নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠক চক্র **********

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২১


বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক একটি শ্রেণীর মানুষ আছে যারা অন্যকে ঠকিয়ে খুবই মজা পায়। এই ঠকানোর পিছনে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার একটি অসৎ উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে।

তাদের মধ্যে সিংহভাগ আবার ব্যবসা বাণিজ্য করে। ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করে তারা প্রতিনিয়তই খরিদ্দার কে ঠকিয়ে থাকে। একবার ঠকানোর পর তারা মনে মনে অসাধারণ এক পৈশাচিক শিহরণ ও আনন্দ অনুভব করে।

যেমন ধরুন কেউ হয়তো ২০ টাকার জিনিস ক্রেতাকে ২০০ টাকায় গছিয়ে দিয়ে/বিক্রি করে খুবই আনন্দ লাভ করল। ক্রেতাও কি আর করা, এটাই নিয়তি ইত্যাদি ভেবে মেনে নিচ্ছে।

যেহেতু এরা বিশাল একটা ঠকবাজ গোষ্ঠী তাই তারা একে অপরকে ঠকাচ্ছে এবং বিষয়টা একটা চক্রের মত অর্থাৎ প্রথমজন ঠকাচ্ছে আছে দ্বিতীয় জনকে। দ্বিতীয়জন ঠকাচ্ছে তৃতীয় জনকে। তৃতীয় জন ঠকাচ্ছে চতুর্থ জনকে। চতুর্থ জন ঠকাচ্ছে পঞ্চম জনকে। পঞ্চমজন ঠকাচ্ছে ষষ্ঠ জনকে। ষষ্ঠ জন ঠকাচ্ছে সপ্তম জনকে। সপ্তম জন ঠকাচ্ছে অষ্টম জনকে। অষ্টম জন ঠকাচ্ছে নবম জনকে । নবম জন ঠকাচ্ছে দশম জনকে। আবার এরই ধারাবাহিকতায় একই কায়দায় দশমজন ঠকাচ্ছে প্রথম জনকে।

সুতরাং শেষ পর্যন্ত প্রথম জনকে ও ঠিকই ঠকতে হয়েছে।

অর্থাৎ ঠক চক্র খুবই একটি খারাপ চক্র । এই চক্র থেকে বেরিয়ে যেতে পারলে পুরো দেশটাই দূষিত হয়ে যাবে কিংবা ইতোমধ্যেই দূষিত হয়ে গেছে।


কিন্তু অতি লোভী অসৎ মানুষের কারণে ঠক চক্র থেকে বাংলাদেশের জনগণ কখনোই বের হয়ে আসতে পারবে না।

আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নেই বললেই চলে। আমরা সব সময়ই অপরের অকল্যাণ কামনা করি।

তাই এই চক্র থেকে বের হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
আফসোস।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠকের রাজ্যে কিছু ভালো লোক আছে। তাদের সাথে আমার দেখা হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আমি ভালো লোক খুঁজি । কিন্তু আজো তাদের কারোর দেখা পেলাম না।
আফসোস!

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:২৮

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: দেশে ১৯৭৮-১৯৯২ সন পর্যন্ত হয় আমি না হয় আমার বড় ভাই বাজার করতাম। বাজার থেকে পচা মাছ এনেছি, আম্মাকে সঙ্গে নিয়ে আবার দোকানির কাছ থেকে সেই পচা মাছ দেখানোর পর ভালো মাছ পেয়েছি, কোন বাদানুবাদ হয়নি, দোকানির মধ্যে আমি বরং গিল্টি ফিলিংস দেখিছি। অদ্ভুদ আমাদের দেশ, ঠগেরও অনুশোচনা আছে। ডাকাত সরদার ধরা পড়ার পর তাঁর ছেলের আসন্ন ম্যাট্রিক পরীক্ষার কি হবে বলে কাঁদতে দেখিছি। দেশের মানুষ ভালো থাকতেই চায়, কিন্ত চাইলেই কি পারা যায়! এখন সম্ভবত এগুলো গল্প।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বাংলাদেশের মানুষ আগে খুবই ভালো ছিল ।
এত খারাপ ছিল না।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: লোকজন সচেতন না হলে তাদের ঠকতেই হবে।এর থেকে রক্ষা নাই।একটা কথা আছে, শিখছো কোথায় ,ঠকছি যেথায়।তাদের শিক্ষা না হলে কি আর করা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



সচেতন হবে কে?
সবাই তো ঠকায়?

