![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রাহকের সামনেই কৌশলে মোবাইল সিম জালিয়াতি করা হচ্ছে। সিম পুনঃনিবন্ধনের সময়ই জালিয়াতির আশ্রয় নেয় চক্র। এই চক্র হাজার হাজার সিম অন্যের নামে নিবন্ধন করে নিয়েছে। এখন সেই সিমই পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এর সঙ্গে অপারেটর, এজেন্ট ও রিটেইলাররা জড়িত । কারও আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করে প্রিএ্যাকটিভ সিম নিবন্ধন হয়নি। বর্তমানে যেসব গ্রাহক সিম নিবন্ধন করছেন তাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে এক একজন গ্রাহকের কাছ থেকে তিন চার বার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে প্রিএ্যাকটিভ সিম সংগ্রহ করছে অপরাধীরা। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারাদেশে ঘটা করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া চলে। এই সময় পুনর্নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ কোটিতে দাঁড়ায়। ৩১ মের পর থেকেই অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেয়া হয়। নিয়মানুযায়ী, আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া কোন সিম বিক্রি করা যাবে না। কঠোর ও কঠিন আইনের মাধ্যমে সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে হাজার হাজার মোবাইল সিম নিবন্ধন করে বিক্রি চলছে। এসব সিম প্রিএ্যাকটিভেটেড হিসেবে খুচরা দোকানে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যে কেউ এসব সিম কিনে নিতে পারেন। তার জন্য নতুন গ্রাহককে কোন ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হয় না। তবে এই সিমগুলো বেশিরভাগ কিনে নিচ্ছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা। এর আগে সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় অনেক মহল চেষ্টা করেছে এটাকে বানচাল করার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখন যেটা করা হচ্ছে, এখানেও তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। সিম নিবন্ধনের কারণে মোবাইলে হুমকি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অনেকাংশে কমে গেছে। এই সেক্টর ব্যবহার করে যেন কেউ কোন অপরাধ করতে না পারেন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামী ৭ জুলাই থেকে প্রতি গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে তিনি কয়টা সিম নিবন্ধন করেছেন। তখন যদি কোন গ্রাহক আপত্তি তোলেন যে, সে দুই বা তিনটা অপারেটরের সিম নিবন্ধন করেছেন। তার নামে যদি আরও সিম নিবন্ধন হয়ে থাকে তাহলে ওইসব সিম বন্ধ করে দেয়া হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
নতুন বিচারক বলেছেন: এটা নতুন কিছু নয় বাংলাদেশ বলে কথা ।