![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নৌবাহিনীতে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজনের মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক সক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে যুক্ত হবে দুটি সাবমেরিন। এতে করে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সমুদ্রসীমা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক বছরে সংযোজিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ। বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর জন্য আলাদা বিমান ও সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের কাজ চলছে। জাতির পিতা সমুদ্র পরিবেষ্টিত বাংলাদেশের জলসীমা এবং তার সম্পদ রক্ষার জন্য একটি আধুনিক নৌবাহিনী গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভারত থেকে দুটি পেট্রল ক্রাফট 'পদ্মা ও পলাশ' নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতার নির্দেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকারের সময় নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। অবকাঠামো উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে দ্য টেরিটরিয়াল ওয়াটারস্ অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পরই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকা নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উদ্যোগের কারণেই আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং গত বছর ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সম্ভব হয়েছে। নৌবাহিনীকে একটি দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বেশ কিছু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মোট ১৬টি জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি মেরিন পেট্রল এয়ারক্রাফটও সংযোজন করা হয়েছে। একটি শক্তিশালী নৌবহর গঠনের জন্য অত্যাধুনিক দুটি করভেট চীনে নির্মাণাধীন রয়েছে যা চলতি বছর নৌবহরে সংযোজিত হবে। দেশের বিশাল জলসীমা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী আরও সমৃদ্ধশালী হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.