নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
পাঠক, আপনি কি ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন ?
অথবা দেশের অন্য যে কোন শহরে? বলতে গেলে যে কোন শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দায় মূলত ভাড়া করা বাসায় থাকে এবং বাসায় ইউটিলিটির জিনিসগুলোর মধ্যে পানি একটি অন্যতম উপাদান। বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আলাদা সাব মিটার দেয়া হলেও প্রধানতম একটি জিনিস পানির জন্য বাসাতে সাব-মিটার দেওয়া হয়নি । ফলে বাড়িওয়ালারা ইচ্ছা মতো টাকা নিয়ে নিচ্ছেন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে। এই বিষয়টি কি আপনি কখনো একবার ভেবে দেখেছেন?
আমি যে বাসায় থাকি সেখানে আমাদের পানির বিল নেওয়া হয় ২৫০০ টাকার।
বিশ্বাস করুন, আমি ৫০০ টাকার পানিও খরচ করি না । আমি মিতব্যয়িতায় বিশ্বাস করি এবং সব সময় যে কোনো ধরনের অপচয়ের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করি।
অথচ আমাকেও বিল দিতে হচ্ছে ২৫০০ টাকা।
আমার ধারণা, ঢাকা শহরের বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া এভাবে জরিমানার শিকার হচ্ছেন ।
অথচ এর জন্য দায়ী হচ্ছে বাড়িওয়ালারা ।
বাড়িওয়ালারা যদি প্রতিটি ভাড়াটিয়ার জন্য একটি করে পানির সাব-মিটার সরবরাহ করতেন তাহলে ভাড়াটিয়া, বাড়িওয়ালা এবং সর্বোপরি দেশের উপকার হতে পারতো । যদি এভাবে সাব মিটার সরবরাহ করা হয় তাহলে আমার নিজের ধারণা ঢাকা শহরে পানির খরচ কমপক্ষে ৪০% কমে যাবে।
এখন বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া ফ্রিস্টাইলে পানি খরচ করেন । কেউ কেউ কাজ করতে গেলে, কাপড় ধুতে গেলে পানির ট্যাপ বন্ধই করে না। অনেকেই হয়তো মনের অজান্তেই একটা রাগ থেকে এটা করে থাকেন। তারা মনে করেন, যেহেতু প্রচুর পরিমাণে বিল দিতেই হচ্ছে অন্তত পানি খরচ করেই বিলটা দেই।
যদি এটা করা হয় তাহলে আমার ধারণা, অনেক প্রতিষ্ঠানই কম দামে পানির সাব মিটার তৈরিতে এগিয়ে আসবে। আর মিটার এমন কোন আহামরি যন্ত্র নয় যে যেটা তৈরি করা যাবে না।
সাব মিটার দিলে যার যার টাকা থেকে খরচ করবে বলে পানির খরচ অনেক কমে যাবে আপনি বিশ্বাস করেন!
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঢাকা শহরের বাড়িগুলো থেকে যে পরিমাণ ভাড়ার টাকা আদায় হয় সেই পরিমাণ টাকা থেকে যদি সরকার ট্যাক্স পেত তাহলে প্রতিবছর বাজেটে কোন ঘাটতি থাকতো না।
বাড়িওয়ালারা প্রচুর পরিমাণ টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়।
আফসোস।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, আমি বেঁচে গিয়েছি মফস্বল শহরে থেকে। এখানে ডিপ থেকে লাইন দেয়া হয়েছে...
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার প্রিয় আবাসস্থল হচ্ছে গ্রাম।
শখ করে কি আর কেউ ঢাকা শহরে ভাড়া থাকে রে ভাই!
