নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন হবে বেহেশতের খানাপিনা *******************

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫


আমরা যারা মমিন মুসলমান তারা স্বপ্নে সব সময় জান্নাত লালন করি। চির সুখের জান্নাতে যেতে কার না মন চায়।
জান্নাতে সুখ শান্তি আর আরাম আয়েশের কোন শেষ নাই। সেখানে অসাধারণ সব খাবারের সমাহার থাকবে যা দুনিয়ার কোন মানুষ কোন দিন কল্পনাও করতে পারবে না।

হজরত যাবির (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘অবশ্যই জান্নাতবাসীরা জান্নাতে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের থুথু ফেলার, পেশাব-পায়খানা করার, কিংবা নাক ঝাড়ার প্রয়োজন হবে না।

সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, তাদের ভক্ষ্যবস্তুর (পেটে) কী দশা হবে?

রাসূল (সা) বললেন, ঢেঁকুর ও পরিছন্নতার মাধ্যমে বের হবে। কিন্তু মেশকের সুগন্ধ বের হবে। আর জান্নাতবাসীদের অন্তরে আল্লাহর তাসবিহ ও তাহমিদ এমনভাবে বেঁধে দেয়া হবে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস (অর্থাৎ জান্নাতবাসীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে থাকবে)।’ (সহীহ মুসলিম)
জান্নাতিদের খাবারগুলো ঢেঁকুর এবং মিশক্ ঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। (বুখারি ও মুসলিম)
জান্নাতিরা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। কোনো হতাশা ও দুশ্চিন্তা থাকবে না। তাদের পোশাক পুরনো হবে না। (মুসলিম)
জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবেন। তাঁরা বৃদ্ধ হবেন না এবং তাঁরা হবেন চিরযৌবনা। (মুসলিম)

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এরশাদ করেন, ‘জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য ফলমূল ও কাঙ্ক্ষিত সব কিছু থাকবে।’ (সুরা:ইয়াসিন) । তিনি আরো এরশাদ করেন, ‘তারা জান্নাতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে—তথা তারা প্রচুর ফলমূল ও পানীয় বস্তু আনতে বলবে।’ (সুরা : সাআদ) আরো এরশাদ করেন, ‘জান্নাতে আছে দুধের নদী, যার স্বাদ অপরিবর্তনীয় ও পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নদী এবং পরিশোধিত মধুর নদী ও তথায় থাকবে বিভিন্ন ফলমূল ও তাদের প্রতিপালকের ক্ষমা।’ (সুরা : মুহাম্মদ)।

একবার এক ইহুদি পাদ্রী রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) ঠিক প্রশ্নই করেছিলেন জান্নাতে কি ধরনের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে? জান্নাতিরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম তাদেরকে কী খাবার পরিবেশন করা হবে?

উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- ‘জান্নাতিদের মাছের কলিজার পাশের যে মাংস থাকে তা দিয়েই পরিবেশন করা হবে।’
এর পর ইহুদি আবারও জিজ্ঞেস করল, ‘এর পর কী পরিবেশন করা হবে?’

রাসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এরপর জান্নাতিদের জন্য জান্নাতে পালিত গরুর গোশত পরিবেশন করা হবে।’
এরপর ইহুদী জিজ্ঞেস করল, ‘খাওয়ার পর পানীয় হিসেবে কী কী পরিবেশন করা হবে?’

