নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরা যায়, অফিসে তারা যায় কাজে!**********

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২২

একটি বিষয় আপনারা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন । খুবই মজার একটি বিষয়। সেটা হচ্ছে- বিদেশে মানুষ যায় কাজে। আর আমাদের দেশে মানুষ যায় অফিসে!

এই জিনিস আপনারা আগে কখনো খেয়াল করেছেন কিনা জানি না। বিষয়টি খেয়াল করা খুবই দরকার।

আমাদের দেশের যে সমস্ত মানুষ দেশের বাইরে থাকে বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য উন্নত দেশ সমূহে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আমি লক্ষ্য করেছি। শুধু তারাই নয় ওই সমস্ত দেশের নিজেদের নাগরিকরাও প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বাসা থেকে কাজে চলে যান আবার ৮ ঘন্টা ৯ ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় কাজ করে আবার বাসায় ফিরে আসেন ।

এ সময় যদি তাদের বাসায় লাইন ফোনে কল দেওয়া হয় এবং তাদের পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটির খোঁজ জানতে চাওয়া হয় তাহলে ছেলে মেয়েরা অথবা অন্য কেউ উত্তরে বলে যে-: উনি কাজে গেছেন ।
কখন ফিরবেন ?
তখন বলবেন যে - কাজ শেষ হলে সন্ধ্যা ছয়টায় আবার বাসায় ফিরে আসবেন ।

কথাটা অনেকটা এরকমই হয়ে থাকে। গতকাল আমি কল করেছিলাম বাইরের একটি দেশে। ধরেছিল তাদের ৬-৭ বছরের ছোট্ট কন্যাটি । তাকে জিজ্ঞেস করা হলো- তুমি কেমন আছো ?
সে বলল - আমি ভালো আছি।
তোমার বাবা কেমন আছে?
তুমি এখন কি করছো ?
সে বলল- বসে থাকছি ।
আর কি করছো
তোমার সাথে টেলিফোনে কথা বলছি ।
এরপর জিজ্ঞেস করা হলো - তোমার বাবা কোথায়?

সে বলবে- বাবা তো কাজে গেছে!


এবার এই বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটু খেয়াল করে দেখবেন এখানে কি ঘটে ।
এখানে প্রতিদিন সকালে যদি খোঁজ নেন তাহলে জানতে পারবেন বেশিরভাগই জবাব দিবে আমি তো অফিসে যাচ্ছি, বাবা তো অফিসে যাচ্ছে ।

এই জাতীয় উত্তরগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসবে তো এই আলোচনা থেকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হলো যে দেশের বাইরে যারা থাকে তারা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজে যায় এবং কাজ করে ফিরে আসে।

আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে জিনিসটি খেয়াল করে দেখা গেল এখানেও একটি নির্দিষ্ট সময় মানুষ জন অফিসে যায় এবং ফিরে আসে।

এই দুইটা পরিবেশে কথাবার্তার দুইটা ধরন হওয়ার কারণটা আসলে কী ?
আমি দুই একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ।
তারা বলল, এরা তো অফিসে গিয়ে ধান্দাবাজি করে, ঘুষ খায় । তারপর টাকার বস্তা নিয়ে ফিরে আসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে এবং এই কাজের বিনিময়ে তারা স্যালারি পায় এবং খাদ্য পায় পার্থক্যটা নাকি এখানেই।

অফিসে যাওয়া আর কাজে যাওয়ার মধ্যে আপনারা কী কী পার্থক্য দেখতে পান?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার শরীর কেমন?

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এখন একটু আরামবোধ করছি।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কোন প্রার্থক্য নেই। যাহাই অফিসে যাওয়া তাহাই কাজে যাওয়া। অফিসে সবাই কাজ করতেই যায়। আছেন কেমন? শরীর মন ঠিক আছে?

