম পালন করেন কাস্টমাইজ করে।
অর্থাৎ ধর্মীয় বিধি-বিধানগুলোকে নিজের সুবিধামত করে আদায় করেন ।

ফলে কোরান হাদিসে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও এইসব মুমিন মুসলমান বলেন, এগুলি ভুল ব্যাখ্যা। অথবা এগুলি কুরআনে অন্য অর্থে বলা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছেঃ মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজেই বলেছেন কুরআনকে সবচেয়ে সহজ করে নাযিল করা হয়েছে যাতে সকল মানুষ ইহা পাঠ করে বুঝতে পারে।


সত্যিকারের ইসলামিক জীবন যাপন করতে হলে আপনাকে কুরআন এবং হাদিস ভালোভাবে পড়তে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে ।

অযথা আবেগে গা ভাসিয়ে আমি খাঁটি মমিন মুসলমান বলবেন তা হবে না!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার মন্তব্যের শেষ বাক্যে আপনি বলেছেন, অনুগ্রহ করে--------

ভাইরে, প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করতে থাকুন ।
পবিত্র পাক কুরআন মজিদ এবং হাদিস গ্রন্থগুলো পাঠ করতে থাকুন ।

আর আপনি মৌলবাদী বলছেন কাকে!? সত্যিকারের মৌলবাদী কি জিনিস?

ইসলামের মূল বিষয়টাই হচ্ছে আল কুরআন এবং হাদিসকে নিয়ে এবং এই দুইটি জিনিস যারা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন তারা এই মৌলবাদী । এখন আপনি যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করেন অথচ আপনি কুরআন-হাদিস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন না , আপনার সুবিধামতো কাস্টমাইজড বা পার্সোনালাইজড করে নেবেন সেটা তো হবে না।

তাহলে আপনি তো ইসলাম ধর্ম থেকে বিপথ চলে গেছেন।

আফসোস এই সমস্ত লোকের জন্য যারা কোরআন হাদিসের সঠিকভাবে অনুসরণকারীদেরকে মৌলবাদী অপব্যাখ্যা দেয়

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই ভয়াবহ।
না এরকম হতে পারে না। আমাদের নবীজি নরম মনের মানুষ। তিনি এত কঠোর হতে পারেন না। এটা অবশ্যই জাল হাদীস।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি জানি আপনি একজন সাচ্চা মমিন মুসলমান এবং প্রচুর পড়াশোনা করেন ।

দয়া করে প্রতিদিন মহা পবিত্র পাক কালাম কুরআন মাজীদ পাঠ করুন এবং হাদিস শরীফ পড়ুন । ইসলামকে জানতে হলে এগুলো পড়তে হবে এবং সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে অযথা আবেগের স্রোতে ভাসাবেন না।




সমস্যা হচ্ছে আমাদের মমিন মুসলমানগণ ধর্ম পালন করেন কাস্টমাইজ করে।
অর্থাৎ ধর্মীয় বিধি-বিধানগুলোকে নিজের সুবিধামত করে আদায় করেন ।

ফলে কোরান হাদিসে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও এইসব মুমিন মুসলমান বলেন, এগুলি ভুল ব্যাখ্যা। অথবা এগুলি কুরআনে অন্য অর্থে বলা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছেঃ মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজেই বলেছেন কুরআনকে সবচেয়ে সহজ করে নাযিল করা হয়েছে যাতে সকল মানুষ ইহা পাঠ করে বুঝতে পারে।


সত্যিকারের ইসলামিক জীবন যাপন করতে হলে আপনাকে কুরআন এবং হাদিস ভালোভাবে পড়তে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে ।

অযথা আবেগে গা ভাসিয়ে আমি খাঁটি মমিন মুসলমান বলবেন তা হবে না!