রাসূলুল্লাহ এবার বললেন, ‘সালসাবীল নামক ঝর্ণার পানি পরিবেশন করা হবে জান্নাতিদের।’ (সহীহ মুসলিম- কিতাবুল হায়েজ) ।
জান্নাতের সর্বপ্রথম আতিথ্য হবে তিমি মাছ ও বলদের কলিজার অতিরিক্ত অংশ দ্বারা। পৃথিবীর মাটি হবে রুটিরূপ খাদ্য। (বুখারী ৩৩২৯, মুসলিম ৩১৫নং)
বেহেস্তের খাবার পর্যাপ্ত পছন্দমত ফল-মূল, ইঙ্গিত পাখির মাংস। মহান আল্লাহ বলেছেন, তাদের পছন্দ মত ফলমূল। আর তাদের পছন্দমত পাখীর মাংস নিয়ে। (ওয়াক্বিআহঃ ২০-২১)
আমি তাদেরকে ঢের দেব ফল-মূল এবং মাংস, যা তারা পছন্দ করে। (তুরঃ ২২)।
বরং যে খাবার খেতে মনে বাসনা হবে, সেই খাবারই জান্নাতীরা জান্নাতে খেতে পাবে। মহান আল্লাহ বলেন, সেখানে রয়েছে এমন সমস্ত কিছু, যা মন চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে। (যুখরুফঃ ৭১)
দুনিয়াতে কষ্ট বরণ করে যে আমল তারা করত, তারই অসীলায় পাবে ইচ্ছামত পান-ভোজনের ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমরা যা করতে তার প্রতিফল স্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সাথে পানাহার করতে থাক। (তুরঃ ১৯)
সেখানে প্রত্যেক ফল দু’-প্রকার থাকবে। মহান আল্লাহ বলেন,উভয় (বাগানে) রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই প্রকার। (রাহমানঃ ৫২)
রকমারি ফলের বৃক্ষে ফল ঝুলে থাকবে। যা সম্পূর্ণরূপে জান্নাতীদের আয়ত্তাধীন করা হবে। জান্নাতীগণ বসে বা শয়ন করেও ফল তুলে খেতে পারবে।



মহান আল্লাহ বলেন, সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায়, দুই বাগানের ফল হবে তাদের নিকটবর্তী। (রাহমানঃ ৫৪)
যার ফলরাশি ঝুলে থাকবে নাগালের মধ্যে। (হা-ক্বাহঃ ২৩)।
সন্নিহিত বৃক্ষছায়া তাদের উপর থাকবে এবং ওর ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাদের আয়ত্তাধীন করা হবে। (দাহরঃ ১৪)
জান্নাতে আছে খেজুর, বেদানা ও আরো অজানা কত রকমের ফল।

মহান আল্লাহ বলেন, সেখানে রয়েছে ফলমূল খেজুর ও ডালিম। (রাহমানঃ ৬৮)
সেখানে থাকবে কুল (বরই), কাদি কাদি কলা। মহান আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ, আর ডান হাত-ওয়ালারা, কত ভাগ্যবান ডান হাত-ওয়ালারা! (যাদেরকে ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে। তারা থাকবে এক বাগানে) সেখানে আছে কাটাহীন কুলগাছ। কাঁদি ভরা কলাগাছ। (ওয়াক্আিহঃ ২৭-২৯)
জান্নাতীরা থাকবে বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে।


(আল্লাহ বলবেন,) ‘তোমরা তোমাদের কর্মের পুরস্কার স্বরূপ তৃপ্তির সাথে পানাহার কর। এভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।' (মুরসালাতঃ ৪২-৪৪)

জান্নাতে আছে পানির সমুদ্র ও নদী, শারাবের সমুদ্র ও নদী, মধুর সমুদ্র ও নদী, দুধের সমুদ্র ও নদী। তাছাড়া ঝরনাও রয়েছে সেখানে। সেখান হতে জান্নাতীরা ইচ্ছামত পান করতে পারবে। খাদেমদের মাধ্যমেও পান করানো হবে। এক ঝরনা থেকে কপূর-মিশ্রিত পানি পান করবে। (দাহরঃ ৫-৬) সালসাবীল ঝরনা থেকে আদা-মিশ্রিত পানি পান করবে। (ঐঃ ১৭-১৮) তাসনীম ঝরনা থেকেও পান করবে বেহেশ্তী পানি। (মুত্বাফফিফীন ২৭-২৮)

জান্নাতীরা জান্নাতে পবিত্র শারাব পান করবে। মহান আল্লাহ বলেন, তাদের দেহে হবে মিহি সবুজ এবং মোটা রেশমী কাপড়, তারা অলঙ্কৃত হবে রৌপ্য-নির্মিত কঙ্কনে, আর তাদের প্রতিপালক তাদেরকে পান করাবেন বিশুদ্ধ পানীয়। (দাহরঃ ২১)

বেহেশতের সে শারাব কিন্তু কোনভাবেই দুনিয়ার মদের মত নয়। দুনিয়ার মদে নেশা হয়, মাথা ঘোড়ে, পেটে ব্যথা হয়, বমি হয়, রোগ সৃষ্টি হয়। তাতে মানুষ জ্ঞানশূন্য হয়, ভুল বকে, মাতলামি করে। কিন্তু জান্নাতের শারাব এ সবকিছু থেকে পবিত্র।