১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পার্থক্যটা আপনি ধরতে পারছেন না ।
তবে/কিন্তু পার্থক্য আছে ।
এ ব্যাপারে শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী অবশ্য কিছু বলছেন না।
তবে হয়তো বলতেও পারেন।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:০৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিষয়টি আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দু'ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি।

প্রথমত: প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশী বেশীরভাগ মানুষই মূলত "অফিস" জব করেন না। প্রবাসীদের (উন্নত দেশেও) অনেকেই টুকটাক চাকুরী করেন (হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ছোট ব্যবসায়, গাড়ি চালানো ইত্যাদি) কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। তাই বলার ক্ষেত্রে অনেকেই ছোট করে "কাজে" গেছেন বলে বলে থাকেন। তাছাড়া পারিবারিকভাবে বাংলাদেশী হওয়ায় আমরা জানি "অফিস" বলতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের কোন ভালো পজিশনে চাকুরি করে থাকলে সেক্ষেত্রে অফিসের বিষয় আসে অন্যথায় কেউ "অফিসে গেছে" বলেন বলে আমার মনে হয় না। এখানে মূলত পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড (আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি) একটা বড় ভূমিকা রাখে বলে আমার ধারনা। তাছাড়া ছোট বাচ্চারা হয়তো সহজভাবে বলার জন্য "কাজে গেছেন" বলেছে।

দ্বিতীয়ত: বিষয়টি অনেকটাই পারিপার্শ্বিক সামাজিক ব্যবস্থা তথা যে দেশে তারা আছেন সেখানকার প্রচলিত কথা-বার্তার ধরনের কারণেও হতে পারে। যেমন ধরুন ইংরেজী অক্ষর "Z" কে আমেরিকায় "যি" বলে উচ্চারণ করা হয়। তাই আমেরিকায় কেউ যদি "Zebra" কে "জেব্রা" বলে তাহলে আমরা যারা আমেরিকায় পড়াশোনা করেছি তারা স্বাভাবিকভাবে ধরে নিই যে ঐ ব্যক্তি খুব সম্ভবত আমেরিকায় পড়াশোনা করেন নি বা আমেরিকায় বড় হন নি (খুব ছোট ব্যতিক্রম থাকতেও পারে) কিংবা আমেরিকান নন। কারন আমেরিকানরা ঐ শব্দটিকে "যিব্রা" বলে উচ্চারণ করার কথা। আপনি যার সাথে বা যে পরিবারের ব্যক্তির সাথে কথা বলেছেন তারা হয়তো বা প্রচলিত কথা-বার্তার ধরনের কারনেই "কাজ" এর কথা বলেছেন "অফিস" না বলে।

পুরো বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য তারা কোন দেশে আছেন, ঐ ব্যক্তি কি কাজ করেন, তাদের পারিবারিক আর্থ-সামাজিক ব্যকগ্রাউন্ড ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয়ের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা নেয়া প্রয়োজন। ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



শুনে খুবই ভালো লাগছে।

সম্ভব হলে, পাকা বেলের শরবত খাবেন। সম্ভব হলে, ডুমুর গাছের কলিপাতা থেকে চা বানিয়ে খাবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ছোট আকারের একটা বেলের দাম ১ শ টাকার উপরে।
একটা ডাব কিনতে লাগে ১৫০ টাকা।
খাওয়া দাওয় করা এখন খুবই জমিদারী কাজ।
সবাই খেতে পারে না।
যাদের প্রচুর টাকা আছে তারাই খায়।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৬

বিষন্ন পথিক বলেছেন: যে তিনটা দেশের কথা বললেন (ইউরোপের লন্ডন) দেশে প্রফেশনাল কাজ করেছি, বিদেশী সবাই " work " বলে, সে কোম্পানীর টপ ম্যানেজমেন্ট হোক বা সবচেয়ে জুনিয়র এমপ্লয়ী হোক, আপনিও হয়তো মালয়েশিয়ায় ইটা খেয়াল করেছেন, এটা হয়ত আমাদের দেশের কালচার কাজকে "অফিস" বলা

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৯

বিষন্ন পথিক বলেছেন: আমার কাছে আরেকটা রহস্য হলো দেশের কর্তাদের চেয়ারে তোয়ালে বসানো, এটার কারণ বা রহস্য আজীবন আমাকে জ্বালাবে

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৪৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: তোয়ালে রহস্য

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



চেয়ার-তোয়ালের রহস্য আমি জানি।
তবে প্রথম আলৈা তাদের মহামূল্যবান লেখাটি সরিয়ে নিয়েছে ।
আফসোস!

