নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমাদের গর্ব সজীব ওয়াজেদ জয়

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪


যুগে যুগে এ বিশ্বে অনেক মনীষী, প্রতিভাবান ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন। কেউ তার কর্মে কেউ তার প্রতিভায় স্মরণীয় হয়ে আছেন। আজ আমি আমাদের দেশের এমনই একজন গুণধর ব্যক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাই “ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে যার ভূমিকা অপরিসীম। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম এমএ ওয়াজেদ মিয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের ব্যাঙ্গালোরের সেন্ট জোসেফ কলেজে ম্যাথমেটিকস, ফিজিকস ও কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর এবং সর্বশেষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টে ‘ইনোভেশন ইন গভর্ন্যান্স’ কোর্সে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। এর সুবাদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২৫০ বিশ্ব ইয়ং নেতার একজন হিসেবে নির্বাচিত করে। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর সেন্ট জোসেফ কলেজে ম্যাথমেটিকস, ফিজিকস ও কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার সময় থেকেই তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগে নিজস্ব অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় অর্জন করেন ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২০০৭ সালে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচন করেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওই সম্মান পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া। সরকারের এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগী সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান তৈরি, বৈদিশিক রেমিটেন্স আয়ের সম্ভাবনা, বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের বাজার তৈরি প্রভৃতি ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে কাজ করে এখন তিনি কেবল তরুণ প্রজন্মকেই নয়, স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন পুরো বাংলাদেশকেই। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণার পর সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজে আত্মনিয়োগ করেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধা ও দক্ষতায় আজ ইন্টারনেটসেবা দেশের গ্রামের মানুষের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছেছে। তিনি সারাদেশে তৈরি করছেন ১ লাখ ওয়াই-ফাই জোন। গ্রামের একজন কৃষক মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন কৃষিকাজের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছেন। স্কুলের শিক্ষক আজ কম্পিউটারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে তুলছেন। ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করছেন, পরীক্ষার রেজাল্ট দেখছেন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, টেন্ডার জমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে এমন কিছু নেই, যা করতে পারছেন না। এমনকি আজ মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম ব্যাংকিং, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহের মতো কাজও জনপ্রিয় হয়েছে। কলসেন্টারের মাধ্যমে হাজার হাজার তরুণের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গড়ে উঠছে আইটি সিটি, আইটি পার্ক। কানেকটিভিটির মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আলোকিত করে তোলা হচ্ছে। এর সবই সম্ভব হচ্ছে একজন আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত সৎ নিষ্ঠাবান সজীব ওয়াজেদ জয়ের কল্যাণে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখছেন জয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ৫টি ধাপে ভাগ করেছেন তিনি। প্রথমত, ই-গভর্ন্যান্স পদ্ধতি চালু করা। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, স্কুল-কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা। তৃতীয় পর্যায় হচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। চতুর্থত, আইটি পার্ক গড়ে তোলা। পঞ্চম পর্যায়ে, ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রামের শুরু করেন জয়। এ ছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন। একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দেশের স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের নতুন পরিচয় নির্মাণ করেছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হবে স্বর্ণালি আভায়। আর সমৃদ্ধের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়- দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা এমনই। অভিনন্দন সজীব ওয়াজেদ জয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

বিলুনী বলেছেন: ইতিহাস গুণী লোকের কদর একদিন দিবেই এমনি করে ।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৬

নতুন বলেছেন: যুগে যুগে এ বিশ্বে অনেক মনীষী, প্রতিভাবান ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন। কেউ তার কর্মে কেউ তার প্রতিভায় স্মরণীয় হয়ে আছেন। আজ আমি আমাদের দেশের এমনই একজন গুণধর ব্যক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাই “ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে যার ভূমিকা অপরিসীম।

তেল এতো বেশি দিলে কি খুবই সুবিধা ?

জয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেই করে কেটে খাচ্ছেন... উনার যেই বুদ্ধি তাতে দেশে কিছুই করতে পারতেন না।

জয় কি কাজ করেন? বিদেশে পড়ার জন্য এতো খরচ কে দেয়? উনার পদ তো বেতন ছাড়া বলে শুনেছি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.