![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তবে এটিই একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবা খাত, এ খাতের ক্ষতি ৬৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে শিল্প খাত, এ খাতের ক্ষতি ২৫ শতাংশ এবং তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি খাত, এ খাতের ক্ষতি ৭ শতাংশ। আগামী অর্থবছর থেকে প্রবৃদ্ধি আবার উর্ধমুখী হবে এটা আমরা আশা করতে পারি। বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভাল করেছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সোচ্চার ভূমিকা রাখছে। নতুন ব্যাংক আসছে ব্রিকস এবং এআইবি ব্যাংক, এতে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। প্রতিবছর অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা বিশ্বব্যাংক বা বর্তমান অন্যান্য সংস্থার পক্ষে সহায়তার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক দুটো এই গ্যাপ পূরণ করতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে। এ বিপত্তির মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্যতম। তারপরও সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতিতে সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি যে অবস্থায় রয়েছে এটি খারাপ নয়, তবে এ অবস্থা ধরে রাখতে আমাদের অবশ্য আরো বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা (২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ফলে ২০১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে, যা স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারত। এমন তথ্যই দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
©somewhere in net ltd.