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৫১

আলামিন১০৪ বলেছেন: তোয়ালে রহস্যের সঠিক লিঙ্ক

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনার সঠিক লিঙ্কেও নাই।
সরিয়ে নিয়ে গেছে।
বড় বসরা মনে হয় বকা দিয়েছে।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:৫১

আলামিন১০৪ বলেছেন: লিঙ্ক কোন কারণে কাজ করছেনা, তাই পেস্ট করলুম
ছোট সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকার না হয় একটা কারণ থাকতে পারে, বসের চাপে ঘর্মাক্ত হলে বস্তুটি প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনা তো বরং উল্টো। সাহেব যত বড়, তাঁর চেয়ারের তোয়ালেও তত দামি। যেন ‘তোয়ালে (গোঁফ) দিয়ে যায় চেনা’। যত উঁচু মানের তোয়ালে, তত বেশি ওজনদার কর্মকর্তা। স্নানঘরের অতিপ্রয়োজনীয় সুতিবস্ত্রটির চেয়ারে পদোন্নতি লাভের পেছনে এক মজার ইতিহাস আছে।

প্রয়াত পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি তখন বলেছিলেন, এই তোয়ালে-সংস্কৃতির সূত্রপাত ব্রিটিশ আমলে। সে সময় কলকাতার উচ্চপদস্থ বাবুরা মাথায় চুবচুবা তেল মেখে অফিসে এসে চেয়ারে বসে পেছনে মাথা এলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশরা দেখল, আয়েসি বাবুদের নিয়ে তো মহা বিপদ! কী করা যায়? লাগাও তোয়ালে। দামি চেয়ার নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তোয়ালের রঙ চটে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবে। আরেকটি ব্যাপার ছিল। গরমে বাবুদের যে ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল। বিলেতি সাহেবদের অবশ্য তার প্রয়োজন হতো না, কারণ মাথায় তেল দেওয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। আর তা ছাড়া, ব্রিটিশ সাহেবদের ঘরে টানাপাখার ব্যবস্থা ছিল, তাঁদের শরীর ঘামে ভিজত না।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫২

অগ্নিবেশ বলেছেন: অফিস বললে ভালো শোনা যায়, সমাজে স্ট্যাটাস বাড়ে। সাদা জামা পরে অপিস বাবু চেয়ারে বসে আছে, আর হাক দিচ্ছে বেয়ারা চা আনো, এটা আনো সেটা আনো, সেই রকম ব্যাপার স্যাপার। আর কাজ বলতে ধুলো বালি কা্লি ঘাম এগুলো দৌড়াদোড়ি এগুলো বোঝায়। স্বদেশে অফিসে বসে বসেই যদি ঘুষ খাওয়া যায় তাইলে কাম কাজ করে কেই বা কালি ঝুলি মাখবে?

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদেশে সবাই চাকুরি কে ওয়ার্ক বলে। অফিস বলে না।
আমাদের দেশে তো 'হোল্ড অন' বললেই মনে করে ইংলিশে গালি দিসে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আাপনার কথা এক দম সঠিক।
আমরা কাজ করতে অভ্যস্ত নই।
কাজ করা ছোট লোকের কাজ।
অথবা ছোট লোকেরাই কাজ করবে।
বড় লোকেরই কেবল করবে হম্বিতম্বি!

