![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের দেশে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। দেশের এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প নেই। উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে নতুন পথের সন্ধানে যেতেই হবে আমাদের। আর এ ক্ষেত্রে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনোই বিকল্প নেই। এশিয়ার বেশির ভাগ জনবহুল দেশ যেমন চীন, ভারত, কোরিয়াসহ আরও অনেক দেশ এর প্রয়োজনীয়তা আগেই টের পেয়েছে এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে ও করছে। আমরাও আর পিছিয়ে নেই। বিদ্যুৎ একটি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সরকার এই গুরুত্বকে অনুধাবন করেই পাবনার রূপপুরে দুটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ঋণ অনুমোদন করেছে রাশিয়া। রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে গত ২৭ জুন রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ নিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। অ্যাটমস্ট্রয়ের নকশায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংবলিত ‘সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি’ দিয়ে রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করবে অগ্রযাত্রার নতুন এক মাইলফলক। বিশ্বায়নের এই যুগে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত দেশগুলোর মধ্যে। তারুণ্যে ভরপুর ভবিষ্যতের পরমাণু প্রকৌশলীগণ অপেক্ষায় আছেন নতুন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে।
©somewhere in net ltd.