মহান আল্লাহ বলেন, তাদেরকে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে প্রবাহিত শারাবের পানপাত্র, যা হবে শুভ্র উজ্জ্বল, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। ওতে ক্ষতিকর কিছুই থাকবে না এবং এতে তারা নেশাগ্রস্তও হবে না। (স্বা-ফফাতঃ ৪৫-৪৭)

সুতরাং জান্নাতের শারাব হবে সাদা, সুস্বাদু। যা পান করে মন আমেজের সাথে পরিতৃপ্ত হবে। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নদীমালা আছে। (মুহাম্মাদঃ ১৫)

সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, তাতে নেশা হবে না, মাথা-ব্যথাও হবে না। মহান আল্লাহ বলেন, তাদের সেবায় ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা---পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে। সেই সুরা পানে তাদের মাথাব্যথা হবে না, তারা জ্ঞান-হারাও হবে না। (ওয়াক্বিআহঃ ১৭-১৯)।

তা পান করে কেউ আবোল-তাবোল বকবে না, কোন অস্বাভাবিক আচরণও করবে না। মহান আল্লাহ বলেন, সেখানে তারা একে অপরের নিকট হতে গ্রহণ করবে (মদ ভরা) পান-পাত্র, যা হতে পান করলে কেউ অসার কথা বলবে না এবং পাপ কর্মে লিপ্ত হবে না। (তুরঃ ২৩)

সে এক অন্য শ্রেণীর বিশুদ্ধ মদিরা। যাতে থাকবে কস্তুরীর মিশ্রণ। যা থাকবে সীল করা, মোহর আঁটা। মহান আল্লাহ বলেন, তাদেরকে মোহর আঁটা বিশুদ্ধ মদিরা হতে পান করানো হবে। এর মোহর হচ্ছে কস্তুরীর। আর তা লাভের জন্যই প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। (মুত্বাফফিফীনঃ ২৫-২৬)।

জান্নাতীরা ইচ্ছামত খাবে ও পান করবে; কিন্তু মলমূত্র হবে না। সব কিছু হজমে গন্ধহীন হাওয়া হয়ে ঢেকুরের সাথে অথবা কস্তুরীর মত সুগন্ধময় ঘাম হয়ে নির্গত হয়ে যাবে। (মুসলিম ২৮৩৫নং)

প্রশ্ন হতে পারে, জান্নাতীরা যদি চিরসুখী, চিরবিলাসী, জান্নাতে যদি ক্ষুধা নেই, পিপাসা নেই, প্রস্রাব নেই, পায়খানা নেই, তাহলে জান্নাতীরা পানাহার করবে কেন? মহান আল্লাহ তো বলেছেন, তোমার জন্য এটাই থাকল যে, তুমি জান্নাতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং নগ্নও হবে না। সেখানে পিপাসার্ত হবে না এবং রোদ্র-ক্লিষ্টও হবে না। (ত্বাহাঃ ১১৮-১১৯)

আসলে পানাহার ক্ষুধা অনুভব করার পর নয়, ক্ষুধা নিবারণের জন্যও নয়। বরং তা অতিরিক্ত সুখ ও তৃপ্তি দান করার জন্য।

সোবাহান আল্লাহ! কতই না মুখরোচক সেই সব আহারাদি। জান্নাতী মমিন মুসলমানরই খুবই প্রীত হইবে।

অতএব (হে জ্বিন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?”

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমিন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মহান আল্লাহ সুবাহানাতালা আমাদের সকলের মনোবাসনা পূর্ণ করুন।
আমিন।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬

নতুন বলেছেন: বেহেস্তে গরম ভাতের উপরে ঘী দিয়ে... আলু ভাজি, ডিম ভাজি অথবা আলু ভর্তা সাথে শুকনা মরিচ নাই? :((

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আল্লাহর বান্দা-বান্দীরা বেহেশতে যা চাইবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাই দিবেন ।
এমনকি পৃথিবীতে যেটা হারাম নয় বেহেস্তে সেগুলোও হালাল আকারেই পরিবেশিত হবে ।
সুতরাং আপনার এই খাবারের লিস্ট খানও আপনি যদি মনে রাখতে পারেন অবশ্যই পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেহেশতের খানাপিনা নিয়া পড়লেন কেন? বড়ই আচানক ব্যাপার!!! B:-)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মফিজ ভাই,
আমি একজন দরিদ্র মানুষ ।
তার উপরে ভয়াবহ রকম অসুস্থ হয়ে পড়েছি ।
সবাই আমাকে বলে ভালো ভালো খানা পিনা করতে ।

