নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
দূতাবাস ও হাইকমিশন কি জিনিস
****************************
বর্তমান প্রতিযোগিতা পূর্ণ আধুনিক বিশ্বে কোন দেশই একা চলতে পারে না।
দেশ গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই। এক দেশের সাথে আরেক দেশের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এক দেশ আরেক দেশে তাদের দফতর স্থাপন করে এবং প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এই অফিসগুলোই মূলত দূতাবাস।
দূতাবাসগুলো ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে পরিচালিত হয়। ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে স্বাক্ষরিত হয়। কূটনীতিকদের আচরণ বিষয়ে যে চুক্তিটি ১৯৬১ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে সই করা হয়েছিল সেটি ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপলোম্যাটিক রিলেশন হিসেবে পরিচিত।
এই কনভেনশনে মোট ৫৩টি আর্টিকেল বা ধারা রয়েছে।
সাবেক বৃটিশ কলোনীভুক্ত দেশসমুহ একে অপর দেশে যে দূতাবাস স্থাপন করে তাকে বলে হাইকমিশন। সহজে বললে বলা যায়, যারা এক সময় বৃটিশ সরকার কর্তৃক শাসিত ও শোষিত হয়েছে তারা বর্তমানে কমনওয়েথ নামে একটি সংগঠনের সদস্য। তাদের দূতাবাসগুলোই হাইকমিশন নামে পরিচিত।
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের র্যাঙ্ক সমূহঃ
১। রাষ্ট্রদূত (Ambassador)/ হাইকমিশনারঃ তিনি রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক বিশেষ ভাবে মনোনীত/নিয়োগপ্রাপ্ত হন। স্বাগতিক/হোস্ট দেশে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায় মর্যদা লাভ করেন। তিনি গাড়ীতে নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল করেন। তাঁকে সাধারনত – মান্যবর বা His Excellency বলে সম্বোধন করা হয়।
২। মিনিস্টার বা Minister: উপরাষ্ট্রদূত যিনি থাকেন তাকে দূতাবাসের ভাষায় মিনিস্টার বলা হয়। কিন্তু তিনি কোন মন্ত্রী নন।
৩। কাউন্সেল (Counsellor) : দূতাবাসে মিনিস্টারের নিচের পদটিকে কাউন্সেলর বলে।
৪। প্রথম সচিব( First Secretary):
৫। দ্বিতীয় সচিব (Second Secretary):
৬। তৃতীয় সচিব (Third Secretary):
৭।এ্যাটাশে ( Attaché):
৮। এসিস্ট্যান্ট এ্যাটাশে ( Assistant Attaché):
মোটামুটি একটি দূতাবাস/ হাইকমিশনের উপরের পদগুলোকে কূটনৈতিক পদ বলা হয়। এর বাইরে স্থানীয় ভাবে হোস্ট দেশ থেকে বাকি কর্মচারীদেকে নিয়োগ করে দূতাবাস পরিচালিত হয়।
Embassy বা দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত যখন অনুপস্থিত থাকেন তখন যে সিনিয়র কূটনীতিক দূতাবাস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তাকে কূটনৈতিক ভাষায় Chargé d'affaires চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলা হয়। হাইকমিশনে এটাকে বলা হয় Acting High Commissioner.
একটি দূতাবাসের পুরো টিমকে কূটনৈতিক ভাষায় মিশন বলা হয়। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে মিশন প্রধান বা Head of the Mission বলা হয়।
লক্ষ্যনীয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র বৃটিশ শাসনের অধীনে থাকলেও সে কমনওয়েলথ এর সদস্য নয়। তাই তার রাষ্ট্রদূতকে হাইকমিশনার বলা হয় না।
( বদের বদ বৃটিশরা তাদের শাসন ধরে রাখার জন্য কমনওয়েলথ তো বানিয়েছেই। তারপর তারা নাম দিয়েছে হাইকমিশন। যেন মনে পড়ে আমরা এক সময় বৃটিশ শাসনে ছিলাম। আফসোস।)
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জানা দরকার।