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১
আরইউ বলেছেন:
সাজ্জাদ,
বাড়িওয়ালা ফ্ল্যাট রেট ২,৫০০ টাকা নেন কিসের ভিত্তিতে? মাসিক যত টাকার মোট বিল আসবে তা বাড়িতে থাকা সবার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে মাথা মাথাপিছু পানির বিল বের করা যায়। সেখান থেকে সহজে প্রতি ইউনিটের জন্য কত বিল হবে তা জানা যায়। এটা ১০০ ভাগ সঠিক হবেনা তবে ফ্ল্যাট রেটের চেয়ে ভালো হবে সম্ভবত।
তবে, আপনি যেমনটা বলেছেন, সাব-মিটারের ব্যবস্থা থাকাটা সবচেয়ে ভালো উপায়।
@মুসা, শব্দটা ভাড়া; আপনি যা লিখেছেন সেটা একটা ট্যাবু ওয়ার্ড, খারাপ শব্দ।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি অনেক ভাল বলেছেন ।
তবে বাড়িওয়ালারা এতো কিছু চিন্তা করে না।
তারা প্রত্যেকে ২৫০০ করে গুছিয়ে দিয়েছে ।
তাতে তার একটা বিরাট এমাউন্ট কালেক্ট হয়।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই, সাব বিদ্যুতের মিটার হয়। কিন্তু পানির মিটার হয় না। সরকার প্রতিটা বাড়িতে পানির জন্য একটাই মিটার দেন। শুধু মাত্র বিদ্যুতের মিটার সরকার একাধিক দেয়।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি যেটা বলেছেন সেটা তো আমি জানি।
এটা নাই বলেই তো চালু করতে হবে ।
আপনি আমার পোস্টটা পড়েন নাই।
আফসোস!
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গ্যাসের মিটারের কি হবে?
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গ্যাসের জন্য ও মিটার দিতে হবে ।
গ্যাসের মিটার না থাকাতে শীতকালে কখনোই চুলা বন্ধ করা হয় না।
বর্ষাকালেও একই অবস্থা।
বর্ষাকালে জামা কাপড় শুকায় গ্যাসের চুলায়।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:২২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ২৫০০ টাকা পানির বিলা অনেক বেশি। এত টাকা নেয়ার কারণ কী? আমি যখন চার বছর আগে বাসা ভাড়া নেই তখন ৬০০ দিতাম, এখন তা ৮০০। বড়জোড় ১০০০ মানা যায়, ২৫০০ কোনোভাবেই না। আপনি কোন এলাকায় থাকেন?
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লালমাটিয়া।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: লালমাটিয়াতে অবশ্য সব কিছু বেশি। তবে ২৫০০টাকা অনেক বেশি । আমার বাসা লালমাটিয়ার উল্টোদিকে বলতে পারেন । রাস্তার ওপাশে । এখানে পানির জন্য ১৪০০ টাকা দিতে হয় !
বিদ্যুতের সাব মিটারের মত পানির সাবমিটার স্থাপন অতো সহজ ব্যাপার না। আমাদের দেশের পরিপেক্ষিতে সেটা অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার । বাসা বদলে এদিককার হাউজিংয়ে চলে আসুন ।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সম্ভবত ইত্যাদি -র মোড় থেকে আরো সামনে থাকেন! আমি ওই এলাকায় বাসা খুঁজতে অনেকবার গিয়েছি ।
যত বারই গিয়েছি মন খারাপ করে ফিরে এসেছি।
জায়গাটা আমার ভালো লাগেনি ।
একে তো গ্রাফিক আর্ট ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে নেমে যে রাস্তাটা সেই রাস্তাটা ভয়াবহ রকমের খারাপ।
সাত মসজিদ রোড পার হয়ে একাডেমিয়া স্কুল আসাটা অনেক কঠিন কাজ।
সব মিলিয়ে ওই এলাকায় থাকা হয়নি।
আফসোস!