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

পুরানমানব বলেছেন: কতিপয় সরকারি অফিস উল্লেখ করিয়া দিলে ভালো হইতো। প্রাইভেট জব যাহারা করেন উনাদের কাজ না করিয়া বেতন লওয়ার উপায় কম। পুরা দেশের চাকরিজীবিদের এভাবে বলাটা আপনার বেহায়াপনা এবং অন্যায়। যেখানে যাহা প্রচলিত তাহাই সেখানে বলে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




প্রায়ভেট আর আন প্রায়ভেট সব অফিসের লোকেরাই অহঙ্কারী।
এরা সবাই অফিসে যায়।
কাজে যায় না।
।াফসে যাওয়ার মধ্যে অহঙ্কার আছে।
যারা কাজে যায় তারা অহঙ্কার করে না।
আর হ্যাঁ বাংলাদেশে বিনীয় মানুষের সংখ্যা ধীর ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।
এটা জাতির জন্য অশনিসংকেত।
আফসোস!

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

নিমো বলেছেন: এদশের লোকজন আদতে অফিসেও যায় না, কাজেও যায় না, তারা জমিদারি দেখতে যায়, প্রজা পীড়ন করতে যায়। সামন্তবাদী মানসিকতায় এর চেয়ে বেশি ভাবাও উচিত না।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আপনি কথা খুব একটা খারাপ বলেন নাই।
বাস্তবতা এটাই।
আফসোস!
বড়ই আফসোস!!

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: অফিসে যাচ্ছি, কাজে যাচ্ছি- মূলত একই কথা।
ঐ যে বলে না, এক দেশের গালি, আরেক দেশের বুলি।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি কি অফিসে যান?

নাকি

কাজে যান?

আমার ধারণা, আপনি বেড়াতে যান।
আফসোস! বড়ই আফসোস!!