এই ব্লগেও কয়েকজন আমাকে নিয়মিত ভালো ভালো খাবার দাবার খেতে বলেছেন।
তাদের নাম নাই বললাম ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই সমস্ত ভালো ভালো উপাদেয় খাবার-দাবার খাওয়ার মত সামর্থ্য আমার নাই ।
আর যে রকম ভাবগতিক দেখছি তাতে খুব দ্রুতই বেহেস্তে চলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে ।
তাই এই সমস্ত খাবার-দাবার নিয়ে আলাপ -আলোচনা করছি সবার সাথে । যাতে করে যাওয়ার সময় খাবারগুলো নিয়ে যথেষ্ট ধারণা নিয়ে যেতে পারি।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাই বেহেসতে হুর দের যে বর্ননা মোল্লারা মংড়া ভাবে ভুলভাল তাফসির করেছে - তাতে বলা হয়েছে ওদের বডির ভেতরে রগ নাডিভুড়ি, হাড্ডী, মাংস সব দেখা যাবে। বাস্তবে কল্পনা করেন তো একটি মেয়ের হাড্ডি মাংস হৃদপিণ্ড সব দেখা গেলে তার প্রতি কোন আকর্ষণ কাজ করবে?

এই সব ভুলভাল গাপগল্প যে সব মোল্লারা ভুলভাল তাফসির করে তাদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম চলে মহাপবিত্র গ্রন্থ কোরআন এর উপর ভিত্তি করে ।
একই সাথে হাদিস শরীফ ও অনুসরণ করা হয় ।
পবিত্র কোরআন মজিদে হুর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আছে।

আমার একটি পোস্টে সেটা আপনি শর্টকাটে পেয়ে যাবেন ।
আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, (অবশ্য আপনার ভাষায় আপনি মডারেট মুসলিম) তাহলে আপনাকে কোরআন হাদিস অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে ।
আপনি যদি কোরআন হাদিস পার্সোনালাইজড কিংবা কাস্টমাইজড করে বিশ্বাস করেন সেটা আপনার নিজের ব্যাপার।
সেই ক্ষেত্রে আপনি পরিপূর্ণ মুসলিম হিসেবে গণ্য হবেন না।

অতএব নিয়মিত মনোযোগ সহকারে কোরআন পড়ুন, বুঝুন এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করুন ।
হাদিস শরীফের ক্ষেত্রে ও একই কথা।

নিয়মিত হাদিস পড়ুন, বুঝুন এবং বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন।
মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার অশেষ কল্যাণ করুন।
আমীন, সুম্মা আমীন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আফসোস!! বড়ই আচানক!!

আমিন!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কতই না মহান আল্লাহর দেয়া রিজিক।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: মরুর রাখালের কল্পনায় যতটুকু এসেছে তাই বলেছে।বিদ্ধা বুদ্ধি না থাকলে যা হয়।যুক্তি প্রমানের ধারে কাছেও যায় নাই।খালি বলতো শুন আর মানো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বেহেশতের এই সব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের মুরুব্বী ও গুরু জনেরা খুবই উৎসাহী ।
এদের প্রতি দিনকার মোট সময়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই এরা এই সমস্ত খাবার দাবার আর হুর গেলমানদের চিন্তা ভাবনায় ব্যয় করে থাকেন।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:




আজের আরবেরা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেকুব, অনেকে পেছনে; উদাহরণ: ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া; আগের আরবেরা কি রকম বেকুব ছিলো?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান ইউনাইটেড আরব এমিরেটস
এই সমস্ত দেশের শেখরা যে পরিমাণ টাকা খরচ করে এবং যে পরিমাণ বিলাসী জীবন যাপন করে তা ভারত বর্ষের মুসলমানদের কাছে কল্পনারও অতীত।

