![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। যাতে অন্য বাংলাদেশীর মতো সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পায় সাবেক ছিটমহলবাসী। সেই সঙ্গে যে প্রত্যাশা নিয়ে এই মানুষগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা পূরণ হতে পারে। এর অংশ হিসেবে সদ্য সাবেক হওয়া ছিটমহলবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে গুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ছিটমহলবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ২০০ কোটি টাকা দিয়েই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। অন্যদিকে ছিটমহলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, কানেকটিভিটিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সাবেক ছিটমহলবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে একটি গুচ্ছ প্রকল্প বা ক্লাস্টার প্রজেক্ট হাতে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় ছিটমহলবাসীদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে সচিব পদমর্যাদার একজন সদস্যকে প্রধান করে পরিকল্পনা কমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ছিটমহল উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতে থাকবেন। যারা ছিটমহলের সমস্যা নিরূপণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। ১৯৭৪ সালে করা স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ায় ১১১টি ছিটমহল পেয়েছে বাংলাদেশ। এসব ছিটমহলে জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। যারা সব ধরনের মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এতদিন। ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির ধারাবাহিকতায় ভারতীয় সংসদে স্থলসীমান্ত বিল অনুমোদিত হওয়ার (বর্তমানে ছিটমহল হস্তান্তর হয়েছে) ফলে ছিটমহলের বাসিন্দারা বাংলাদেশের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিধি ছিটমহল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।
©somewhere in net ltd.