![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বারো বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে যান। রক্তের নদী বয়ে গিয়েছিলো শেখ হাসিনার জনসভায়। বোমার স্প্লিন্টার্সের আঘাতে তার একটি কান জখম হয় যার চিকিৎসা চালাতে হয়েছে দীর্ঘকাল। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে এই হামলায় আহত হয়েছেন এবং অনেকে এখনো সেই ক্ষত বহন করছেন। এই হামলায় আহত নিহত হয়েছে অসংখ্য লোক। সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে অগুণতি মানুষ। নিহতদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমান। তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রীর উপর এই ধরনের বর্বর হামলার নজির সারাবিশ্বে বিরল। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। এই হামলার সব আলামত সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছিল। বিরোধী দলের নেতার উপর এতো বড় পৈশাচিক হামলা অন্য কোনো দেশে হলে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন হতো। অথবা ক্ষমতাসীন সরকার নিজেরাই পদত্যাগ করতেন। একুশে আগস্টের ঘটনাও বাংলাদেশে বিএনপি’র অপশাসনের অবসান ঘটায়। এই হামলায় দলের অনেক শীর্ষ নেতার নাম যুক্ত থাকা সত্ত্বেও বিএনপি সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কোনো সুষ্ঠু তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের কোনো ব্যবস্থা করেনি। দেশময় জনগণের মধ্যে ক্রোধ ও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। যার পরিণতি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি এবং বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। তারপর থেকে বিএনপি এ পর্যন্ত আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ১৯৭১ সাল যেমন জামায়াতকে বাংলাদেশে চিহ্নিত করেছে ঘাতক, দালাল ও দেশদ্রোহী দল হিসেবে, তেমনি ২০০৪ ও ২০০৫ সালও বিএনপিকে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের মিত্র এবং একটি গণ-বিরোধী দল হিসেবে। জনগণের কাছে স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত যেমন জনগণের ভোট আর পায় না, বিএনপির পরগাছা দল হিসেবে তাকে রাজনীতিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়েছে; তেমনি বিএনপিও এখন জামায়াতের মিত্র হিসেবে এবং অতীত ও বর্তমানের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির জন্য ক্রমশ জনগণের সমর্থন হারাচ্ছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের সবচাইতে বড় প্রতীক এখনো তারেক রহমানের হাওয়া ভবন। দলের এই নষ্ট ভাবমূর্তি মুছে ফেলতে না পারলে বিএনপি’র পক্ষে অদূর ভবিষ্যতেও ক্ষমতায় ফেরা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৮
নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: চাদগাজীর প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটা খুব জরুরী। আরও কয়েকটা পয়েন্ট আছে।
ঐ জনসভায় বড় বড় কয়েকজন নেতা ছিলেন। তাদের কারো গায়ে আচড়টিও লাগেনি। হামলা হলে তারাই তো প্রথম টার্গেট হওয়ার কথা!
শেখ হাসিনা খোলা ট্রাকে ছিলেন, তখন কোন গোলাগুলি হয়নি। তিনি যখন বুলেট প্রুফ গাড়িতে ওঠেন, তখন গুলিবৃষ্টি হয়।
ঘটনা তদন্তে তৎকালীন সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করলেও লীগের কোন নেতা তাদেরকে সামান্যতম সহযোগিতাও করেনি।
তাছাড়া বিদেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং জনগণকে আওয়ামী লীগের প্রতি সিমপ্যাথেটিক করে তোলার জন্য সে সম্য এই ঘটনা দারুণ ভূমিকা পালন করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে ২৪ নিহত, ২০০ জন আহত, শেখ হাসিনা আহত, যেখানে শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায়, এটার বিচার কেন সম্পন্ন হয়নি?