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

কালো যাদুকর বলেছেন: এটি বাংলাদেশ কেন অনেক দেশেই পাবেন। তবে ভাল লোকও আছে। ভাল লোক যারা ঠকান না, তাদের সাথে চলাফেরা, আড্ডা দিলে, মনে আর আফসোস থাকবে না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


গল্পটি শোনা।
অধ্যাপক সাইদুর রহমান সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাবা। তিনি কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক ছিলেন।
বাংদেশ প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি সম্ভত জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু তাঁর শিক্ষককে শ্রদ্ধা করতেন। প্রায়ই তাঁকে ৩২ নম্বরে দাওয়াত করতেন। একবার আলাপপ্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালো একটি মন্ত্রীসভা গঠন করতে বলেন। বঙ্গবন্ধু বললেন- স্যার, আপনি আমাকে ১০ জন ভালো মানুষের লিস্ট দিন।
আমি ভালো একটি মন্ত্রীসভা গঠন করতে পারবো।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অবধি অধ্যাপক সাইদুর রহমান ১০ জন ভালো মানুষের তালিকা দিতে পারেননি।
আফসোস!

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৭

কালো যাদুকর বলেছেন: সবকিছুতে আফসোস করে কি হবে? আপনার হাইপার টেনশন হতে পারে। কবে কে কাকে কি লিস্ট দিল , তাতে কি আমাদের জীবনের কোন পরিবর্তন হতো, না হতো না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এক জন বড় মাপের নেতা দেশটাকে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারেন।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

অধীতি বলেছেন: খুবই কঠিন কাজ হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আমি প্রতিদিনই ঠকি ।
আপনি কি ভাবছেন ঠকাই আমার কাজ ?
আসলে আমি ঠকি না আমাকে ঠকানো হয়।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ঠক চক্রু.. সমাজের একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক নিয়ে লিখেছেন ।
এ কথা একেবারে ধ্রুব সত্য যে
ঠক কে সে? জানি না কে?
সহজে যায়না চেনা তারে
শুধু এইটুকু জানি তারি লাগি
সবাই ডুবে মরে রাত্রি-অন্ধকারে
চলেছে মানবযাত্রী যুগ হতে যুগান্তর-পানে
দু:খ কষ্ট ঝড়ঝঞ্ঝা অভাবী সংসারে পেটের ক্ষুধা
জ্বালিয়া ধরে বিশাল ঠক বাহিনীর কারণে ।

তাইতো চারিদিকে তাকিয়ে দেখি
গগনতল গিয়েছে ঠকে ভরি,
বিষফল তার পড়িছে ঝরি ঝরি
এ ঘোর রাতে তাদের লাগি
পরান মোদের সহসা জাগি
কেবলি বলিছে মরি মরি
ঠক যন্ত্রনার মরণ কামরে পরি ।

কি অসীম এই ঠক বাহিনীর ছল চাতুরী
তাদের বিশালতা দেখে ভয়ে মরি
যেথায় এত ঠক বাহিনী বিরাজে
সেথায় আমরা এক ক্ষুদ্র সারথী ।

কি আর এখন করা
সুফি কবি রুমির ভাষায়
শুধু বলতে পারি
এসো এসো সকল মানুষ
সকল জাতির সব
অবিশ্বাসী, আগুনসেবী
মূর্তি-পূজারী -সব!
এসো হে এই পূণ্যতীর্থে
নেই নিরাশার লেশ
ত্বরায় এসো, আমার নীড়ে
নেই করুণার শেষ!
তওবা যদি ভাঙ্গো শতো
তবুও এসো এসো
মঙ্গলঘাটে পুন্য পরশে
পবিত্রতায় মেশো।

তাইতো মনে হয়
ঠকের হাত হতে বাঁচতে হলে
সকলেরই নীজকে পরম পবিত্রতায়
মিশা ছাড়া মুক্তির উপাই নাই ।

সারা দেশ জুরে ঠক নিয়ে
বৃথাই আচার বিচার
সমাজে বিরাজমান ঠকের চেয়ে
হৃদয়ের নিত্য ধর্ম সত্য চিরদিন
হৃদয়ের ধর্মের অন্বেষা পরম সত্য
মানুষের নীজ হৃদয়ে সত্যের সন্ধান
নিয়তই দেয় শ্রেয়োবোধের প্রেরণা
সকলের মাঝে এই শ্রেয়বোধ জাগিয়ে
তোলাটাই হোক পরম সাধনা ।

শুধুই আফসুস করে নাই কোন গতি
সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে হবে সুমতি
কিন্তু আনবেটা কে সেই এক ভাবনা
মহা শক্তিমান খোদা ছাড়া তিনি
আর কেও না ।

শুভেচ্ছা রইল


৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আফসোস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.