ভারতবর্ষের মুসলমানদেরকে তারা এতিম বা দুই নম্বর মুসলমান হিসেবে চিহ্নিত করে বলে শুনেছি।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি ব্লগিং খুব বেশী সিরিয়াসলী করি না, বেশীরভাগ সময়েই মজা করি। তাই আপনি আমার মন্তব্যের উত্তরে মজা করলেন কিনা, বুঝলাম না। যদি সিরিয়াসলী করে থাকেন, তাহলে এটা ব্লগের মডারেটর মহোদয়কে জানান। এই ধরনের বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হওয়াটা কাম্য। আর যদি আপনি মডারেটরকে জানাতে সংকোচ করেন, তাহলে আমাকেও ইমেইল করতে পারেন[email protected] এই এড্রেসে। আমিই না হয় আপনার হয়ে যোগাযোগ করবো। বিপদ-আপদ যে কারোরই হতে পারে। আমরা ব্লগাররা যদি একে অন্যের কাজে না আসি, তাহলে তো হবে না।

আর মজা করে থাকলে আমার এই মন্তব্যকে ইগনোর করবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার রসবোধ চমৎকার ।
এখানে মাইন্ড করার আসলে তেমন কিছু নাই।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জান্নাতে খেতে হবে কেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই বিষয়ে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ও তাঁর রাসূল (সাঃ )সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন ।
তবে পৃথিবীতে মানুষ যেটা সহজে এই সাধ মেটাতে পারেনি সেই সাধটা জান্নাতে মেটানো হবে এরকম একটা ব্যাপার হতে পারে ।দুনিয়াতে যে খাবার-দাবার মানুষ খেতে পায়নি জান্নাতে গিয়ে সেটা প্রাণভরে খাবে ।
এমন কিছু হতে পারে ।
এ বিষয়ে আসলে আমি জানি না।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই বিষয়ে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ও তাঁর রাসূল (সাঃ )সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন ।
তবে পৃথিবীতে মানুষ যেটা সহজে এই সাধ মেটাতে পারেনি সেই সাধটা জান্নাতে মেটানো হবে এরকম একটা ব্যাপার হতে পারে ।দুনিয়াতে যে খাবার-দাবার মানুষ খেতে পায়নি জান্নাতে গিয়ে সেটা প্রাণভরে খাবে । এমন কিছু হতে পারে । এ বিষয়ে আসলে আমি জানি না।


যে বিষয়ে আপনি নিজেই অজ্ঞ সেই বিষয়ে বিশাল একখান কাহিনী লিখে ফেললেন । এটা কি পাঠকের সাথে দুর্নিতী করা হলো না ?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

না। দুনীতি হয়নি। ব্লগ কোন টেকস্ট বুক নয়। এখানে আলোচনা হবে। তথ্য আদান প্রদান হবে। অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে।

আশা করি আপনি সামান্য হলেও বুঝতে পারছেন।
না পারলে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করুন।
আল কুরআন পড়ুন। হাদিস পড়ুন।
আপ্রাণ চেষ্টা করুন বুঝার।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

আঁধার রাত বলেছেন: বেহেস্তের ফিচার মোটেও আকর্ষণীয় কিছু না। গরু একটি বেহেস্তের কল্পনা করলে তাতে প্রচুর সবুজ ঘাস থাকতো। প্রাচীন কালে অসভ্য কামুক পুরুষ মরুবাসী কল্পনায় যা যা পেতে চাইতো বেহেস্তে কেবল তাই তাই আছে।

আমি ভাবি- দুধের নদী, মধুর নদীতে সাঁতার কেটে, মদ খেয়ে ৭২টা হুরের সাথে কামকেলী করে কেমনে অনন্ত অফুরান কাল কাটানো সম্ভব!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রতিটি মমিন-মুসলমানই চায় জান্নাত।
এটা আল্লাহর একটা নিয়ামত।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

আঁধার রাত বলেছেন: বেহেস্তের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ সাহাবীর আমলনামায় একটু নজর বোলালেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা কেউ বেহেস্তী মেওয়া ভোগ করতে মরা পর্যন্ত অপেক্ষা করে নাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

রোজ হাশরের বিচার শেষ না হওয়ার আগে কারওই বেহেস্তে যাবার সম্ভাবনা নেই।
তাই প্রথমে মরতে হবে।
এর পর কেয়ামতের জন্য অপেক্ষা।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি রাজীব নুরের মত রিভার্স গেম খেলছেন। বেশীরভাগ ব্লগার হয়তো ধরতে পারছে না। আপনি অনেক আগেই বিভিন্ন মন্তব্যে প্রমাণ দিয়েছেন আপনি ধর্মবিমূখ বা অবিশ্বাসী...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এখানে গেম খেলার আপনি কী দেখেছেন?
দয়া করে ব্যাখ্যা করুন।