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
বিষাদ সময় বলেছেন: ভাই ভাড়টিয়াদের তো বাড়িওয়ালারা এখনো মানুষ ভাবতেই শিখে নাই। ভাড়াটিয়া শব্দটার সাথে এক ধরনের অবমাননার মিশ্রন ঘটে আছে যা অনেক সময় বাড়াইট্টা হিসাবে প্রকাশিত হয়।
তবে ওয়াসার বিল যা আসে সুয়ারেজ বিলও হয় সমপরিমরণ তাই অনেকেই পানির ক্ষেত্রে মোট বিলের পরিমাণ ওয়াসা বিলের ডাবল করে নেন। সাব মিটর তো চাইলেই নিজেরা বসিয়ে নেয়া যায় । কে কত ইউনিট পানি খরচ করেছেন তা দেখার জন্য। যা অনেকের বাসায় আছে। এখানে ওয়াসার মাথা ব্যাথার কোন কারণ নাই।
তবে ২৫০০ টাকা পানির বিল আসলে অতিরিক্ত বেশি।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিকেন্দ্রীকরণ ব্যাপারটা বাংলাদেশে নেই বলেই সব মানুষ ঢাকা শহরে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বসবাসের জন্য ।
একে তো দেশের জনসংখ্যা আয়তনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
এই সুযোগটা নিচ্ছে ধনী শ্রেণি যারা বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রচন্ড প্রতাপ এর সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে ।
অথচ সরকারকে কোন ট্যাক্স আদৌ দিচ্ছে কিনা এবং দিলেও কত টাকা ফাঁকি দিচ্ছে তার কোন মনিটরিং নেই ।
এরা উল্টা ভাড়াটিয়াদেরকে নির্যাতন করছে ।
কেননা পানি তারা মেপে মেপে দিতে পারে - আমি বলতে চাই যেটা সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা ভাড়াটিয়ার জন্য একটি করে মিটার দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যার যতটুকু পানি দরকার টাকা দিয়ে কিনে খরচ করবে।
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
বিষাদ সময় বলেছেন: অথচ সরকারকে কোন ট্যাক্স আদৌ দিচ্ছে কিনা এবং দিলেও কত টাকা ফাঁকি দিচ্ছে তার কোন মনিটরিং নেই ।
প্রতিবছর আমরা প্রায় ৬০০ ইনকাম ট্যাক্স ফাইল জমা দেই। ১৬০০০/- ভাড়া হলে ফাইলে দেখানো থাকে ৮০০০/--১০,০০০/- । ৫০০/- ভাড়া বাড়িয়ে দেখালে এসে বাহানা শুরু করে যে তার বাড়ির ভাড়া আসালে এত বেশি না আমরা বেশি দেখিয়েছি। প্রথম দিকে নানা আরগুমেন্ট করতাম এখন সোজা বলি ভাই আমার একটা বাড়ি দরকার আপনার বাড়িটা আমাকে ভাড়া দেন। তারপর মিউ মিউ করতে করতে চেম্বার থেকে ভাগে। তবে অভিজাত এলাকার বাড়িগুলোর ফাকিবাজি কম। তাদের বেশীর ভাগেরই বাড়ি ভাড়ার চুক্তি থাকে এবং সেটা ফাইলের সাথে জমা দেয়া হয়। সে কারনে এসব বাড়িতে ভাড়া নয় ছয় করার খুব বেশি সুযোগ থাকে না।
ভাড়া ফাকি দেয়া মনটরিং করার নিয়ম কানুন কিছু আছে কিন্তু তা প্রয়োগ করতে গেলেই চাপের মুখে থমকে যায়। ধন্যবাদ।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার এই মন্তব্যটি অনেক মূল্যবান। এটা নিয়ে আপনি আলাদা একটা পোস্ট দেন।
আমার পোস্টের পাঠক কম। এটাকে আর মন্তব্য পর্যায়ে রাখা চলে না।
আর হ্যা, বাংলাদেমের টাকাওয়ালা মানুষের এই সব ফাকিজুখি আমি জানি। ট্যাক্স অফিসের লোকেরা আরো বেশী জানে।
তারা এই খান থেকে ইনকাম করে।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনের পোস্টেও গেলাম।
অনেক ফোস্টের জবান দেন নাই।
আফসোস!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৮
এম ডি মুসা বলেছেন: ঢাকার শহরের দালান কোঠা বানিজ্য হলো ঘরবাড়ি বাঁড়া দেওয়া