নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুম্মা পড়তে গিয়ে জুতো হারিয়ে হলেম জুতো হারা! *********************************

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১০

এই জুতা জোড়ার মালিককে খুঁজছি।
এই সপ্তাহের শুক্রবারে অর্থাৎ ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ জুম্মার নামাজ পড়তে গেলাম লালমাটিয়া শাহী মসজিদ যেটাকে আবার বিবি মসজিদ ও বলা হয় ।

আমি সাধারণত সাড়ে বারোটা থেকে বারোটা ৪৫ এর দিকে রওনা হয়ে থাকি। কেননা বাসা থেকে মসজিদে যেতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট ।

মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হয়ে যথারীতি দেখতে পেলাম নিচতলার পুরোটাই কানায় কানায় ভরপুর ।

তাই স্যান্ডেল হাতে নিয়ে দোতলায় উঠতে শুরু করলাম । সাথে আমার পুত্র ছিল । ওঠার সিঁড়ির সাথে গ্রিলের কভার দেয়া হয়েছে অনেকটা সিলিং এর মত। সেখানে জনগণ জুতো রাখছে।

এই ধরনের জায়গায় আমি আগে কখনো জুতো রাখিনি । তাই আমার পুত্রকে ইঙ্গিত করতেই এসে রাজি হয়ে গেল ।

সে আর আমি জুতো রাখলাম। তারপর দোতলায় উঠে পড়লাম।

গিয়ে দেখি, সেখানে প্রচুর পরিমাণে জায়গা আছে আমাদের দাঁড়ানোর জন্য । তাই আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। নানান বয়ান এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতার পর খুতবা শেষে নামাজ এক সময় শেষ হয়ে গেল। এবার বেরিয়ে যাবার পালা।

প্রচন্ড রকম জনপ্রবাহের চাপে নিচে নামার সময় খেয়াল রাখলাম যাতে জুতো টা নিয়ে আসা যায় । সেই গ্রিলের সিলিং এ গিয়ে দেখি আমার পুত্রের জুতো জোড়া ঠিকই আছে ।

কিন্তু আমার যত জোড়া নেই। দেখে মনটা বেশ দমে গেল ।

সে যেই হোক আমার পুত্র দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গেল। কিন্তু আমি যদি বের হই আমাকে খালি পায়ে বের হতে হবে। একবার চিন্তা করলাম খালি পায়েই বের হয়ে যাব ।

পরক্ষণে আবার মনে হল নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি। যখন ইমাম সাহেব বের হয়ে যাবেন। তখন ভেতরে কোন নামাজী ই থাকবে না । ঠিক তখন বের হব ।

কারণ আমার ধারণা কোন চোর জুতা চুরি করেনি । কোন এক নামাজীর জুতার চেহারার সাথে হয়ত আমার জুতোর চেহারা মিলে গিয়েছিল ।

ফলে সে হয়তো ভুলক্রমে নিয়ে গেছে এবং সেটা যদি হয় তাহলে সবাই চলে যাওয়ার পরেও এক জোড়া জুতো এখানে অবশিষ্ট থাকবে ।

আমি অপেক্ষা করার পর সবাই যখন চলে গেছে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম ঠিকই ওখানে এক জোড়া জুতা পড়ে আছে। কিন্তু জুতো জোড়ার চেহারা আমার আগের জুতো জোড়ার চেহারার সাথে ফিফটি পার্সেন্ট মিল ও নাই ।

কি করবো ভাবছিলাম । খালি বাসায় চলে যাব ? না এটাই পরে যাব।

এরপর যে চিন্তা করলাম এটা পরেই যাই ।

কারণ আমি এটা না পড়লে এটা তো এখানে পড়েই থাকবে। সে যাই হোক এই জুতো জুড়া আমার জুতো জোড়ার চেয়ে অনেক বেশি দামি মনে হচ্ছে। কিন্তু পরের দামি জুতা আমার পড়তে মোটেই ইচ্ছা করছে না।

আমি চাচ্ছি যে করেই হোক, এই জুতো জোড়া আসল মালিকে ফেরত দিতে । এ জন্য এখন আমার কী করা উচিত?

আমি কি এই বিষয়টি নিয়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে আলাপ করব?

