নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতোটা এগিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি (পর্ব-২)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

গত অর্থবছরে ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল। ওই অংক ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আমদানি খাতে ব্যয় কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে এ খাতে ব্যয় ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছিল, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে সেখানে ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। মূলত জ্বালানি তেল আমদানিতে খরচ কমায় সামগ্রিক আমদানি ব্যয় কমেছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ ২০ শতাংশের মতো কমেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আমদানি কমায় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) বড় উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সামষ্টিক অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক রাজস্ব আয়। ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকার বিশাল আয়ের লক্ষ্য পূরণে প্রথম প্রান্তিকে বড় ঘাটতি কাটিয়ে নভেম্বরে এসে প্রায় ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। নতুন বছরে কার্যকর হবে সংশোধিত মূল্য সংযোজন কর আইন। অনলাইনে কর এবং মূসক দেয়ার সুবিধাও পাবেন করদাতারা। সব মিলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। বরাবরের মতো অর্থনীতিতে সুখকর অবস্থা তৈরির ভিত মজবুত করে চলেছে কৃষি। শষ্য উৎপাদন এবং কৃষির বিভিন্ন খাত-উপখাত সব ক্ষেত্রেই ভালো করেছে বাংলাদেশ। কৃষিখাতে ২০১৫ সালে বেশ কয়েকটি ভালো খবর এসেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র কাছ থেকে। ফল উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষে। আম এবং পেয়ারা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম। ২০২২ সালে মাছ উৎপাদনে যে চারটি দেশ ভালো করবে- সেই সম্ভবনার তালিকাতেও আছে বাংলাদেশের নাম। এফএও’র সহযোগিতায় সবচে বড় চেইন ওয়ালমার্টে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে এ বছরই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

সাহরাব বলেছেন: এত্তো উন্নয়নের পরও যদি জনগণ ভোট না দেয় তাহলে ভোট কেন্দ্র দখল করাই শ্রেয় .........

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

ধৈঞ্চা বলেছেন:
অর্থনীতির উন্নয়ন বলতে আসলে কি বুঝায় আমি ক্লীয়ার না। কতগুলো উন্নয়ন সূচক, ডাটা ও পরিসংখ্যান বেইজড তথ্য দিয়েই যদি সার্বিক উন্নয়ন ধরা হয় তবে আমার মত আম জনতার না বুঝারই কথা।
১। দেশের সরকারী ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবে
২। কোটি কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে
৩। বিনিয়োগের অভাবে সরকারী ব্যাংকে জমে আছে অলস টাকার পাহাড়
৪। জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেকারত্বের হার বাড়ছে
৫। পর্যাপ্ত উৎপাদনের পরও খাদ্যশস্য আমদানী করতে হচ্ছে
৬। পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় ধনী - দরিদ্রের পার্থক্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে।
এগুলো কি একটি দেশের অর্থনীতি প্রভাবক না অন্য কিছু। এত কিছুর পরও বলা হয়ে থাকে অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন। সবই আই-ওয়াশ (হোয়াইট এণ্ড ব্ল্যাক স্টেইটম্যান্ট), আসলেই আমি বুঝতে পারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.