![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। ১৪ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪৪তম। এ সময় বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বেড়ে ২০৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭২ দশমিক ৪০ ডলার। ২০১৩ সালে ছিল ৪৬১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব উন্নয়ন সূচক’ এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০১৩ সালে ছিল ৫৮তম। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই শুধু নয় সামাজিক ক্ষেত্রে দশ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাপক। দেশের সামাজিক দশ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের কারণ ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সরকার দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা চলতি মাস থেকে বাস্তবায়ন শেষ হবে। এসব পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং দারিদ্র্যের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান সরকার পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার পর ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছে। সরকারের পূর্ব ও বর্তমান মেয়াদকালে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিবেশী ও সমমানের রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বে বাংলাদেশেল ভাবমূর্তি উজ্জ্ব¡ল করেছে। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতেও (জিডিপি বেজড অন পিপিপি) বাংলাদেশ সামনে এগিয়েছে তিন ধাপ। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৬তম। তবে ২০১৫ সালে উঠে আসে ৩৩তম স্থানে। গত ছয় বছরে ক্রমাগতভাবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি অর্জন করে চলেছে বাংলাদেশ। যা গোটা বিশ্বের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। তাছাড়া প্রবৃদ্ধি এখন উন্নীত হয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে। তবে জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন অনুযায়ী ভিয়েতনাম, তাজাকিস্তান, পর্তুগাল, কাতার, নিউজিল্যান্ড ও পেরুকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ক্রয় ক্ষমতার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে এক নম্বরে উঠে এসেছে চীন। ২০০০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। পরের পাঁচ বছরে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে। ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বর্তমানে নেমে এসেছে ২৪ শতাংশে। এদিকে, ২০১৮ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার আরও ১০ শতাংশ নিচে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান বিকাশের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষমও হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
©somewhere in net ltd.