বিচার মানি তালগাছ আমার - এটা কোন নীতি হতে পারে না। বিচার মানলে বিচারের রায় মেনে চলতে হবে।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: না। দুনীতি হয়নি। ব্লগ কোন টেকস্ট বুক নয়। এখানে আলোচনা হবে। তথ্য আদান প্রদান হবে। অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে। আশা করি আপনি সামান্য হলেও বুঝতে পারছেন।
না পারলে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করুন।
আল কুরআন পড়ুন। হাদিস পড়ুন।
আপ্রাণ চেষ্টা করুন বুঝার।


যেহেতু বোঝানোর দায়ীত্ব আপনি নিয়েছেন এবং অকৃতকার্য হয়েছেন , পড়াশুনা টা আপনি করেন । আমরা আপনার কাছ থেকে শিক্ষা নেব ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মিস্টার রানা,

বুঝানোর দায়িত্ব নেয়ার আমার ঠ্যাকা পড়েনি। আপনার যদি সত্যি সত্যি বুঝার কোন সদিচ্ছা থেকে থাকে পড়াশোনা করুন। দয়া করে মনে রাখবেন ব্লগ কোন স্কুল নয়। এখানে আপনি টাকা দিয়ে ভর্তিও হননি। আপনার যদি শেখার ইচ্ছা থাকে মাদ্রাসায় ভর্তি হোন। শিখতে পারবেন। আমি আপনার ওস্তাদ নই। মাদ্রায় আপনি অনেক ওস্তাদ পাবেন। তারা আপনার পিঠের চামড়ার গভীরতাও পরীক্ষা করে দেখবে। আপনি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হোন। এই দোয়া করি।

মনে রাখবেন, শেখার কোন বয়স নেই। তবে আমার মনে হয় আপনার শেখার কোন ইচ্ছে নেই।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: মনে রাখবেন, শেখার কোন বয়স নেই। তবে আমার মনে হয় আপনার শেখার কোন ইচ্ছে নেই।


ভেবেছিলাম আপনি উৎসাহিত করবেন । তার লক্ষন পাচ্ছি না ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পুরো জগতটাই একটি শিক্ষা কেন্দ্র- বিশাল মাপের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ।
এখানে প্রতিটি মানুষই শিক্ষার্থী ।
তাই কেউ যদি চায় সে জ্ঞান আহরণ করে বিশাল জ্ঞানী হতে পারে।
আবার কেউ যদি চায় এখানে খারাপ জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নেশাখোর, ডাইলখোর এমনকি ইয়াবাখোর পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নেয়ামত অশ্বীকার করার কোন উপায় নেই। যার যার বিশ্বাস তার তার নিকট।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অবশ্যই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই ।
পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা আর রাহমানে এ কথাটি বারবার বলে দেওয়া হয়েছে।

অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করিবে?

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ্লোভ জিনিসটা খারাপ।
বেহেশতের লোভ দেখিয়ে এবং জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে- কোনো লাভ নেই। মানুষ সমানে মন্দ কাজ করছেই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এখানে লোভের কোন ব্যাপার স্যাপার নেই ।
সত্যিকারের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে মাত্র।
যা থেকে জ্ঞানী লোকেরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

জ্ঞানী লোকেরা তাদের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সঠিকটাই বেছে নেবে ।
আর যাদের জ্ঞানের অভাব তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হবে এবং তারা বেঠিকটাই বেছে নেবে।
এটাই বাস্তবতা।

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: যে জিনিস আপনি জানেন না তা নিয়া লম্বা চওড়া বক্তিতা দিতে আপনার লজ্জা করে না?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


হ্যাঁ করে তো।
অনেক লজ্জা করে।
তারপরও জানার জন্য প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করি ।
আমাকে জানতে হবে ।
লজ্জা পেলেও জানতে হবে।

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট।
হে আল্লাহ আমাদের পরিপূর্ণ ঈমান ও হেদায়েত দান করুন । আখেরাতে জান্নাতের নেয়ামত আর দৌলত দিয়ে সৌভাগ্যবান করুন। আমিন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমিন।
সুম্মা আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.