![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার মানুষ তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। টানা হরতাল অবরোধের কারণে তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জের প্রায় ৭০ হাজার তাঁতকল বন্ধ হয়ে গেছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় দুই লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। হরতাল-অবরোধ আরোও কিছুদিন চলতে থাকলে বাকি তাঁতগুলোও বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা এলাকায় প্রায় ৯০ হাজার বিদ্যুৎ চালিত তাঁত (পাওয়ারলুম) রয়েছে। একটি পাওয়ারলুমে প্রতিদিন কাপড় উত্পাদন হয় ৭০-৮০ মিটার। এছাড়া হস্তচালিত তাঁত রয়েছে লক্ষাধিক। হস্তচালিত তাঁতে প্রতিদিন উত্পাদন ক্ষমতা ২০-২৫ মিটার কাপড়। বৃহৎ কাপড়ের হাট বেলকুচির সোহাগপুর, ঐতিহ্যবাহী শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর হাটে তোলা হয়। অনির্দিষ্টকালের হরতাল-অবরোধের কারণে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা এসব হাটে আসতে পারছে না। কাপড় বিক্রি করতে পারছে না। তাঁত মালিকরা তাঁত শ্রমিকের বিল পরিশোধ করতে না পারায় প্রায় দুই লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। টানা হরতাল অবরোধে এখন এমনই অবস্থা হয়েছে যে, দুই লাখ শ্রমিকদের চাল কেনার টাকা নেই। টানা হরতাল অবরোধে হতাশ হয়ে পড়ছে তাঁতিগোষ্ঠী আর হুমকির মুখে পড়ছে তাঁত শিল্প। হরতাল অবরোধদাতাদের চিন্তা করা উচিত এমন হরতাল অবরোধে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। অনতি বিলম্বে হরতালদাতাদের দেশের স্বার্থে এমন ধ্বংসাত্মক হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করা উচিত।
©somewhere in net ltd.