নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গার্মেন্ট শিল্পের বিকাশ তো দূরের কথা বরং একে বিলুপ্তি বা ধ্বংসের দিকে কি ঠেলে দিতে উদ্যত অ্যাকোর্ড এবং অ্যালায়েন্স?

২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩



রানা প্লাজা ধসে মারাত্মক দুর্ঘটনার পর ইউরোপীয় গার্মেন্ট ক্রেতাদের জোটগত সংগঠন অ্যাকোর্ড এবং উত্তর আমেরিকান ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সকে দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোর কমপ্লায়েন্স মান পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তারা কাজ শুরু করে। গত দুই বছরে তারা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় ২ হাজার ৯৩৬টি কারখানা পরিদর্শনের কাজ শেষ করেছে, বাকি আছে ৩০০ কারখানা। তাদের কাজের আওতা ছিল কারখানার স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিংয়ের বিষয় দেখার। কিন্তু তারা তাদের এই এখতিয়ারের বাইরে অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যাকে বলা যায়, রীতিমতো বাড়াবাড়ি রকমের কাজ। সরকার তাদের কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছিল যাতে দেশের পোশাক শিল্পের উপকার হয়। কিন্তু তারা এখন দেশের এ শিল্পের বিকাশ তো দূরের কথা বরং একে বিলুপ্তি এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে উদ্যত। দেশের পোশাক শিল্পের মালিকরা তাদের অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্রের আশংকা করছেন। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বাজার অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরা তাদের এখতিয়ারের বাইরের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়েছেন বলে মালিকদের বেশিরভাগই মনে করছেন। বিষয়টি বাণিজ্যমন্ত্রীকে তারা অবহিত করেছেন, অবহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী মহোদয়কেও। তারাও চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অ্যাকোর্ড এবং অ্যালায়েন্সের এই বাড়াবাড়িতে। ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ গার্মেন্ট সংশ্লিষ্টদের কাছে এক মূর্তিমান আতংকের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই একই ব্যক্তি আবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক সংগঠন এএফএলসিআইওর এজেন্ট। এ কারণেই অ্যাকোর্ড গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোতে অযাচিত খবরদারি করছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ-র সভাপতি। কারখানার ভবনের মান, অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে তারা কারখানার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা বিষয়েও হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সম্প্রতি একটি কারখানায় মালিক যৌক্তিক কারণে ৬ জন শ্রমিককে আইন অনুযায়ী বরখাস্ত করেন; কিন্তু আকোর্ডের পক্ষ থেকে জোর করা হচ্ছে- এই শ্রমিকদের কাজে রাখতে হবে! শুধু এটাই নয়, এমন আরও নানাবিধ এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সংস্থাটি। ফলে ত্যক্ত-বিরক্ত মালিকসহ বাংলাদেশ গার্মেন্ট শিল্প মালিক সংগঠন, বাংলাদেশ নিট পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন, বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতি। আমরা আশা করি, দেশের পোশাক শিল্পের স্বার্থে সংস্থা দুটির নজিরবিহীন স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

এসব চলবে না..... বলেছেন: সরকার করবে ঘোড়ার __ল।
যা করার মালিকদের পক্ষ থেকে করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.