![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ নৌ চ্যানেলের পশ্চিমতীরে অবস্থিত গভীর সমুদ্রবন্দর পায়রার বাণিজ্যিক অভিযাত্রা শুরু হচ্ছে। শনিবার ৩০ জুলাই দেশের আরেক মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের পাথর নিয়ে পায়রা বন্দরে নোঙর করবে চীনা জাহাজ। এর মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে এই গভীর সমুদ্রবন্দরের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হলেও পুরোপুরি চালু হবে ২০১৮ সালে। পায়রা বন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে পণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের বিশেষ সুবিধাও দিতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি ‘পায়রা সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম ও অগ্রগতি’ শীর্ষক সভায় পায়রা বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক-করাদি বা শুল্কছাড়ের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়। পায়রা বন্দর এলাকায় বন্দর, জেটি, কন্টেইনার টার্মিনাল, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি চলমান ‘পায়রা কাস্টমস হাউস’র জমি দ্রুত অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পায়রা বন্দরে কাস্টমস হাউসের আওতাধীন কতটা এলাকা থাকবে তা ইতিমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরো বন্দরের সব অবকাঠামো এখনো হয়নি। তবে স্বল্প পরিসরে বন্দর এখন ব্যবহার উপযোগী হয়েছে। কিছু অফিস হয়েছে। কাস্টমসের প্রাথমিক কার্যালয় হয়েছে। প্রয়োজনীয় ড্রেজিং সম্পন্ন হলে পায়রাতে ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য জাহাজ আসতে পারবে। আর চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ আসে। মাদার ভ্যাসেল বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজে এই বন্দরে পণ্য আসা-যাওয়া করবে। সমুদ্রবন্দরের পাশে প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক নৌঘাঁট। এই নৌঘাঁটিতে নৌ-কমান্ডো, এভিয়েশন, জাহাজ ও সাবমেরিন বার্থিং সুবিধা থাকবে। অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে এখানে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। নির্মিত হবে সার কারখানা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এসইজেড, জাহাজ নির্মাণ, এনএলজি টার্মিনাল, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র ও মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল। উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় থাকবে উপকূলজুড়ে সবুজ বেষ্টনী এবং ইকো-ট্যুরিজম। অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করবে এই পায়রা বন্দর।
©somewhere in net ltd.