![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাঁত বাংলাদেশের একটি অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। এই কাপড়ের অপরূপ সৌন্দর্য ও বাহারি বৈচিত্র্য আর স্বকীয় নান্দনিকতার জন্য সকলের কাছে সমাদৃত। আবহমান কাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় এ তাঁত শিল্প গড়ে উঠেছে। তাঁতিরা নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের মানুষের কাপড়ের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে তাঁতজাত কাপড় রপ্তানির দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এক সময় দেশের বস্ত্রশিল্পের চাহিদার সিংহ ভাগই যোগান দিত এই তাঁত শিল্প। কিন্তু বর্তমানে শিল্পের সাথে পাল্লা দিয়ে বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ ও দেশে চাহিদা কমে যাওয়ায় তাঁতশিল্পে উত্পাদিত পণ্য (শাড়ি-লুঙ্গি) বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। ফলে তাঁতজাত পণ্যের বাজারে মন্দাভাব চলে আসে। অন্য সব শিল্পের প্রযুক্তিগত উত্কর্ষতার প্রতিযোগিতায় এ শিল্প টিকতে না পাড়ায় দিন দিন এই মন্দাভাব স্থায়ী রূপ নেয়। তার উপর বর্তমানে মুক্ত বাজার অর্থনীতির আড়ালে পরোক্ষ আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে এ শিল্প। ভারত থেকে নামমাত্র মূল্যে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নানা ধরন, রং ও ডিজাইনের কাপড়ের অবাধ প্রবেশ করছে। কম মূল্য হওয়ায় জনগণও এসব পণ্যের দিকে ঝুঁকছে বেশি। ইন্ডিয়ান বস্ত্রের চাইতে দামে অধিক হওয়ায় ধীরে ধীরে উত্পাদিত এসব তাঁত পণ্যের চাহিদা বাজারে কমে যাচ্ছে। ফলে বাজারে দেশি তাঁতিরা টিকে থাকতে পারছে না। তাছাড়া একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দেশে তৈরি পোশাক শিল্প তাঁতীদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইশ্রেণিরা তৈরি পোশাকে আমদানিকারক বিশেষ কর ও শুল্ক সুবিধা নিয়ে পোশাক রপ্তানির নামে তা দেশের বাজারে বিক্রি করেছে। কর ফাঁকি দেয়ার সুবাদে এ সকল বস্ত্র কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। বস্ত্রকলে তৈরি এ সকল কাপড় তাঁতীদের বিপাকে ফেলেছে। এছাড়াও রয়েছে উপকরণের সমস্যা আর শ্রমের অপচয়। বর্তমানে সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সকল অসম প্রতিকূলতার কারণে উত্পাদিত পণ্য লোকসানে বিক্রি করাতে বাধ্য হচ্ছে তাঁতীরা। ফলে দিনকে দিন তাঁতিরা পুঁজি হারাতে থাকে। ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকেই তাঁত বিক্রি করে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের দেশে শিল্পায়নের পরিমাণ এমনিতেই কম। এর উপর যদি স্থানীয় পর্যায় কুটিরশিল্প ও হস্তশিল্পগুলো যদি চালু না থাকে তা নিঃসন্দেহে আমাদের অর্থনীতির জন্য অশুভ সংকেত। তাই জাতীয় স্বার্থে এ শিল্প রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই কিছুক্ষন পুর্বে
"পূর্বাচলে উচ্চবিত্তের ১৪২ তলার আকাশ চুম্বী স্বপ্ন :: পাশের গায়ে দরিত্র তাঁতী প্রজন্মের স্বপ্ন: একটি ছোট্ট তাঁত পল্লী"
শিরনামে একটি লিখা পোষ্ট করেছি । গতকাল বলেছিলাম আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিবেচনার জন্য সামুতে উপন্থাপন করব। তাই করেছি ।
ভাল থাকার শূভকামনা রইল
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রিয় মেঘদূত ভাই অনেক ধন্যবাদ, দেশের অবহেলিত তাঁতী ও ধংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত তাঁত শিল্প রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য দেয়া এ গুরুত্বপুর্ণ লিখাটি উপস্থাপনের জন্য জানাই অন্তরের আন্তস্থল থেকে অভিনন্দন । আপনার ডাকে সচেতন সকলকে এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি । অন্যের কথা জানিনা তবে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিবেচনার জন্য সামুতে উপন্থাপন করব । নজর রাখবেন, নয়তবা আমি আপনার ব্লগে এসে জানান দিয়ে যাব
ভাল থাকার শূভকামনা রইল । ।