এমনও তো হতে পারে যে, আগামী শুক্রবারে জুম্মার নামাজে ওই ভদ্রলোক আবারো নামাজ পড়তে আসবেন । তিনি আমার জুতো জোড়া হয়তো ওই গ্রিলের সিলিং এর উপর রাখবেন এবং আমিও এই জোড়া নিয়ে ওই সিলিং এর উপর রাখবো ।

এবার হয়তো তিনি আর ভুল করবেন না ।তিনি তার জুতো জোড়া এবার নিয়ে যাবেন । আর আমি আমার জোড়া নিয়ে যাব।

এই জিনিসটা কতটুকু সত্যি হতে পারে আমি বুঝতে পারছি না।

আফসোস।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



অনেক লোকের সাধারণ জ্ঞানের অভাব আছে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মসজিদের ভিতরে গিয়ে জুতা হারালে আসলেই পরিস্থিতিটা হয় বিব্রতকর ।

আমার বাসার রাস্তা দুই মিনিটের।
কিন্তু যাদের রাস্তা দশ পনেরো মিনিটের তাদের খালি পায়ে যাওয়াটা খুবই বিব্রতকর একটা অভিজ্ঞতা।
ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট মোটেই পাক পবিত্র নয় ।
নানান ধরনের ময়লা আবর্জনা আর গু মূতের ছড়াছড়ি এখানে সেখানে।
আফসোস।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আগামী শুক্রবার ঠিক একই জায়গায় জুতো জোড়া রাখুন, দেখুন আপনার প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করে কিনা। কাজ হলে আমাদের জানাবেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপাতত এটাই সিদ্ধান্ত ফাইনাল ।
অবশ্যই আপনাকে জানাবো।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একবার আমার জুতার মত অন্যের জুতা আমি নিচ্ছিলাম, পরে মনে হলো এটা আমার জুতা নয়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বাংলাদেশের মসজিদ গুলোতে জুতা ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটা খুবই নোংরা ধরনের ।
সবাই জুতো নিয়ে একেবারে ভেতরে চলে যায় ।
এমনকি যেখানে সেজদা দেয় সেখানেও থাকে জুতার ছড়াছড়ি।


আমাদের প্রতিটি মানুষেরই ব্যক্তিগত আচরণ রহস্যময় থাকে বেশিরভাগ সময়।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমি কখনো মসজিদে ঢুনিনি।এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা নাই।বন্ধুদের পাল্লায় পরে আজমির গেলাম।কাজ ছিলো দিল্লি।তাই আজমির যাওয়া।গিন্নী ৫০০ টাকা দিয়ে বললো মানত ছিলো,মাজারে দিও।মাজারের পরিবেশ দেখে টাকা আর দেওয়া হলো না।
আপনি অসুস্থতার জন্য মন্তব্যের উত্তর দিতে পারেন না আর জুম্মার নামাজ পড়ে অতো দুর যেতে পারেন কোনটা বিশ্বাস করবো।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বিশ্বাসের উপরে আসলে জোর খাটে না।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই, তা মসজিদে গিয়ে কি কি হাসিল করলেন?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



অশেষ নেকী হাসিল করেছি।
আর নিজের টাকায় খরিদ করা জুতো জোড়া খুইয়েছি।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: উত্তরা নতুন মসজিদে জুতা রাখার নিয়মটা ভাল। ওখানে টয়লেট টিস্যুর ব্যবস্থাও আছে!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বড় লোকের বিরাট কারবার।
ওখানে গরীব মানুষ মনে হয় কম আসে।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো, আর মসজিদে যেতে পড়ুন ছেড়া জুতো।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:





জুতো নিয়ে বড়ই যন্ত্রণায় আছি।
জানি না এর শেষ কোথায় ?

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুই জুতা সবসময় দুই বাক্সে রাখুন তাহলে চুরি হবে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এতো কঠিন কাজ করতে মন চায় না।
তার চেয়ে মসজিদে যাওয়াই বাদ।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অশেষ নেকী হাসিল করেছি।
আর নিজের টাকায় খরিদ করা জুতো জোড়া খুইয়েছি।

পরকালে আল্লাহপাক আপনাকে তিন জোড়া জুতো দিবেন। তাও আবার একদম ফ্রি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ভাইরে, পরকালে থাকবো জান্নাতুল ফেরদৌসে।
সেখানে তো জুতোর কোন দরকার নেই।
মানুষ জুতো পরে ধুলা-বালি, কাদার হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য।
জান্নাতে কোন ধুলোবালি, কাদার কারবার নেই।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




জুতো মসজিদে গিয়ে রেখে এসেছি কিন্তু আমার জুতো ফেরত পাইনি।

আফসোস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.