নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশাল সম্ভাবনার খাত অনলাইন আউটসোর্সিং

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

আউটসোর্সিং বলতে বোঝায় মুক্ত পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার পেশা। অনলাইন আউটসোর্সিং বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় পেশার নাম। বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এ খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে (মার্কেট প্লেস) ৫ লাখের ওপরে বাংলাদেশী আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। আয় হচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে আয়ের সম্পূর্ণ অংশ ব্যাংকিং চ্যানেলে না আসায় অধিকাংশই থেকে যাচ্ছে হিসাবের বাইরে। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের হিসাব অনুযায়ী গত অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি ডলারের উপরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মে মাস পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ে আয় হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি ডলারেরও কম। অর্থাৎ আউটসোর্সিং থেকে হওয়া আয়ের দুই-তৃতীয়াংশই ব্যাংক হিসাবের বাইরে রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের অর্থ বাংলাদেশে আসে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো পেজা এবং পেওনিয়ার। এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে হিসাব খুলে আউটসোর্সিং কাজ করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশ অর্থ আনা যায়। এছাড়া সরকারী মালিকাধীন সোনালী ব্যাংক এই অনলাইনে পেমেন্টের জন্য ‘পেপল’ নামের আর একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পেপলের সঙ্গে চুক্তি হলে আউটসোর্সিং থেকে আয় বেশ বেড়ে যাবে। কারণ বাইরের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা পেপলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চায়। পেপল বাংলাদেশে এলে বাইরে থেকে বাংলাদেশে যেমন অর্থ আনা যাবে, তেমনি বাইরের দেশে অর্থ পাঠানোর সুযোগও থাকবে। আউটসোর্সিং থেকে বাংলাদেশের আয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলার হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আউটসোর্সিং থেকে আয় বেড়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার। আয় বাড়ার এ হার ২৮ শতাংশের ওপরে। আউটসোর্সিং থেকে বাংলাদেশের এ আয় বেশ ধারাবাহিকভাবেই বেড়েছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা এ খাতের আয় ছিল মাত্র ৬৫ লাখ ডলার। ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ লাখ ডলার। ২০১১-১২ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ২ কোটি ১৯ লাখ ডলার। আউটসোর্সিং থেকে আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৩ কোটি ২৮ লাখ ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতের আয় প্রায় ৩ কোটি ডলার বেড়ে হয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আউটসোর্সিংয়ের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অন্যান্য কম্পিউটার সেবা থেকেও আয় বাড়ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.