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: কী ভয়াবহ! অবাক হলাম...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
ধর্ম চলে ধর্মগ্রন্থের বিধান অনুযায়ী ।
সেই বিধান মেনে চলাই প্রত্যেকটি ধার্মিকের অবশ্য কর্তব্য।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

এস.এম.সাগর বলেছেন: এই হাদিসটি বুখারী শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ মুয়াত্বা ইবনে মালেক, ইবনে মাযাহ্ সহ প্রশিদ্ধ সকল হাদিস শরীফে এসেছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমাদের দেশের মানুষরা ধার্মিক। এটা ঠিক আছে।
কিন্তু তারা পাক কুরআন মজিদ পাঠ করে না।
আল হাদিস গ্রন্থ সমূহ পাঠ করেনা।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

এস.এম.সাগর বলেছেন: যারা বলে শুধুই ফিজিকালী রিলেশন? ইসলামে বিবাহ বহীর্ভূত সম্পর্ক নিষিদ্ধ। বিবাহ বহীর্ভুত স্বারিরিক সম্পর্ক ও নিষিদ্ধ। আর তাদের শাস্তি মাটিতে গলা পর্যন্ত পুতে পাথর নিক্ষেপ করা। অবশ্য তাদের এ আইন ভাল লাগবেনা যারা ইসলামের কথা শুনলে মৌলবাদের চুলকানী শুরু হয়।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক সকল ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ নয় ।
যেমন দাসীদের সাথে করা যাবে ।
যুদ্ধে গনিমতের মাল যারা তাদের সাথে করা যাবে।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪

নতুন বলেছেন: @এস.এম.সাগর ভাই।

এমন অমানবিক আইনের কারনেই অনেক ধর্ম মানুষের কাছে অপছন্দের কারনে পরিনত হয়েছে এবং বর্তমানেও মানুষ ধীরে ধীরে ধর্ম থেকে দুরে যাচ্ছে কারন বর্তমানের জীবন ব্যবস্থারর সাথে অনেক আইন/নিয়ম চলে না...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান বা কমপ্লিট কোড অফ লাইফ।
এটা কোন নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ধর্ম নয়।
এটা সর্বকালের এবং সারা পৃথিবীর সকলের জন্য সর্বকালের জন্য ধর্ম এবং এই ধর্মের অনুশাসন নির্ধারিত হয় মহাপবিত্র গ্রন্থ কোরআন মজিদ এবং হাদিস দ্বারা ।
কুরআন মজিদ এবং হাদিস সঠিকভাবে অনুসরণ করাই প্রতিটি মমিন মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য ।
কেউ যদি কুরআন এবং হাদিসকে নিজের সুবিধামতো ভুল ব্যাখ্যা করে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে তাহলে সে সত্যিকার অর্থে মুমিন মুসলমান হতে পারবেন না।

ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে মানবিক ধর্ম এবং একমাত্র ইসলামেই নারীকে সর্বাধিক মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।
যা অন্য কোন ধর্মে প্রদান করা হয়নি।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

নতুন বলেছেন: বর্তমানের সময়ে ২০১৪ এ এমন সাজা কতটা মেনে নেবে মানুষ?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


দেখুন এটা ২০১৪ সাল কিংবা ২০২৪ সালের কোন ব্যাপার নয়। ইসলাম হচ্ছে সর্বজনীন, বিশ্বব্যাপী এবং সর্বকালের জন্য শান্তির সেরা ধর্ম।

মানবজাতির জন্য যা কিছু কল্যাণকর সেই বিধানে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পবিত্র পাক কোরআন মসজিদে বলে দিয়েছেন এবং কোরআন মসজিদের সেই নির্দেশের একটু বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই যদি আপনি সত্যিকার অর্থে মুমিন মুসলমান হয়ে থাকেন।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