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

মিথমেকার বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
আপনার লেখার টপিকটা খুবই মজার। আমি এই বিষয়টা খেয়াল করেছি। হা, এক অদ্ভুত ভিন্নতা লক্ষ করেছি এই কাজ এবং অফিস বলার ভেতর। আমি মনে করি এই অফিস এবং কাজ বলার ভেতর বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। তার ভেতর আছে (ওয়ার্ক এনভায়রনমেন্ট) মনে; আমাদের দেশে যারা বলে সে অফিস যাচ্ছে তাঁদের কাজের এনভায়রনমেন্ট সাধারণত ইনডোর এবং তাঁদের কাজটা ডেস্ক জব। সেখানে কাজের পরিবেশ বেশ পরিপাটি এসি থাকে সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। তাছাড়াও আমাদের দেশে সিংহভাগ অফিসে এখনও ড্রেস কোড মেনে অফিস করতে হয়, মনে ফর্মাল ড্রেসে। এই সব কিছুর ভেতর এক পরিপাটি বাবু বাবু ভাব আছে এ জন্যই হয়ত আমাদের দেশে যারা ডেস্ক জব করেন ফর্মাল ড্রেস কোড মেনে তাঁরা অফিস বলতেই পছন্দ করেন।
আমাদের দেশেই আবার যারা চাকরি করেন তারা অনেক সময় এই অফিসকে অন্য কিছুও বলেন। কেমন? এই ধরুন ডাক্তার সাহেব বলেন চেম্বার করবো, উকিল সাহেব বলেন বার করব, চেম্বার ও বলেন, অনেক ইঞ্জিনিয়ার আছেন যাদের আউটডোর ওয়ার্ক তাঁরা বলেন সাইট আছে, সাইটে যেতে হবে। যারা বিজনেস করেন একটু বড় বিজনেস তাঁরা বলেন আবার আমার অফিস এ আসেন একদিন। তার মানে তো এই নয় যে ওই বড় বিজনেস ম্যান চাকরি করেন কোনো অফিসে তাই অফিস বলছেন। আবার যাদের বিজনেসটা দোকান কেন্দ্রিক তাঁরা আবার দোকানই বলেন। তাঁরা বলেন না না আজ আড্ডা হবে না টাইম নেই দোকান এ প্রচুর চাপ, এই এক মাসই তো সেল করি। শুধু এই নয়, যারা সিকিউরিটি তে চাকরি করেন বা নার্স, ইন্টার্ন ডক্টর বা অন্য কোনো জব। যেটায় তাঁর কোনো ডেস্ক নেই বা পরিপাটি অফিস নেই, বা এসি নেই যেখানে সে বাবুগিরি করতে পারেন না। যেখানে সে বলে আজ ডিউটি আছে।
দারুণ এক ভিন্নতা সবার মুখে।
এবার প্রবাসীদের কাজ বলা প্রসঙ্গে আসা যাক, দেশ থেকে গিয়ে প্রবাসে যারা থাকেন তাঁদের বেশির ভাগই ডেস্ক জব করেন না। এমন জব করেন না যেখানে তাঁর জন্য একটি ডেস্ক আছে তাঁর একটি পিয়ন আছে, তাঁর থেকে নিম্ন পদের কর্মচারী আছে। বা তাঁকে ফর্মাল ড্রেসে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফর্মাল না গেলেও অন্য ড্রেস কোড মেইনটেইন করা লাগে) যেতে হচ্ছে তাঁর সেই কর্ম ক্ষেত্রে। কিছু প্রবাসী তো এমন অবশ্যই আছেন তাঁরা অনেক উচ্চ পদে চাকরি করেন বেশ ভালো বেতন পান, তাদের সুন্দর ডেস্ক আছে, পরিপাটি ওয়ার্ক এনভায়রনমেন্ট আছে। দারুণ সব কলিগ আছে। কিন্তু তিতো হলেও সত্য, বেশির ভাগ প্রবাসী যারা প্রবাসে গিয়ে চাকরি করেন তাদের এমনটা নেই। তাঁদের কাজটা, তাঁদের মাথায় প্রিসেট হয়ে থাকা এই অফিসকে প্রোপারলি এক্সপ্রেস করে না। মনে , তাঁরা যেটাকে অফিস হিসাবে চেনে সেটা।
এখন ধরুন কোনো প্রবাসী যে মধ্যপ্রাচ্যে থাকে এবং কাজ করেন কোনো উট এর খামারে। সে কী তাঁর পরিবার বন্ধুদের বলতে পারবে যে, সে এখন অফিস যাচ্ছে পরে কথা হবে। (যদি মিথ্যাবাদী না হন) আমার মনে হয় না পারবে।
মানুষের মস্তিষ্ক এসব বিষয় ছোটবেলা থেকেই কোডেড হয়ে যায়। যে, সে কোনটা কে কী বলবে। এখানে ওই প্রবাসী উট এর খামারে যাচ্ছি এটাও মনে হয় না বলবে আত্মসম্মানের খাতিরে। তাঁর জন্য বলা সব থেকে সহজ শব্দ হলো কাজ। সেটাই সে বলে।
মূলত, এই শব্দের ভিন্নতা আমাদের নিজেদের অজান্তেই হয়। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কে কোডেড হয়ে আছে।
ধরুন, একজন সুস্থ মস্তিষ্কের বাংলায় কথা বলা ব্যক্তি কী ডাবকে শুকনো নারকেল বা ঝুনা নারকেল বলবেন? যদি বলেনও তাঁর দিকে অন্য দশ জন মানুষ ঘুরে তাকাবেন।
এই কাজ, অফিস, জব এর ডিলেম্মা এই কারণেই হয়ে থাকে।

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

আরইউ বলেছেন:



সাজ্জাদ,
২ নং মন্তব্যে গোফরান এবং ৩ নং মন্তব্যে ইফতেখার-এর সাথে আমি একমত। আমার ধারণা দু‘টোই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



ডালের মধ্যে কালো কিছু একটা আছে।
একেবারে সহজ ব্যাপার না।
অভিজাত্য ফোটানোর একটা চেষ্টা তো আছেই।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই,
ইফতারী সময় হয়ে এসেছে। আমিম ইফতারী করতে গেলাম।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আজ আমার ইফতারি হয়েছে কেবল পানি দিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.