নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পচা বাবু রসগোল্লার দাম রাখলেন ১২০ টাকা **********************

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩১

ঘটনাটা সেই সময়ের যেই সময়ে এক কেজির রসগোল্লার দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। তখন জয়পাড়া বাজারের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ছিল পচার মিষ্টির দোকান । জয়পাড়া বাজারে আরও বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান থাকলেও পচার মিষ্টি ব্যাপকভাবে বিখ্যাত । এলাকার মানুষ এক নামে এই মিষ্টির ভক্ত এবং কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্য মিষ্টি ভুলেও কিনবেন না।

পচার মিষ্টির দোকান এমনিতেই বিখ্যাত । তারপরে ১৯৯০ সালে ভারতের বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময় যে হাউ কাউ শুরু হয় তার কিছুটা ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পরে।

সেই সময় পচার মিষ্টান্ন ভান্ডারের খানিকটা ভাঙচুর করা হয়েছিল যেটা bbc বাংলা রেডিওতে সম্প্রচারিত হয়েছিল। ফলে পচার মিষ্টান্ন ভান্ডার খ্যাতি আরো ছড়িয়ে যায় ।

সে যাই হোক আমার লেখার বিষয়টি আসলে উনার মিষ্টান্ন ভান্ডারের খ্যাতি নিয়ে নয় অন্য একটা বিষয় নিয়ে ঘটনা ।

সেই সময় পচার মিষ্টান্ন ভান্ডারে এক কেজি রসগোল্লার দাম ছিল ৮০ টাকা মাত্র । সে যাই হোক আমি ঢাকা যাব বিশেষ কাজে। আমার পাঁচ কেজি মিষ্টি লাগবে। তাই ছুটলাম বাজারে । পচার দোকান থেকে ৫ কেজি রসগোল্লা কিনে নিয়ে যাই।

আমার ভাগ্য খুবই সুপ্রসন্ন বলতে হবে । কারণ আমি গিয়ে দেখি পচা বাবু স্বয়ং নিজেই দোকানে বসে আছেন ।

উনাকেই বললাম যে আমার পাঁচ কেজি রসগোল্লা লাগবে । একটু মেপে প্যাকেট করে দিন ।

উনার কর্মচারী রসগুল্লা মেপে প্যাকেট করে দিল। তারপরে আমি বললাম দাম কত হয়েছে ? উনি বললেন ৬০০ টাকা। আমি ৬০০ টাকা বের করে দিয়ে মিষ্টি নিয়ে চলে এলাম।

পথে এক বাল্যবন্ধু সাথে দেখা। সে জিজ্ঞেস করল, মিষ্টি কিনলি নাকি?

যাই হোক ওকে আমি এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করলাম- রসগোল্লার দাম এখন কত করে কেজি?

সে বলল ৮০ থেকে ৯০ টাকা করে কেজি হয়।

তখন আমি হিসাব করে
দেখলাম যে আমার কাছ থেকে ৮০ টাকা রাখা হয়নি । আমার কাছে রাখা হয়েছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি ।

আরও আশ্চর্যের বিষয় এই যে আমি উনাকে কিছুই বলিনি । ভেবেছিলাম যে উনি ঠিকমতোই হিসাব করেছেন।

উনি এটা কেন করলেন আমি ভেবে পেলাম না। কিন্তু উনার প্রতি আমার একটা দারুণ অশ্রদ্ধা চলে আসলো ।

যেখানে অন্য সবাই ৮০ টাকা কেজি করে মিষ্টি কিনে নিয়ে যায় সেখানে আমি যখন পাঁচ কেজি কিনলাম । আমার কাছ থেকে ৮০ টাকা রাখতে পারতো এমনকি মোট দামের উপরে দশ টাকা ডিসকাউন্টও দিতে পারতো।

কিন্তু তিনি সেটা না করে কেজি প্রতি চল্লিশ টাকা বেশি রাখলেন কোন বিবেচনায় সেটা আজ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারি নাই।

এখন আপনারাই বলেন কোন একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ীর এই কাজটা করা কি ঠিক হয়েছিল?!

শুনেছি উনি বেশ কয়েক বছর আগেই পরলোক গমন করেছেন। ঈশ্বর উনার আত্মার সদগতি করুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আরেক জনের বিল আপনার কাছ থেকে রাখে নি তো?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


জানি না।
তবে আমি যে সারা জীবন বিভিন্ন জায়গায় ঠকেই এসেছি এখন অতীত স্মৃতির রোমন্থন করলে সেটা বুঝতে পারি।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

BM Khalid Hasan বলেছেন: উনি ভূল করেছেন নাকি ইচ্ছাকৃত নিজের পলিসি চেঞ্জ করেছেন এটা বলা খুবই কঠিন। তবে এখানে যেসব জোড় সংখ্যার নাম্বার ফিগার দেওয়া আছে, তাতে এই হিসেবে ভূল হবার প্রশ্ন আসেনা। বিশেষ করে বড় ব্যবসায়ীদের অংকে ভূল কোনোভাবেই হবে না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কোন দোষ করে না।
সব দোষ ক্রেতাদের ই।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

নতুন বলেছেন: বড়ই আফসোস :((

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




বিরাট আফসোস!

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় সে তোমাকে স্পেশাল কোয়ালিটির মিষ্টি দিয়েছিলো যা অন্যদের দেন না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


না, আপুনি।।
সে আমাকে জিনিসটা ঠিকই দিয়েছিল।
কিন্তু দামটা রেখেছিল স্পেশাল দাম।‌

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.