ক্রেটোস বলেছেন: এই ঘটনাটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ইসলামে রজম নেই বলে অনেকেই রব তুলেছেন। কারণ মুসলিমদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরানে কোথাও রজমের কথা বলা নেই। এইসব আসলে হাদীস সংগ্রহের সময় বানোয়াট হাদীস বলেই অনেকেই মনে করেন। যদিও এইসব নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব হয়ে এসেছে প্রথম থেকেই। তবুও এই হাদীসপন্থি ও বিরোধী দুই দলই এখন পাল্লায় ভারী এবং নিজেদের মত প্রকাশ করে যাচ্ছে। আরেকটি কথা "কোল জুড়ে " হবে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কেউ শয়তানের ধোকায় পড়ে ব্যভিচার করে ফেললে সে যদি অবিবাহিত হয় তা হলে তাকে একশটি বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর করা হবে। আর যদি সে বিবাহিত হয় তা হলে তাকে রজম তথা পাথর মেরে হত্যা করা হবে।

মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন,


﴿ٱلزَّانِيَةُ وَٱلزَّانِي ۡلِدُواْ كُلَّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا مِاْئَةَ جَلۡدَةٖۖ وَلَا تَأۡخُذۡكُم بِهِمَا رَأۡفَةٞ فِي دِينِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۖ وَلۡيَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَةٞ مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢﴾ [النور: ٢]

“ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী; তাদের প্রত্যেককে তোমরা একশ করে বেত্রাঘাত করবে। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত করতে না পারে যদি তোমরা আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাকো এবং মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ২-

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আফসোস।

বড়ই আচানক ঘটনা।



এরকম কি হয় আসলে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি বলেছেন -এরকম কি হয় আসলে।
দেখুন, আপনার প্রশ্নটা পরিষ্কার নয়।
আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আপনার প্রশ্নের মাধ্যমে?
আমি সেটা বুঝতে পারিনি।

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এসব ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে। একজন মহিলা ব্যভিচার করে আত্মোপলব্ধি করে শাস্তি ভোগ করতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পা বাড়িয়ে এগিয়ে আসবেন গল্পকথায় সম্ভব হলেও বাস্তবে নয়। বর্তমান বিশ্বের নামকরা সব ধর্মীয় রাষ্ট্রগুলোতে তাহলে কোনো অপরাধ থাকতো না। এমনকি খোদ আরবেও পাথর ছোড়া যেহেতু আজো বন্ধ হয়ে যায় নি।। যাইহোক অবাধ্য জনগনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এমন গল্প সহজেই অনুমেয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কোরআন হাদিসের কথা বিশ্বাস না করার স্বাধীনতা আপনার রয়েছে।
কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনি যদি প্রকৃত মমিন মুসলমান হয়ে থাকেন আপনাকে কোরআন এবং হাদিস বিশ্বাস করতেই হবে।
এর কোন বিকল্প নাই।

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাসান রাজু বলেছেন: ইসলামে বিয়ে খুব সহজ এবং স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মানুষের যৌন চাহিদাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু বহুগামিতা অবাদ না করতে কিছু শর্ত আরোপ করে সামাজিক এবং স্বীকৃত প্রন্থার মাধ্যমে গ্রহন যোগ্যতা তৈরী করা হয়েছে। বহু বিবাহ , মোতাহ বিবাহ এগুলো কিছু সংস্কৃতিতে স্বাভাবিক ভাবে নেয়া হয় না। সেখানে মানুষের স্বাভাবিক যৌন তাড়নাকে কোন না কোন ভাবে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক একটা চাহিদা তো অস্বীকার করা যায়না । সে সংস্কৃতিতে তখন এটাকে “ সাধারন ফিজিক্যাল রিলেশন” হিসেবে সংজ্ঞায়ন করা হয়।
অবাদ যৌনাচার সমাজে বিরোপ ছাপ রাখে। এজন্য ইসলাম এখানে যে কাজটা করেছে সেটা হল, বহু বিবাহের অনুমোদন এবং মোতাহ বিবাহের মাধ্যমে লুকোচুরির অবসান । দু ধরনের বিবাহের ই সামাজিক স্বীকৃতি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এই সমাজে তখন জিনা/ব্যাবিচার একটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কারন ব্যাবিচার রুখতে সেখানে অনেক বিকল্প রাখা হয়েছে ।
বিষয় গুলো ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। সংক্ষেপে বুঝানো কঠিন। আমাদের সংস্কৃতির পরিমন্ডলে এসব আলোচনায় বিবেকের আগে আবগ কাজ করে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

