![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা গৌরবময় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা আরও বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে কর্মরত। তারা শুধু শান্তি রক্ষার জন্যই কাজ করছেন না। বিভিন্ন দেশে সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ নানা কাজে ভূমিকা রাখছেন। শান্তিরক্ষীদের চেষ্টায় সিয়েরালিওনে দ্বিতীয় ভাষা বাংলা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ‘বাংলা বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয় আশির দশকের শেষদিকে। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৫ সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়। সেই থেকে শান্তিরক্ষা মিশন শুরু। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে যৌথবাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। তখন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ বিশ্বব্যাপী প্রশংসার দাবি রাখে। এরপর ধীরে ধীরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপকহারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার এবং সৈন্য নেয়া শুরু হয়। শান্তিরক্ষী হিসেবে গত ২৪ থেকে ২৫ বছরে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য পর্যায়ক্রমে অংশ নিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। বেড়েছে মিশন সংখ্যা। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৩টি শান্তিরক্ষা মিশন কাজ করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে মিশন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১টি। বর্তমানে শান্তিরক্ষা মিশনের সংখ্যা ৬০টিতে দাঁড়িয়েছে।বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সক্রিয় অংশীদার। উৎসাহের সঙ্গে জাতিসংঘের ডাকে সাড়া দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে মহান দায়িত্ব পালন করে আসছে। নীতিগতভাবে গ্রহণযোগ্য, কূটনৈতিকভাবে সম্মানজনক এবং সর্বোপরি সাংবিধানিকভাবে অনুমোদিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ স্বপ্রণোদিত হয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সৈন্য যোগানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ গুণাবলীর কারণে জাতিসংঘ ও বিবদমান উভয়পক্ষের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। সুশৃঙ্খল এবং পেশাদারী মনোভাব, কার্য সম্পাদনে নিরপেক্ষতা, জাতিসংঘের নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ, মোতায়েনকৃত দেশের জনসাধারণের সঙ্গে বন্ধুত্বমূলক আচরণ বাংলাদেশের সুনাম আরও বেশি করে বয়ে এনে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.