![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত। স্বাধীন বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতির পিতা পরিত্যক্ত মিল-কারখানা, ব্যাংক, বীমা জাতীয়করণ করে পুনরায় চালু করেন। শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মজুরি কমিশন গঠন করেন। মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিায় নিরলসভাবে কাজ করা যাচ্ছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানে শান্তি, উৎপাদন ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। উৎপাদন ও উন্নয়নে যারা প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখছেন, সেই শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। বৈষম্যহীন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত এবং শিশুশ্রম কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানায় দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। ভবন ও শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘গার্মেন্টস শিল্প বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি’ গঠন করেছে হয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল গঠনও করেছে। অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী সরকার দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে। বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এশিয়া ও ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোতে সম্মানজনক চুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি রফতানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেও এই সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে গত ৬ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পোশাক শ্রমিকের মজুরি তিন দফায় বাড়িয়েছে। ন্যূনতম মজুরি ১৬০০ টাকা থেকে ৫৩০০ টাকায় উন্নীত করেছে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করেছে। শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, স্কুল, হাসপাতাল, ডরমিটরি নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি খাতে শ্রমিকদের মজুরি ২৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০০ টাকা করা হয়েছে। আগামীতেও মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করবে। সে বিষয়টিও সরকার মাথায় রেখেছেন।
©somewhere in net ltd.