একমাত্র ইসলামেই সুন্দর বিধান দেয়া আছে।
এমন সুন্দর বিধান কোথাও দেখি নাই।
আলহামদুল্ল্লিাহ।

১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বড়ই আচানক ঘটনা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



অবশ্যই আচানক ঘটনা।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: রজন ও বয়স্ক লোককে দুধপান করানোর আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।হাদিসে আছে কিন্তু কোরানে নাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
মানুষের কিছুই করার নাই।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: রজম হবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বুক পর্যন্ত মাটিতে পুতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে ইসলামিক পরিভাষায় রজম বলা হয়।

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হাদীস টি পড়ে আমি প্রচণ্ড মর্মাহত।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনার মরমে কেন এত ব্যথা?
হঠাৎ করে আপনি কেন এত মর্মাহত হয়ে গেলেন?

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

ক্রেটোস বলেছেন: হাহাহাহা,

কোরানে তো বলা আছে ব্যভিচারীদের শাস্তি দিতে। কোরানে তো আর বলা নেই যে অবিবাহিতদের জন্য এই আয়াত। তো কোরানের এই আয়াত সংযোজনের কী দরকার! যাইহোক আপনি ভালো থাকবেন! বোধহয় অনেক মন্তব্যে আপনার মাথা গুলিয়ে গেছে !!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পবিত্র কোরআন ম,জিদ মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন।
ইহাই একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা আপনার সহায় হোন।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: একটি জাল হাদীস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলেন। আল কোরআনে কোথাও পাথর মেরে হত্যা করার কথা বলা হয় নাই। বলা হয়েছে ব্যাভিচারীর সাথে ব্যাভিচারনিীর বিবাহ দিয়ে দিতে। পাথর মেরে হত্যা করার আইন তৎকালীন মধ্যপ্রাচের আইন ছিলো ঐসময়ে মানুষ পাথর মেরে হত্যা করতো। এটি ইসলামী আইন নয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এটা হাদিসের গল্প নয়।
এটা পবিত্র কোরআন শরীফে আছে ।
আপনি পড়াশোনা করেন না ।
এটার জন্য তো আমি দায়ী না।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এটা পবিত্র কোরআন শরীফে আছে ।
আপনি পড়াশোনা করেন না ।
এটার জন্য তো আমি দায়ী না।

আপনি তো অনেক লেখা পড়া করেন। বলেন তো । এই বিষয় কোন সুরায় কোন আয়াতে আছে? তাল বাহানা করবেন না। ডাইরেক্ট কথা বলেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ব্যভিচারের শাস্তি
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ’ ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ’ –সূরা নূর: ২

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ’ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)। ’ (সহিহ মুসলিম)

এই হাদিসের আলোকে অন্য মাজহাবের ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, ব্যভিচারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুটো। ১. একশ’ বেত্রাঘাত, ২. এক বছরের জন্য দেশান্তর।

আর হানাফি মাজহাবের বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি) হলো- একশ’ বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে তা প্রয়োগ করতে পারেন।

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগে জাল হাদীস দেয়া কি ঠিক?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এখানে জাল হাদিস কোনটা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলুন।

২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: রজমের শাস্তি তওরাত (Old Testament) এ আছে, কোরআনে নেই। তবে আমার মনে হয়, পাথর নিক্ষেপের শাস্তি দেওয়ার বিধান সংক্রান্ত হাদিস বানোয়াট নয়।
রজমের শাস্তি আপনাদের কাছে অনেক ভীতিকর মনে হওয়ার অর্থ, এ শাস্তির Deterrent (নিবৃত্তকরণ) ক্ষমতা অত্যধিক যা দুর্নিবার যৌনকামনা (পরকীয়া পড়তে হবে) ঠান্ডা করতে অব্যর্থ । আর আপনাদের চেয়ে আল্লাহ তার সৃস্টির বিষয়ে বেশি জানেন।
আর একটি কথা না বললেই নয়, আমরা যারা মুমিন হওয়া সত্তেও আল্লাহকে ”বে-ইনসাফী দয়াবান” ভেবে পাপ কাজ করে যাচ্ছি আর ভাবছি যে আল্লাহ ক্ষমা করবেন; তাদের জন্য এ হাদিসে শিক্ষনীয় আছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নিশ্চয়ই আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকরী।

