![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলতি বছরের তাপদাহ পূর্বের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এই তাপদাহে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি নাগরিক জীবন স্তব্ধ ছিলো। বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের বিষয়টি চোখে পড়ার মতোও না। ভূ-পৃষ্ঠের বেড়ে যাওয়া উষ্ণতা কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পৃথিবী যে হারে উষ্ণ হয়ে উঠছে তা গত এক হাজার বছরের মধ্যেও দেখা যায়নি। এই গতিকে অভূতপূর্ব বলে দাবি করেছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এই উষ্ণতা বৃদ্ধি মানব সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে পৃথিবীজুড়ে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। চলতি বছর বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা ১৯ শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাকর্ডে উল্লেখিত ১.৫ ডিগ্রির বিপজ্জনক মাত্রার কাছাকাছি। চলতি বছরের জুলাই মাস ছিল ১৮৮০ সালের পর থেকে রেকর্ড করা ইতিহাসে উষ্ণতম মাস, নাসার গডারড ইন্সটিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ-এর গভেষনা মতে গত ৩০ বছরে আমরা অস্বাভাবিক একটি অবস্থায় প্রবেশ করেছি। এই অবস্থা গত এক হাজার বছরের মধ্যে ঘটেনি। বিংশ শতকেও কখনও এমন অবস্থা দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে উষ্ণতার রেকর্ড যে সর্বোচ্চ হবে, তা ধারণা করা হয়েছিল। কেননা ২০১৬ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ওপর এল-নিনোর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালও ছিল আগের বছরগুলোর তুলনায় উষ্ণতম। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকবে। তাপমাত্রা বাড়ার কোনও বিরতি ঘটছে না। আগামী ১০০ বছর এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে পৃথিবীর মানুষকে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে অনেক প্রাণী। বরফ যুগের পর সাধারণভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা পাঁচ হাজার বছরে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে তাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু এখন পৃথিবীর তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে তা সেই গতির ১০ গুণ বেশি। এই হার থেকে হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, আগামী ১০০ বছরে এই হার হবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ গুণ বেশি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরও কয়লা লাগানা সুন্দর বনের পাছায়