![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেল-গ্যাস উন্নয়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ জন্য নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালায় পরিবর্তনও আনা হয়েছে বড় আকারে। নীতিমালাটির নতুন নামকরণ করা হচ্ছে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ উন্নয়ন তহবিল নীতিমালা। নতুন নীতিতে গ্যাসের লভ্যাংশের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম কোম্পানির লাভের এক ভাগ জমা হবে। তহবিলের বিনিয়োগে কোন প্রকল্প লাভজনক হলে ১৪ কিস্তিতে দুই ভাগ সার্ভিস চার্জসহ ১০ বছরের মধ্যে সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। তবে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ অনুসন্ধানের কোন প্রকল্প লাভজনক না হলে বিনিয়োগ করা অর্থ অনুদান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। শুরুতে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল শুধু গ্যাস অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ করা হয়। গ্যাসের বিরতণ খাতেও এই অর্থ বিনিয়োগের কোন সুযোগ ছিল না। নতুন নীতিমালায় খনিজ সম্পদের মধ্যে গ্যাস, কয়লা, তেল, কঠিন শিলা অনুসন্ধান, উন্নয়ন, উৎপাদন,, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন, বিতরণ ও বিপণনের জন্য এখান থেকে অর্থ ব্যয় করা যাবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সকল সংস্থা এই তহবিল থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারবে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে দেশের ৭৩ ভাগ জ্বালানি চাহিদা মেটানো হয় গ্যাসে। দিন দিন প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অব্যাহত ব্যবহারের ফলে গ্যাসের মজুদ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের পাশাপাশি এলএনজি আমদানি, শেল গ্যাস উন্নয়ন ও বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে কতিপয় কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরী। প্রাথমিক জ্বালানির পরিপূরক হিসেবে গ্যাসের পাশাপাশি কয়লা সম্পদের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া তেল সেক্টরের কিছু প্রকল্পে উন্নয়ন করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে এসব খাতের উন্নয়ন করার জন্য সমীক্ষা, গবেষণা, সংক্ষিপ্ত গবেষণা এমনকি সম্ভাব্যতা জরিপ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের কোন কার্যক্রম পরিচালনার অবকাশ গ্যাস উন্নয়ন তহবিল নীতিমালাতে ছিল না। যাতে জ্বালানি খাত কাঙ্ক্ষিত গতি পাচ্ছে না। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে পেট্রোবাংলা গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ উন্নয়ন তহবিল নামে একটি পৃথক হিসাব খুলবে পেট্রোবাংলা। গ্যাস বিতরণ, কয়লা ও কঠিন শিলা বিপণন কোম্পানির আদায়কৃত অর্থের নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রতি ১৫ দিন পর পর এই তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। সরকারের শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন করের ওপর আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ অর্থ-মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দের মাধ্যমে এই তহবিলে জমা হতে হবে। এছাড়া ব্যাংক সুদ এবং বিপিসির সকল বিপণন কোম্পানির লভ্যাংশও এই তহবিলে জামা করা হবে। তহবিলটির মেয়াদ হবে গেজেট প্রকাশ পরবর্তী ১৫ বছর।
©somewhere in net ltd.