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি অনেক জ্ঞানি মানুষ কিন্তু এতো প্যাচান কেনো? সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেন। আমি আপনাকে সহজ প্রশ্ন করেছি আল কোরআনের কোথায় ব্যাভিচারের শাস্তি পাথর মেরে হত্যা করার কথা বলা আছে। যে বিষয় টি আল কোরআনে উল্লেখ নেই সেই বিষয়টি আল কোরানে আছে বলে আমাকে মিথ্যা বললেন কেনো? আপনি তো চরম মিথ্যা কথা বলেন। আপনার দ্বারা ধর্মের কোন কথা কি মানায়? মিথ্যা বাদী লোকেরা ধর্ম নিয়ে সবসময় মিথ্যা কথাই প্রচার করে। মিথ্যা খুব সহজেই বলে গল্প বানাতে পারেন। আবার এগুলো কিছু লোককে শুনিযে বাহবা পেতে পারেন। তাতে লাভ নেই। বাস্তবতা থেকে দুরে থাকতে পারবেন না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: AMP
প্রচ্ছদ
ধর্ম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
Dhaka Post Desk
ধর্ম ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
প্রতীকী ছবি




ইসলামে যেনা ও ব্যভিচার একটি শাস্তিযোগ্য পাপ এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।

আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩২)। ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী উভয়কে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো।’ (সুরা : আন নূর : ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।

মহানবী (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।

হজরত ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে—এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।

আল্লামা জাজিরি (রা.) তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ব্যভিচার ও এর প্রভাবের ক্ষতি অগণিত। এতে চারিত্রিক, ধর্মীয়, শারীরিক, সামাজিক, পারিবারিক সর্বোপরি পাপ কাজে জড়িয়ে পাপিষ্ট হওয়ার ক্ষতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর দোয়া কবুল করেন না। তার থেকে ঈমানের নূর চলে যায়। যেখানে ব্যভিচার চলে, সেখানে রহমতের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যভিচার চুরি, হত্যা ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক। ব্যভিচারের ফলে এইডসের মতো কঠিন রোগ হয়।

২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা হাদিসের গল্প নয়।
এটা পবিত্র কোরআন শরীফে আছে ।
আপনি পড়াশোনা করেন না ।
এটার জন্য তো আমি দায়ী না।


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনি কাকে এই কথা বলেছেন বুঝতে পেরেছেন? বাবলু ভাইয়ের ব্লগ পড়ে আসুন একটু প্লিজ।

কোরানে কোথাও কি পাথর ছুড়ে মারার কথা আছে?

হাদিসের টাইম লাইন দেখলেই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। হাদিস মানুষ বিনিয়েছে এভং তার পছন্দের মতন করে ব্যবহার করেছে।

কোরানে যদি পাথর মেরে হত্যার কথা না থাকে তবে আপনি কিভাবে এটার সমর্থন করেন?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কেন বাবুল ভাই কি হাফেজ সাহেব নাকি?
কুরআন বোঝার জন্য কোন হাফেজ সাহেব হওয়ার দরকার নেই ।
সাধারণ জ্ঞান থাকলেই পরে বুঝা সম্ভব।


তাই কোন বাবলু ডাবলু কি বলল সেটা বড় কথা নয় ।
আপনি কুরআন খুলুন পড়ুন এবং বুঝুন।

২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যে বিষয়টি আল কোরআনে বলা নেই সেই বিষয়টি বা সেই কাজটি রাসুলঃ সাঃ করলেন বা নিজ হাতে পাথর মারলেন। রাসুল সাঃ অল কোরআরেন বাইরে কোন কাজ করেন নি তার জীবনদশায়। অথচ আপনি এই যে মিথ্যা গল্প বললেন আপনার তৈরী করা গল্প। এটি কি ঠিক?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: AMP
প্রচ্ছদ
ধর্ম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
Dhaka Post Desk
ধর্ম ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
প্রতীকী ছবি




