নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
শ্রীলংকার একটি ব্যাপার আমার খুবই ভাল লাগছে।
প্রতিটি দিনের কর্ম দিবসের সূচনায় বিষয়টি আমি লক্ষ্য করি আর আফসোস করি। ইস্, এই ব্যাপারটি কেন আমার নিজের দেশ বাংলাদেশে হয় না?
প্রথম যখন কলম্বোতে আসি তখন থাকতাম চিফ মিনিস্টারের অফিসের ঠিক পাশেই। সকালে সাড়ে আটটা বাজা মাত্রই শুনতাম এক মধুর সুর ভেসে আসছে কানে। প্রথম প্রথম বুঝতে পারতাম না। পরে নিজের চোখে দেখে বুঝলাম আসল ব্যাপার।
শ্রীলংকার প্রতিটি সরকারী অফিস এর কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে আটটায়। কাজ শুরুর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্ব। অফিসের সকলের উপস্থিতিতে প্রথাগত বাদ্য বাজিয়ে আর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় অফিসের সবাই বিনম্রভাবে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে। এ সময় কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কোন কারণে যদি বিলম্ব হয় - অফিস গেটের কাছে এসে যদি দেখে যে পতাকা উড়ানো হচ্ছে- তারা সেখানেই দাঁড়িয়ে যায়। পতাকা উত্তোলনের পর নীরবে কাজে যোগদান করে। অনেক পথচারীকেও দেখেছি দাঁড়িয়ে যেতে।
এক বার কলম্বো বিমান বন্দরে গিয়েছি সকালে। সকাল সাড়ে আটটা বাজতেই শুনি সাউন্ড সিস্টেমে বেজে উঠল জাতীয় সঙ্গীতের সুর। দাঁড়িয়ে গেল সবাই। দেখে কি যে ভাল লাগল। এই না দেশাত্ববোধ।
প্রতি দিন শুনতে শুনতে আমার কাছে শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত এখন আমার কাছে খুব মধুময় লাগে।
এখন যে কারণে আফসোস তা হল- ব্যাপারটি কেন আমার নিজের দেশ বাংলাদেশে হয় না? কোন দেশই এতো বেশী রক্তের বিনিমযে স্বাধীন হয়নি। আমাদের দেশের অফিসগুলোতে কে পতাকা উত্তোলন করে আর কে তা নামায় তার কোন ঠিক নেই। জাতীয় সঙ্গীতের পাগল করা সুর কখনোই শোনা যায় না।
আফসোস!
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কত শত সরকারী অফিস। সকাল নয়টায় আমাদের দেশে কি উড়ানো যেতে পারে না লাল সবুজের পতাকা? জাতীয় সঙ্গীতের সুমধুর সুর কি আমাদেরকে আলোড়িত করতে পারে না?
কলম্বোতে প্রতি দিন যখনই সকালে পতাকা উড়াতে দেখি আর জাতীয় সঙ্গীতের সুর শুনি তখনই আমার মনে এ প্রশ্ন জাগে। বাংলাদেশে কি এটা হতে পারে না????
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
এম ডি মুসা বলেছেন: গাজী সাহেব মন্তব্য সাথে একমত তাই যারা রক্ত ঝরাইনি তাদের তারা দেশের মূল্য বুঝবে কতটুকু? যদি বুঝতে দেশে অনেক আগেই শান্তি এবং দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেতো
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গাজী স্যার সঠিক বলেছেন।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালেই বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকার গঠন করা দরকার ছিল।
মোনায়েম এর আমলাতন্ত্র দিয়ে মুজিবের সরকার কেন চলবে! ?
এক দিন আগেই যারা বলেছিল, “পাকিস্তান জিন্দাবাদ!” ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে তারা একই অফিসে একই চেয়ারে বসে যদি “ জয়বাংলা” বলে তবে সেখানে বিরাট ঝামেলা আছে বলতেই হবে।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রতিদিন দুবার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তখন সবাই থেমে যায়। যে যেখানে আছে সেখানেই থমকে দাঁড়ায়। আমি রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুলে পড়েছি। বিষয়টা নিজের চোখে দেখেছি। আমিও জাতীয় সংগীতের সুর শুনে দাঁড়িয়ে যেতাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ,বিডিআর, আনসার, রেব
এই জাতীয় বাহিনীগুলিতে কিছু কাজ আছে তা খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ ।
অর্থাৎ তারা এটা করতে বাধ্য।
আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে বেসামরিক পর্যায়ের ব্যাপার।
বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখের কাছাকাছি সরকারি কর্মচারী রয়েছেন ।
রয়েছে হাজার হাজার স্কুল কলেজ ।
আমার ভাবনাটা মূলত তাদেরকে নিয়েই।
বাহিনীগুলির কথাকে আলাদা রাখতে চেয়েছি ।
আমি সব সময় সাধারণ মানুষের কথাই বলতে চাই।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: গাজী সাহেবের কথাটা আমারও ভালো লাগলো, যাদের রক্ত দিতে হয়নি, যাদের কোন কিছু ত্যাগ করতে হয়নি তারা কি করে বুঝবে জাতীয় পতাকার মর্যাদা, জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা, তথা দেশের স্বাধীনতার মর্যাদা? আমাদের দেশেও এরকম বাধ্যতা থাকা উচিৎ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মিস্টার গাজী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ।
তাঁর কথা অবশ্যই এক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমার নিজের কাছেও তাই মনে হয়েছে।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সিম্পল উত্তর। আমাদের অত দায় নাই তাই। সঠিক দ্বায়িত্ব নিয়ে অফিস পরিচালনা করে হাতে গুণে হাজারে একজন কী দুইজন...
আমাদের কোর্ট বিল্ডিংকেই দেখেন, সেম অবস্থা। অথচ শুরুটা যদি ওখান থেকে হতো, তাহলে ঠিকই সবাই শ্রীলঙ্কার মত পালন করতো বলে আমার ধারণা। কিন্তু কারও কোন দায় নাই। সবাই থাকে, ঘুম থেকে উঠে, কার মাথা ভেঙ্গে টাকা হাতানো যায়...
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
পক্ষান্তরে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন শান্তিনিকেতনে পড়ুয়া রবীন্দ্রনাথের এক ছাত্র - এগোদাহেজ জর্জ উইলফ্রেড আলউইস সামারাকুন যিনি আনন্দ সামারাকুন নামে পরিচিত ছিলেন একজন শ্রীলঙ্কার সুরকার এবং সঙ্গীতজ্ঞ। ।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জাতীয় সংগীত শুধু মানুষ স্পোর্টস ইভেন্টে খেলোয়াড়ের গাইতে দেখলে, কিছুটা অনুভব করে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি যদি প্রবাসী শ্রমিক কিংবা রেমিট্যান্স ফাইটার হন তাহলে বিদেশে অবস্থানকালীন। সময়ে যদি সুযোগ হয় ওই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত ২৬ শে মার্চ কিম্বা ১৬ই ডিসেম্বরের কোন অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের সময় যদি জাতীয় সঙ্গীতটা অনুভব করেন আমি নিশ্চিত- আপনি কাঁদবেন।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই মন্তব্যের উত্তর দেন না কেন?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাইরে এক জন রোগী মানুষের শারীরিক কষ্টটাও কি আপনি দেখবেন না!?
আফসোস!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, দেশ মুক্ত হওয়ার পর, যারা অফিসে গেছে, তাদের কারো রক্ত ঝরেনি।