![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুটির বয়স কতইবা হবে? বড় জোর দেড় থেকে দু’বছর। আব্বা, মা বুলি ফুটেছে কেবল। মায়ের কোল ছাড়া কিছুই বোঝে না। রবিবার যশোর শহরের ডিসির বাংলোর সামনে দিয়ে মায়ের কোলে চড়েই যাচ্ছিল শিশুটি। হঠাৎ ঘটে দুর্ঘটনা। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় আহত হন মা। শিশুটি ছিটকে পড়ে দূরে। মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মা। অলৌকিকভাবে শিশুটি অক্ষত থাকে। হামাগুড়ি দিয়ে শিশুটি মায়ের কাছে এসে কান্নাকাটি করে। মায়ের মাথা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ দেখে শিশুটির কান্না বাড়লেও সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কি নিদারুণ দৃশ্য। চোখের পানি ধরে রাখাই দায়। তারপর যারা দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে গেছে, মনটা জানতে চায় তাদের মানবতা ও সামাজিক মূল্যবোধ কি হারিয়ে গেছে? দু-একজন ভাল মানুষ পৃথিবীতে এখনও আছেন। আর এই ভাল মানুষ আছেন বলেই দেশের মানুষও ভাল আছেন। তেমনই একজন শরিফুল ইসলাম। যশোরে প্রয়োজনীয় কাজে আসা ঢাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম রিক্সাযোগে ঐ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। অজ্ঞাত নারীর মাথার রক্তক্ষরণ ও শিশুটির কান্না দেখে মায়া জাগে তার। অচেতন মা ও শিশুটিকে উদ্ধার করে তিনি যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসার জন্য পাঁচ শ’ টাকাও ব্যয় করেন। সার্জারি ওয়ার্ডে অচেতন মায়ের চিকিৎসা চলছে। শিশুটির কান্না কোনভাবেই থামছে না। তাকে তো আর বোঝানো সম্ভব নয় তার মা অসুস্থ। অবুঝ শিশুটি তাই বারবার অচেতন মায়ের বুকে মাথা ঠুকে চিৎকার করছে। এখনও ঐ নারীর জ্ঞান ফেরেনি। শিশুটির দেখভাল করছেন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যসেবী ও অন্য রোগীর স্বজনরা। আমরা কি পারিনা ঐ শিশু ও তার অসুস্থ মায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে? আসুন আর ঘুমিয়ে না থেকে, সবাই জাগ্রত হই। দেশ ও মানবতার সেবাই ব্রত হই। তাহলেই আমাদের সোনার বাংলা সুখে শান্তিতে ভরে উঠবে।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যশোর মশোর, ওগুলো মোটামুটি হেরে যাওয়া জনপদ, ওসব এলাকায় ভালো মানুষ আছে বলে আমার মনে হয় না
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
দেবানন্দ মিত্র বলেছেন: চিন্তা করতেই শরীর শিউরে ওঠে । কীভাবে মানুষ এত কর্তব্যজ্ঞানহীন হয়