ইসলামে যেনা ও ব্যভিচার একটি শাস্তিযোগ্য পাপ এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।

আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩২)। ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী উভয়কে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো।’ (সুরা : আন নূর : ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।

মহানবী (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।

হজরত ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে—এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।

আল্লামা জাজিরি (রা.) তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ব্যভিচার ও এর প্রভাবের ক্ষতি অগণিত। এতে চারিত্রিক, ধর্মীয়, শারীরিক, সামাজিক, পারিবারিক সর্বোপরি পাপ কাজে জড়িয়ে পাপিষ্ট হওয়ার ক্ষতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর দোয়া কবুল করেন না। তার থেকে ঈমানের নূর চলে যায়। যেখানে ব্যভিচার চলে, সেখানে রহমতের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যভিচার চুরি, হত্যা ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক। ব্যভিচারের ফলে এইডসের মতো কঠিন রোগ হয়।

২৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @নতুন, কোরানে যা নেই তা আমি কখনই সমর্থন করি না। ভাই আল কোরআনে একটি আয়াতে বলা আছে “তোমরা সত্যর সাথে মিথ্যাকে সংমিশ্রন করিও না”। অতএব আপনি হাদীসের নাম দিয়ে একটি ভূল তথ্য দিবেন যেটা আল কোরআনের সাথে মিলে না সেটা কখনই গ্রহন করা যাবে না। হয়তো যুগে যুগের ধর্ম ব্যবসায়ীদের দ্বরা প্রবেশকৃত ভূল তথ্য ধরে রাখতে পারবেন না। কারন আল কোরআন আবার আরেক আয়াতে বলচে-“মিথ্যা ক্ষনস্থায়ি”। অথাৎ এসকল মিথ্যা একদিন প্রকাশ হয়ে পড়েবে।

২৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @নতুন,পাথর মেরে হত্যা কান্ড আর রজম এক নয়। এটা মাথায় রাখবেন। ধর্মের বিরুদ্ধে এটা প্রোপাগান্ডা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: AMP
প্রচ্ছদ
ধর্ম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
Dhaka Post Desk
ধর্ম ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
প্রতীকী ছবি




ইসলামে যেনা ও ব্যভিচার একটি শাস্তিযোগ্য পাপ এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।

আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩২)। ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী উভয়কে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো।’ (সুরা : আন নূর : ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।

মহানবী (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।

হজরত ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে—এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।

আল্লামা জাজিরি (রা.) তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ব্যভিচার ও এর প্রভাবের ক্ষতি অগণিত। এতে চারিত্রিক, ধর্মীয়, শারীরিক, সামাজিক, পারিবারিক সর্বোপরি পাপ কাজে জড়িয়ে পাপিষ্ট হওয়ার ক্ষতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর দোয়া কবুল করেন না। তার থেকে ঈমানের নূর চলে যায়। যেখানে ব্যভিচার চলে, সেখানে রহমতের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যভিচার চুরি, হত্যা ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক। ব্যভিচারের ফলে এইডসের মতো কঠিন রোগ হয়।

২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সরি, আগের কমেন্টে ভূল বলেছি। পাথর মেরে হত্যাকান্ড এবং বেত্রাঘাত এক বিষয় নয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: AMP
প্রচ্ছদ
ধর্ম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
Dhaka Post Desk
ধর্ম ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
ব্যভিচার কতটা মারাত্মক? কোরআনে যা বলা হয়েছে
প্রতীকী ছবি




ইসলামে যেনা ও ব্যভিচার একটি শাস্তিযোগ্য পাপ এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।

আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩২)। ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী উভয়কে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো।’ (সুরা : আন নূর : ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।

মহানবী (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।

হজরত ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে—এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।

আল্লামা জাজিরি (রা.) তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ব্যভিচার ও এর প্রভাবের ক্ষতি অগণিত। এতে চারিত্রিক, ধর্মীয়, শারীরিক, সামাজিক, পারিবারিক সর্বোপরি পাপ কাজে জড়িয়ে পাপিষ্ট হওয়ার ক্ষতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারীর দোয়া কবুল করেন না। তার থেকে ঈমানের নূর চলে যায়। যেখানে ব্যভিচার চলে, সেখানে রহমতের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যভিচার চুরি, হত্যা ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক। ব্যভিচারের ফলে এইডসের মতো কঠিন রোগ হয়।

২৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১১

ধুলো মেঘ বলেছেন: ১২ নং কমেন্টে হাসান রাজু মোতাহ বিবাহের অনুমতি দিয়ে কি ইসলামকে গৌরাবান্বিত করলেন, নাকি সস্তা করে দিলেন? ইস্লামে মোতাহ বিবাহ বলে বিধান নেই। এটা সুযোগ সন্ধানীরা নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার জন্য বানিয়েছে।

লেখক, আমি সব কয়টা কমেন্ট পড়লাম। হাদীসটি বিশুদ্ধ নাকি জাল - সেই তর্কে যাবোনা। কিন্তু হাদীসটি একেবারেই অযৌক্তিক। কারণগুলো হলঃ
- যদি অনুতপ্ত একজন অপরাধীকে নির্মম মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যাই করতে হয়, তাহলে তওবার বিধান আছে কি জন্য?
- ব্যাভিচার নিশ্চয়ই ঐ মহিলা একা করেনি। একই অপরাধে আরো একজন নিশ্চয়ই অপরাধী? তার কি শাস্তি হয়েছিল? সেটা আমাদের জানার অধিকার আছে না?
- রজম কি ঐ একজনের উপরই কার্যকর করা হয়েছিল? আর কোন রজম কার্যকরের হাদীস কি আপনার জানা আছে?
- ইসলামে কি শাস্তি কেবল চাইলেই কার্যকর করা যাবে? অপরাধী যদি শাস্তি না চায়, তাহলে তা দেয়া যাবেনা?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পবিত্র কুরআন মসজিদে বলা আছে মোতা বিবাহের কথা ।
আর আপনি বলেছেন মোতি বিবাহ নাই ।
আপনি দেখি বিরাট পন্ডিত ব্যক্তি হয়ে গেছেন।
আফসোস।

২৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাইরে বারে বার একই কথা বলে লাভ নেই। আমি আপনাকে বলথত চাইছি আল কো্রআনে কি কোথাও কি বলা আছে পাথর মেরে হত্যাকান্ডের কথা? বলা নেই। বেত্রাঘাত করা আর পাথর মেরে হত্যাকান্ড এক কথা নই। আরে ভাই আমাদের পুলিশও তো বেত্রাঘাত করে। আসলে এটি জাহেলিয়াতের যুগের আিইন রাসুলের পূর্বে এই আইন মধ্যপ্রাচ্যে কার্যকর হতো। এটি ইসলামের আেইন নয়। কিন্তু এতবড় একটি হত্যাকান্ডকে একটি হাদীসের মাধ্যমে জায়েজ করলেন কিভাবে? যা আল কোরআনে নেই। আসুন আমরা এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি আসলে অযথাই ক্যাচাল করতে পছন্দ করেন ।
এটা ভালো। কিছু মানুষ কেচাল লাগাবে ।
ক্যাচাল কে পছন্দ করবে ।
এটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।

পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট ভাবে বলা আছে, বিবাহিত ব্যক্তিরা যেনা করলে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।
আর অবিবাহিত মানুষ যেনা করলে তাদেরকে বেত্রাঘাত করতে হবে।
এই সাধারণ বিষয়টি আপনার বুঝে আসে না।
আফসোস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.