নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমিতো গিয়েছি জেনে ,প্রণয়ের দারুণ আকালে,নীল নীল বনভূমি ভিতরে জন্মালে,কেউ কেউ এভাবে চলে যায়,চলে যেতে হয়..................... কেউ কেউ এভাবে চলে যায়বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।
হঠাৎ করেই পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম বলতে সবাইকে একসাথেই। বলা নেই, কওয়া নেই হুট করে যদি দেখি সবাই একসাথে গল্প করছি ,কথা বলছি একটু আশ্চর্য তো লাগে। আর তারা যদি হয় বিশ বছর আগে ফেলে আসা স্কুলের বন্ধু-বান্ধবি, সহপাঠী তাহলে তো কিছুটা আশ্চর্য হতেই হয়।
তবে,ভাগ্যটা সুপ্রসন্ন বলতে হয় কারন এখন কথা বা দেখা হচ্ছে সামনা-সামনি না। হলে কিছুটা তো অসস্থি লাগতই। এখন কথা হচ্ছে প্রযুক্তির অশেষ দান ফেসবুকের মেসেঞ্জারে।
হুম। কিছু বন্ধু বান্ধবের সাথে টুকটাক যোগাযোগ ছিল। আর যারা পুরোপুরি হারিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে খুঁজেছি বহুদিন, বহুভাবে।নামের প্রতিটা অক্ষর দিয়ে,কিন্তু কিভাবে জানতাম তারা আশেপাশেই লুকিয়ে আছে বৃষ্টির ফোটা নাম দিয়ে। কেউবা খাঁচার বন্দি পাখি আর কেউবা বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়ে। অনেকজনকে চিনতে লেগেছে বহুক্ষণ ,আর অনেকে তো আমার জন্মের চেনা।
যদিও বন্ধু শিমুল এর উদ্যোক্তা কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সবাই সবাইকে এড করে আমাদের সেই পুরাতন ব্যাচটাকে পরিপূর্ণ করে দিল।
সবাই শুধু সবাইকে দেখতে চায়। সবাই শুধু সবার সাথে কথা বলতে চাই। বিশ বছরের অব্যাক্ত কথা, অব্যাক্ত চাওয়া সবাই আজ বলতে চায়।
কে কাকে পছন্দ করত, কে ছিল কার দুশমন সব একে একে বের হতে লাগলো।বিশ বছর আগের অব্যাক্ত ভালবাসা,না পাওয়ার দুঃখ সবই বিনা পাত্রে জমা হতে লাগলো।
কেউ শুধু উকি দিয়ে বিশেষ কাউকে খুঁজছে, আর কেউ শুধু চুপচাপ কথা শুনছে।
বৃষ্টির ফোটা মেয়েটা দেখলাম এখনও সেই চটপটে।মেয়েটা যেমন সুন্দর ছিল তেমন ছিল তার মেধা।সবাই মোটামুটি তার প্রেমে পরেছিল। শুধু কেউ প্রকাশ করেছে আর কেউ করেনি।
পারমিতারও একই অবস্থা।খুব সুন্দর ২ টা বাচ্চা নিয়ে বহাল তবিয়তে সুখের সংসার করছে।
শামিম আর মানিক, যতটা পথ একসাথে হাঁটলে শৈশব পূর্ণ হয় ততটা পথ একসাথে হেঁটেছি।স্কুলের পর পাহাড়, মাঠ, আড্ডা সবই ছিল শুধু তোদের সাথে।বন্ধুত্ব কিভাবে শুরু হয় ,কিভাবে গভীর হয় সব তোরাই শিখালি।
খাঁচার পাখি , তুমি যতই নিজেকে অসুখী মনে কর না কেন, তুমি তখনও সুখি ছিলে আর এখনও আছ।তোমার পাশে সব ভালবাসার মানুষ যারা তোমাকে মুহূর্তের জন্যও দূরে রাখতে চাইনা।
মৌসুমি আর সামিন তোদের সাথে সেসময় তেমন কথা না হলেও এখন তোদের সাথে হয়েছে আত্মার সম্পর্ক।
জহির,মিজান তোরা এখনও আছিস এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। মানুষ কি অনেক দূরে যায়না? আমরা কেন এখনও একসাথে আছি? আশা করি সারা জীবনই পাশে থাকবি।
সালেক,নুরুদ্দিন,মাইনুল,রায়হান ভাই যখন যেখানে যেমনই থাকিস,ভাল থাকিস সব সময়।
নোট ঃ অবশেষে সবাই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, ১৩/৭/১৮ তারিখ সবাই একসাথে গেট টুঁগেদার করবে।আমি সাত সমুদ্র দূর হতে তোমাদের শুভ কামনা জানায়।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৫
সাাজ্জাাদ বলেছেন: জি ভাই, ধন্যবাদ আপনার কমেন্টে ।
আমি সাত সমুদ্র দূরে এখনও আছি ।
ফেসবুকের মাধ্যমেই আমাদের কথা বলা ।
ভালো থাকবেন সব সময় ।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছুদিন আগে আমারও কয়েক বন্ধু স্কুলের নামে ফেসবুক গ্রুপ খোলার পর অনেক পুরোনো বন্ধুদের সাথে আবার যোগাযোগ হয়েছে...
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
সাাজ্জাাদ বলেছেন: হঠাত করে অনেক পুরানো মানুষ গুলোর সাথে দেখা।
খুব ভাল লেগেছে ।
আপনার অনুভুতি কি।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এইসব যোগাযোগ আদতে কিছুই না।
সস্তা আবেগ দেখানো। পুরোনো সৃতি মনে করা, নষ্টালজিক হওয়া।
খোজ খরব নেওয়া। তাতে কোনো লাভই হয় না।
দিনের শেষে ফলাফল শূন্য।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
সাাজ্জাাদ বলেছেন: আসলেই জাগতিক কোন লাভ নেই
পুরোনো সৃতি মনে করা, নষ্টালজিক হওয়া।
এটাই বা কম কি। কিছুক্ষন এর সুখী ।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল থাকুক বন্ধুরা সেই সাথে আপনিও ভাল থাকুন
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
সাাজ্জাাদ বলেছেন: রাকু হাসান ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা জানায় আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
তারেক ফাহিম বলেছেন: তার মানে আপনি সাত সমুদ্র দূরেই ছিলেন।
এখনো আছেন?
তাহলে একত্র হলেন কি করে প্রযুক্তিতে?